ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২১
এই পোস্টে আপনারা ই পাসপোর্ট করার নিয়ম, চেক করার নিয়ম, নবায়ন করার নিয়ম, আবেদন ফরম pdf, ২০২১ এ খরচ সহ জানতে পারবেন।
১৪ দিনে ই-পাসপোর্ট পাওয়ার অভিজ্ঞতা।
টাইপ – এক্সপ্রেস
১০ বছর ৪৮ পাতা
৮০৫০ টাকা
RPO – রাজবাড়ী
✅ ১ম ধাপ – ই-পাসপোর্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ একটি একাউন্ট ক্রিয়েট করে অতঃপর এপ্লাই করি।
✅ ২য় ধাপ – টাকা জমা দেওয়ার জন্য আমার নিকটস্থ ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট শাখায় গিয়ে ৫৭৫০ টাকা জমা দিয়ে আসি।(কিন্তু পরে আমাকে আরো ২৩০০ টাকা জমা দিয়ে আমার পাসপোর্ট এর ডেলিভারি টাকে রেগুলার থেকে এক্সপ্রেস করতে হয়েছে। কারণ, ঐসময়ে নাকি রেগুলার কোনো আবেদন জমা নিচ্ছিলো না।তাই পরে আবার পাশের ব্যাংক এশিয়ায় গিয়ে ২৩০০ টাকা জমা দেয়।)
✅ ৩য় ধাপ – এপ্লিকেশন জমা দেওয়ার দিন। যেহেতু এপ্লিকেশন সিডিউল অনুযায়ী আমার কোনো এপয়েন্টমেন্ট ছিলোআমি ১২ তারিখ আবেদন করে ১৪ তারিখ কাগজ পত্র জমা দেই। এপ্লিকেশন জমা দেওয়ার দিন আমি যা যা নিয়ে গিয়েছিলাম –
Application From
Application Summary
Payment Slip
নিজের NID (Student আইডি কার্ড,বাবা-মার NID কার্ড,বিদ্যুৎ বিলের কাগজ নিয়েছিলাম কিন্তু লাগে নি।অন্য RPO তে লাগতেও পারে।তাই এইগুলো সাথে নিয়ে যাওয়ায় ভালো।)
উপরোক্ত কাগজ গুলি চেক করার পর উনারাই আমার পেমেন্ট স্লিপ টি এপ্লিকেশন সামারির উপর গাম দিয়ে লাগিয়ে দিয়ে আমকে Biometric, চোখের scan, নিজের হাফ passport size ছবি, নিজের signature এর জন্য আমাকে অন্য একটি কক্ষে পাঠায়ি দেয়। সব কিছুর পর আমাকে একটা Delivery Slip দেওয়া হয়। সবকিছু ভালো করে চেক করে নিতে বলেন। যদি কোন ভুল থাকে তাদেরকে বলবেন তারা সবকিছু সংশোধন করে দিবে।
✅ ৪র্থ ধাপ-পুলিশ ভেরিফিকেশন – পুলিশ ভেরিফিকেশন এর জন্য আমাকে যা যা নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
১.আমার নিজের NID Card
২. বিদ্যুৎ বিলের কাগজ
৩. চেয়ারম্যানের নাগরিক সনদ
✅ ৫ম ধাপ – সবকিছু হয়ে যাওয়ার পর প্রতিনিয়ত ওয়েবসাইটে পাসপোর্ট এর status গুলা দেখতে ছিলাম। অবশ্য স্টাটাস চেঞ্জ হলে আপনাকে ওরা একটি মেইল পাঠাবে।সেক্ষেত্রে আপনি প্রতিনিয়ত মেইল চেক করলেও পারেন।
Application Submit – 12-07-2021
Payment -14-07-2021
Enrolled, Pending Approval – 14-07-2021
Police verification-15-07-2021
Approved -19-07-2021
Passport Shipped – 26-07-2021
Passport Issue – 28 -07-2021
Passport Received – 29-07-2021
২৮ তারিখ email আসে আর ২৯ তারিখ RPO তে চলে যাই ডেলিভারি স্লিপ নিয়ে এবং পাসপোর্ট নিয়ে আসি। পাসপোর্ট কালেক্ট করার সময় ৯:১৫-৩:৩০।
মন্তব্য –
সাদা পোশাক পরে যাবেন না। কিন্তু আমি চকলেট কালারের পড়ে যাওয়াতেও আমার ছবিটা একটু বাজে এসেছে।
সবকিছু নিজে নিজেই করেছি।ভেরিফিকেশন এর জন্য এক টাকাও দেইনি। পুলিশ চেয়েছিলো আমি বলেছি স্যার আমি স্টুডেন্ট। উনি বললেন ঠিক আছে সমস্যা নেই। আমি এমনিতেই করে দিব। যদিও ভয়ে ছিলাম যে আদৌও আমার ভেরিফিকেশন হবে কিনা।কিন্তু আমি সন্তুষ্ট। তাই আপনার পেপারস ঠিক থাকলে আমি বললো কাউকে টাকা দিবেন না।
***আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে যত গুলো পাসপোর্ট অফিস আছে দরবেশ ছাড়া পাসপোর্ট করার সব থেকে নিরাপদ পাসপোর্ট অফিস রাজবাড়ী আরপিও। (অনেক সময় মুরগী নিজেই শিয়ালের কাছে ধরা দেয়)।কারণ, এখানে গেলে আপনাকে কোনো দরবেশ ধরতে হবে না। ই-পাসপোর্টের যুগে এসেও আপনাকে যদি দরবেশ ধরে পাসপোর্ট করতে হয় তাহলে আপনার মতো ইদাভো(উল্টা করে পড়ুন) একটাও নাই।কারণ, ই-পাসপোর্ট করতে কোনো দরবেশের প্রোয়োজন নেই।সব কাজ আপনার নিজের। আমি ছোট যেই ভুল টুকু করেছি ওই সময় টুকু বাদ দিলে পাসপোর্টের জন্য সব কাগজ জমা দেওয়া, ছবি, ফিঙ্গার, চোখের রেটিনার স্ক্যান করা,স্বাক্ষর দিতে আমার মোট সময় লেগেছে মাত্র ৩০ মিনিট। আর এডি স্যার সহ রাজবাড়ী আরপিওর সব কর্মকর্তার ব্যবহার ছিলো খুবই সুন্দর। ঠিক এমনই ভাবে আমাদের দেশের বিআরটিএ যদি দরবেশ মুক্ত হতো তাহলে দেশ সত্যি উন্নয়নের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে যেতো।