বিবাহকে কঠিন করছে নারী এবং নারীর অভিভাবকরা!
এই শহরে নামাজির অভাব নেই, অভাব শুধু দ্বীনদারের…
মসজিদের প্রথম কাতারের লোকটাও অঢেল সম্পদ ছাড়া মেয়ে বিয়ে দেন না। ‘দুনিয়ার জীবন অতি তুচ্ছ’ টপিকে ঘন্টার পর ঘন্টা বয়ান করা তাবলিগি ভাইটাও ঢাকায় বাড়ি ছাড়া মেয়েকে পাত্রস্থ করেন না।
পর্দাশীল মেয়েগুলো প্রতি নামাজের পর সরকারি চাকুরিজীবী দ্বীনদার পাত্র চেয়ে দুআ করে। ছেলে বিসিএস ক্যাডার হলে তাদের ইস্তিখারার রেজাল্ট সবসময় পজেটিভ আসে। অন্যথায় নেগেটিভ।
নামাজি ছেলেগুলো দুআ করে ফর্সা নারী পেতে। দ্বীনদারি কম হলেও প্রবলেম নেই। শুধু ফর্সা হলেই হয়। আর ছেলের বাবার দরকার টাকাওয়ালা পাত্রী। ঘরভর্তি ফার্নিচার চাই তার।
বাবা, ছেলে, মেয়ে সবাই আলেম-আলেমা। পাত্র তাদের পছন্দ। শিক্ষিত, যোগ্য, জ্ঞানী ছেলে। একটা ফ্যামিলিকে তিনবেলা পেট ভরে খাওয়ানোর মতো রুটি-রুজি তার আছে। নেই শুধু একখানা বাড়ি। বিয়েটা আর হয় না।
হায়! আফসোস !!!
যেই ছেলে সুদী ব্যাংকে চাকরি করে আল্লাহর সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, সেই অভিশপ্ত সুদখোর এর কাছে মেয়ে বিয়ে দেয় অভিভাবকরা, অথচ নিজেদের প্রাকটিসিং মুসলিম দাবী করে।
নিছক স্বাবলম্বী পাত্র খোঁজায় অন্যায়ের কিছু নেই। ফ্যামিলি চালানোর মতো সামর্থ্য থাকার বিষয়টা ইসলামও গুরুত্বের চোখে দেখে। কিন্তু বাড়ি থাকতেই হবে, এমন শর্তের যৌক্তিকতা কী? নাকি আত্মীয়-স্বজন আর পড়শীর কাছে নিজের প্রেস্টিজ বজায় রাখতেই এমন শর্ত?
দ্বীনদার হোক আর না হোক, ফর্সা হতেই হবে- এমন চিন্তা যার মাথায় ঘোরে, তার মাঝে আর যা-ই হোক দ্বীনদারির অভাব আছে। বরং বিষয়টা হওয়ার কথা ছিল এমন—দ্বীনদার হতেই হবে, ফর্সা হোক বা না হোক।
– আবুল হাসানাত কাশিম
–**
বিবাহকে কঠিন করছে নারী এবং নারীর অভিভাবকরা
নামে ধার্মিক পাত্র পাত্রী পেইজ
আসলে কিন্তু সবাই খুজতেছে দ্বীনদার বিল গেটস আর দ্বীনদার Hrithik Roshan এবং সেকুলার সার্টিফিকেট আর সেকুলার জব
কথা শুনতে খারাপ লাগলোও কথা কিন্তু ১০০% সত্য
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা (মুত্তাকীকে) রিযক দিবেন এমন উৎস থেকে যা সে ধারণাও করতে পারে না। যে কেউ আল্লাহর উপর ভরসা করে, তবে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ নিজের কাজ সম্পূর্ণ করবেনই। আল্লাহ প্রতিটি জিনিসের জন্য করেছেন একটা সুনির্দিষ্ট মাত্রা।
-আত তালাক ৬৫
এমন কে আছে যে তোমাদেরকে রিযক দিবে যদি তিনি তাঁর রিযক বন্ধ করে দেন? আসলে তারা অহমিকা ও অনীহায় ডুবে আছে।
-আল মুলক ২১
বিয়ে সহজ করুন,
বোন বিয়ে করলেন, আপনি স্বামীর ঘরে আসলেন।তার ও আপনার জন্মেরও আগে আল্লাহ্ আপনার ও তার রিযিক লিখেছেন। বিয়ের মাধ্যমে স্বামী আপনার রিযিকের যিম্মাদারি নিয়েছেন।আপনার রিযিক্ব তার হাত দিয়ে আসবে,অটোমেটিক তার ইনকাম বাড়বে।ইনকামে বরকত হবে৷কেননা আপনার রিযিক্ব আপনার স্বামীর হাতে আল্লাহ্ দিবেনই দিবেন।আর আপনি যদি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা র পেয়ারা বান্দী ও সৌভাগ্যবতী হন তাহলে তো কথাই নাই।আপনার ভাগ্যের সাথে তার জীবনও বদলে যাবে️ ইনশা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা❤️
প্রিয়… বোন
তুমি সুন্নাতে আবৃত কাউকে চাও,
অথচ দরিদ্রতাকে ভয় করো!
দরিদ্রতার চেয়ে বড় সুন্নাত আর কি আছে..?
হে বোন!
তুমি তো জান্নাতে যাওয়ার জন্য সহযোগী চাও!
তবে কেন দুনিয়ার কষ্টকেই কষ্ট মনে করো..?
অবুঝ বোনটি আমার!
তুমি রসুলের স্ত্রীর প্রতি প্রেমের বর্ননা শুনে মুগ্ধ হয়ে যাও! তবে কেন কুঁড়েঘর, ক্ষুধার্ত থাকার কথা শুনেই ভীত হয়ে যাও..?
প্রিয় বোন আমার!
গরীব ঈমানদাররা তো পাঁচশত বছর আগে জান্নাতে যাবে। তাহলে কেনো দারিদ্র্যতার ব্যাপারে তোমার এতো অভিযোগ?
হে বোন শোনো!
গরীবের জন্য তো সুসংবাদ, কারণ তুমি সম্পদের হিসাব দেয়া থেকে বেঁচে গেছো! তাহলে কিসের এতো হতাশা ব্যক্ত করো?
প্রিয় আদরের বোন,
সুন্নাত শুধু কপালে চুমু দেওয়া আর বাড়িতে ফিরে ফুল দেওয়া নয়। ঘরে কিছু নেই, ক্ষুধার্ত পেট চিৎকার করছে তবুও মুচকি হাসি দেওয়াও তো সুন্নাত!
হে অবুঝ বোন!
মন দিয়ে শোনো,স্বপ্ন আর বাস্তবতা এক নয়!
স্বপ্নকে বাস্তবতার স্বাদ আস্বাদন করাতে শিখো।
তবেই তুমি স্বার্থক হবে ইংশা~আল্লাহ।
তোমার রব তোমার সহায় হউক আমিন।
post: collected