sadat hossain books pdf

২০+টি সাদাত হোসাইন বই Pdf Download – Sadat Hossain All Books Pdf

Today, i will share sadat hossain all books pdf download | সাদাত হোসাইন বই pdf download free:

The first novel I read written by Sadat Hossain is a Ordhobritto. I felt better after reading this book. It seemed that Sadat Hossain was good as a writer. Then I read “Arshinagar”. I was fascinated this time. It seems that there is such a writer in Bangladesh, I found out so much later. Then I read “Andarmahal”. This time I was as overwhelmed as the shore of the sea when the tide came. It seemed that we Bengalis could be proud that we had a Sadat Hossain. Manonjonom gave the same feeling. I will start reading the book “nirbason” from tomorrow. Those unfortunate people who are imitating Humayun Ahmed have never read any book of this man. Let Sadat Hossain go ahead at his own pace and we keep getting more and more books like Andarmahal, Manabjanam, Arshinagar. Let Bengali literature be rich. Many many good wishes for the author.

সাদাত হোসেইন সকল বই Pdf Download - Sadat Hossain All Books Pdf

স্মৃতিগন্ধা সাদাত হোসাইন Pdf Download

স্মৃতিগন্ধা সাদাত হোসাইন Pdf Download

মেঘেদের দিন pdf download

~সাদাত হোসাইন
সাদাত হোসাইনের মত বড় লেখকদের বইয়ের রিভিউ লেখার সাহস কেউ দেখায় না।কিন্তু স্পয়লার লিখে সেটাকে রিভিউ-র নামে চালিয়ে দিতে সবাই ওস্তাদ।
যেমন আমি যদি এখন বলে দেই যে ট্রলারের মধ্যে হারু আর হানিফ করাতি মিলে মারুফ আর তানিয়ার সাথে কী করেছে তাহলে পুরো বইটার আপনি যেখানেই থাকেন না কেন, লাস্ট সিন আপনার মাথায় আটকে থাকবে বিধায় লেখকের মাথার ঘাম কাগজে ফেলা টুইস্ট-গুলোকেও আপনার কাছে নস্যাৎ মনে হবে।
বইটির প্রচ্ছদটি খুবই গিরগিটি মানের প্রচ্ছদ হয়েছে যেটি করেছেন প্রচ্ছদরাজ ধ্রুব এষ।অর্থাৎ এই প্রচ্ছদটি সব কিছুর সাথেই ছবি তুলতে মানানসই।স্যামসাং এর ইয়ারফোন থেকে শুরু করে মির্জাপুরি চা এর মগ এমনকি মাঠ-ঘাট সবজায়গাতেই মানায়।(নিচের ছবিটি মাঠে তোলা)।
মেঘেদের দিনে বইটি খুব যে একটা ভিন্ন ঘরানার তা কিন্তু বলব না।বরং আমাদের প্রায় অনেকের জীবনের সাথে ঘটে যাওয়া হর-হামেশা ঘটনা গুলোই তোলা।তবে আমাদের বাঘা লেখকেরা কলমের আচড়ে মানুষকে একবার চান্দে আরেকবার মঙ্গলে নিয়ে গেলেও এসব গ্রামীণ জীবন নিয়ে খুব একটা উচ্চবাচ্য করেন না।সাদাত হোসাইন এ দুঃসাহস দেখিয়েছেন।
এবার একটু ভেতরে ঢুকি।
গল্পটি শহুরে এবং গ্রামীন জীবনে এক অসাধারণ কম্বিনেশন।বেশ কিছু গ্রামীন অসংগতি এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন কর্মকান্ড বেশ গভীরভাবে তুলে ধরেছেন অবলীলায়।
গল্পটির যেটা ছিলো মূল কাহিনী বা চরিত্র সেটি খুব একটা আহামরি কিছুনা।যেহেতু সেটি আহামরি নয় কাজেই বেশ কিছু ঘোল না খাওয়ালে তো আর পাঠক তৃপ্তি পাবেনা।তাই উনি একটু ঘোলের ব্যাবস্থা করলেন।কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে ওনার মূল গল্পটার চাইতেও ঘোল টা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে।
যেখানে ফুটে উঠেছে মাতৃকালীন সময়ে মায়েদের সাথে ঘটে যাওয়া নিষ্ঠুরতা আর শিশুদের প্রতি যৌন লেলুপ এ তাদের অসহায়ত্ব সহ আরো বেশ কিছু অসাধারণ দিক যেগুলো আমরা প্রত্যেকেই জানি কিন্তু কখনো এমন করে ভাবিনি।
লিখা খুবই সহজপাঠ্য এবং সহজবোধ্য এদিক থেকে ১০এ ১০।কিন্তু গল্পের ফাক-ফোকরে হুদ্দাই জোর করে এক ধরণের রোম্যান্টিকতা আনার অপচেষ্টা চালিয়েছেন।এবং পুরো বইটার মধ্যে এই জিনিসটাই আমার খারাপ লেগেছে।তবে রোম্যান্সপ্রিয় পাঠকদের এ অংশে আমার সাথে দ্বিমত থাকতেই পারে।
তবে বই কিনে যেমন কেউ দেউলিয়া হয়না তেমনি বই পড়েও কেউ দেউলিয়া হয়না।আর সাদাত ভাইয়ের বই পড়ে তো দেউলিয়া হওয়ার প্রশ্নই আসেনা।

তোমার নামে সন্ধ্যা নামে pdf download

শেষ অধ্যায় নেই pdf download by sadat hossain

নিঃসঙ্গ নক্ষত্র pdf download

“আমাকে হারাতে দিলে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিতে ছেয়ে যাবে তোমার শহর।”

লেখক- সাদাত হোসেন

‘মানুষ যত বড় হয়, তত জটিল হয়ে যায়। কারন, বড় হবার সাথে সাথে তাকে জটিল একটা পৃথিবীর মুখোমুখি হতে হয়। আর এই জটিল পৃথিবীর মুখোমুখি হতে হতে সে নিজেও একসময় নিজের অজান্তেই জটিল হয়ে যায়।

নিঃসঙ্গ নক্ষত্র সাদাত হোসাইন pdf

কাজল চোখের মেয়ে  সাদাত হোসাইন pdf download

ukti 1

শোনো কাজল চোখের মেয়ে,

আমার দিবস কাটে, বিবশ হয়ে,

তোমার চোখে চেয়ে___ সাদাত হোসাইন

ukti 2

যদি ভাসে মধ্য দুপুর,

কারো বুক পদ্মপুকুর।

ukti 3

এই যে মেয়ে, কাজল চোখ,

তোমার বুকে আমায় চেয়ে

তীব্র দাবীর মিছিল হোক।

কাজল চোখের মেয়ে সাদাত হোসাইন pdf

নিজেকে জানার তুমুল আগ্রহ আছে আমার, আছে নিজের একটা

জগতও। প্রায়ই অনেকে জিজ্ঞেস করেন, মন খারাপ হলে আমি কি

করি?

আমি বলি, ‘আমার নিজের একটা জগত আছে, সেখানে ডুব দেই!

প্রশ্নকর্তা দ্বিধান্বিত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকেন। আমি

হাসি। কারণ আমি জানি, এই কথা সত্যি। অন্যকে অনুসন্ধানের

চেয়ে নিজেকে আবিষ্কারের আনন্দ ঢের বেশি । হয়তো সে কারণেই

নিজেকে নিরন্তর খুঁজে ফিরি আমি! নিজের প্রতি এই অনুসন্ধিৎসা

থেকেই আমার লেখালেখি । আমি জানতে চাইতাম, আমি যা

অনুভব করি তা প্রকাশ করতে পারি কীনা! অনেকগুলো চরিত্রের

একটা গল্প, কিংবা বিশাল জনপদের অসংখ্য মানুষের জীবনের

বিভ্ৃত আখ্যান, কিংবা গান, কিংবা কবিতা লিখতে পারি কীনা!

এই শেষেরটি ছাড়া বাদবাকীগুলো_’আমার নিজেকে জানার সেই

অনুসন্ধিৎসা থেকেই এসেছে। তাহলে কবিতা? কবিতা কি করে

এলো! অনেকেই জানেন, আমি “ঘা: লিখি, তাকে আমার কবিতা

বলতে ইচ্ছে হয়না । বরং বলতে ইচ্ছে হয় অনুভূতি । বলতে ইচ্ছে

হয় স্পর্শ, কিংবা গল্প।

গল্পও? হ্যা, গল্পও ।

দুম করে একদিন আমার মনে হলো, এই যে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা

লিখছি, দিনের পর দিন, রাতের পর রাত, তারপর ঢাউস সাইজের

একেকটা উপন্যাস হচ্ছে, সেই উপন্যাসের গল্পগুলো আসলে কি?

সেইতো ভালোবাসা আর ঘৃণার গল্প, দুঃখ আর আনন্দের গল্প।

তাহলে?

তাহলে যদি এমন হয়, মাত্র দুটো লাইনেই বলে দেয়া যায় ওইসব

অনুভূতি, ওইসব গল্পঃ আমি ধরেই নিয়েছিলাম, তা কখনো সম্ভব

নয়। কিন্তু মাথার কিংবা বুকের ভেতর ঘুণ পোকার মতো কিটকিট

করছিলো কিছু শব্দ, কিছু বাক্য, “কোথায় যাবে এমন মানুষ রেখে,

মানুষ কেন হারিয়ে গেলে শেষে, মানুষ পাওয়া শেখে!

“এই যে লোকে লোকারণ্য শহর, সকাল – সন্ধ্যা ভিড়ভাট্টা জাগে,

তবুও এমন একলা লাগার মানে, একটা “নিজের মানুষ সবার

লাগে!

কি করে জমায় ব্যথা কিছু শিখে নিলে,

ফিরতি চিঠিতে কী মেঘ বৃষ্টি পাঠাবে?

তাহলে, লুকাবো আমিও ব্যথা জলের মিছিলে? ।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমি যা অসম্ভব বলে অবহেলায় ফেলে

রেখেছিলাম ফেসবুকের গলিঘুচিতে, অসংখ্য পাঠক তা তুলে

নিলেন অপার মমতায়, ভালোবাসায়। সেই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র

পংক্তিগুলোতে তারা খুঁজে পেলেন অনুভূতির স্পর্শ। আমার হঠাৎ

মনে হলো, লেখকের গল্পতো পাঠকের জন্যই। পাঠক যদি তাদের

অনুভূতির আদ্যোপান্ত খুঁজে পান:এই লেখায়, তাহলে আর দ্বিধা

কিসের? এই যে একটা বইয়ের!জন্য তাদের এতো ব্যাকুলতা,

এতো হাহাকার, তা কী মূলহীনস্ঠ নিশ্চয়ই নয়। বরং তা অমূল্য,

আরাধ্য! আমি তাই সেসব ছড়িয়ে দিলাম বইয়ের পাতায় । তারপর

বিপুল বিস্ময়ে আবিষ্কার করলাম, এই লেখাগুলোর জন্য কী ভীষণ

ভালোবাসা তারা পুষে রেখেছিলেন বুকের ভেতর!

পাঠকের এই ভালোবাসা, এই ব্যাকুলতা উপেক্ষা করার সাধ্য আছে

কার! আমি তাই লিখলাম । মন খারাপের নিঃসঙ্গ রাত্রি, কিংবা

থমকে থাকা বিষগ্ন সন্ধ্যায় কিছু শব্দ, বাক্য, ছন্দ ক্রমশই যেন স্পর্শ

হয়ে আমাকে ছুঁয়ে দিতে থাকলো । সেগুলো কবিতা কীনা আমি

জানি না। জানতে চাইও না। তবে সেগুলো যে আমার গভীরতম

অনুভূতি, তা নিশ্চিত। সেই অনুভূতি স্পর্শ করুক মন ও মানুষ,

জীবন ও জগত।

আমার আর কোথাও যাওয়ার নেই pdf download

বইঃ আমার আর কোথাও যাওয়ার নেই। 

লেখকঃ সাদাত হোসাইন। 

পৃষ্ঠাঃ ৮০ পেজ

প্রকাশনীঃ ভাষাচিত্র।

প্রকাশকালঃ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ইং

রিভিউ-

★ ‘আমার আর কোথাও যাওয়ার নেই’ বইটি বর্তমানে অন্যতম জনপ্রিয় লেখক সাদাত হোসাইনের প্রথম বই। নব্বই দশকের একটি রাজনৈতিক পরিবার, একটি নিম্নবিত্ত পরিবার আর অদ্ভুত এক প্রেম কাহিনী নিয়ে উপন্যাসটি রচিত হয়েছে। 

উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র লাবণী তাদের বাড়ির লজিং মাষ্টার বাদলের প্রেমে পাগল প্রায়!  কিন্তু প্রভাবশালী বাবার মতের বিরুদ্ধে তাদের প্রেম অকালে ঝরে পরে৷ 

উপন্যাসের আরেকপ্রান্তে দুঃখ কষ্টে দিন কাটানো একটি পরিবারের কথা উঠে এসেছে৷ 

★বইটির  উল্লেখযোগ্য কিছু উক্তিঃ- 

১. 

মানুষ বড় বিচিত্র প্রাণী। এরা দুঃখ ভালোবাসে। দুঃখ ছাড়া এদের জীবন অর্থহীন । যাদের জীবনে কোন অপ্রাপ্তি নেই তারাও কারণে অকারণে দুঃখ পেতে চায়৷ দুঃখ ছাড়া জীবন বিস্বাদ ও বিবর্ণ। 

২. 

ছোঁয়ছুয়িই বিষয়টা থাকে কানামাছি খেলায়। জীবন তো কানামাছি খেলাই। কে কখন কিভাবে ছুঁয়ে যায় কে জানে! 

৩. 

মেয়েরা দুই ধরনের ছেলেদের প্রেমে হাবুডুবু খায়। এক. অতি গাধা। দুই. অতি বুদ্ধিমান। 

৪. 

নদীর পানি মারাত্মক জিনিস। এরা মানুষের দুঃখ কষ্ট বোঝে। মানুষ বোঝে না। 


প্রণয়ে তুমি প্রার্থনা হও Pdf Download সাদাত হোসাইন

Download pronoye tumi parthina-hou-pdf

★ মন্তব্যঃ বইটি পড়তে গিয়ে আমি দুইবার প্রথম পৃষ্ঠায় ফিরে গিয়ে দেখে এসেছি লেখকের নাম আদতে সাদাত হোসাইন নাকি হুমায়ূন আহমেদ। কাহিনী নির্বাচন আর চরিত্র উপস্থাপনের প্রতি আরো সচেতন হওয়া উচিত ছিল। তবে প্রথম বই হিসেবে তিনি যথেষ্ট ভালো করেছেন।  লেখকের জন্য শুভকামনা। 

যেতে চাইলে যেও  সাদাত হোসাইন pdf download

আমি লিখেছিলাম ভুল পাতায়

কাগজ ওলটাতেই দেখি জলের শব্দ।

অক্ষর মিশে গেছে কান্নায়।

শরীরজুড়ে অদ্ভুত খেয়াল!

যেতে চাইলে যেও  সাদাত হোসাইন pdf

যেতে চাইলে যেও,

নিয়ম করে বুকের ব্যাথার ওষুধটুকু খেও।

রোজ সকালে ঘুমটা ভেঙে একটু খানি হেঁটো

সুখের সকল গল্প এবার যত্ন করে এঁটো।

যেতে চাইলে যেও,

আমার চেয়ে ঢের ভালো আর কাউকে হঠাৎ পেও।

তার আঁচলে শিউলী ফুলের মন ছিটিয়ে দিও

ভালোবাসার সবটা ঢেলে হৃদয় কিনে নিও।

চাইলে যেতে যাও,

রাতদুপুরে লাগলে একা, ওষুধ কিনে নাও।

ওষুধটুকু যাচ্ছ ফেলে, এমনি করে কই?

আমি কি আর তোমার বুকের ব্যাথার ওষুধ নই?

যেতে চাইলে যেও — সাদাত হোসাইন

আরশিনগর সাদাত হোসাইন pdf download

:

আরশিনগর pdf

নির্বাসন সাদাত হোসাইন pdf download

নির্বাসন সাদাত হোসাইন pdf download

বই আলোচনা
নির্বাসন
– সাদাত হোসাইন
একটি বইয়ের মধ্যে যাদের জীবন চক্র বর্ণনা করা হবে, আপনি তাদের হাসিতেই হাসবেন, তাদের দুঃখেই দুঃখ অনুভব করবেন!
বাস্তবে হয়তো আপনি কখনোই কোনো ডাকাত পরিবারের সদস্যের জন্য দুঃখ অনুভব করবেন না।
অথচ বই পড়ার পর-
থাক, সেটা না হয় বই পড়ার পরই ভেবে দেখবেন।
৩৭৬ পৃষ্ঠার নির্বাসন উপন্যাসটি পড়া শেষ করেও এর রেশ থেকে গেছে বেশ কিছুক্ষণ!
পুরো উপন্যাসটাজুড়ে আমার আকর্ষণ ধরে রাখা চরিত্র জোহরা।
এখন এই চরিত্রে কী এমন আছে তা জানতে হলে তো আপনাকে অবশ্যই বইটি পড়তে হবে।
এবার না হয় আমার পাঠ-অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কিছু শেয়ার করা যাক।
বইটি নিয়ে বলতে গেলে অনেক কিছুই বলা যায়।
আমার মনে হয় সাদাত হোসাইন এর কলমের ছোঁয়ায় অতি সাধারণ গল্পগুলোও অসাধারণ রূপে ধরা দেয় পাঠকচিত্তে!
আর নির্বাসনের কথা যদি বলি, তবে এ কথা বলতেই হয়, এত বড় একটি উপন্যাস হওয়া সত্ত্বেও এটি পুরোটা সময়জুড়ে পাঠকের আকর্ষণ ধরে রাখতে পুরোপুরি সক্ষম।
কারণ উপন্যাসটি পড়ার সময় খেয়াল করলে দেখবেন যে একটি রহস্যের ঝট খোলার সাথে সাথেই আরও একটি নতুন রহস্য সামনে এসে হাজির হচ্ছে।
তাই পুরোটা সময়জুড়ে আপনার শুধু মনে হবে, এরপর কী হবে?
আর পাঠক সেই রহস্যের ঝট খুলতে খুলতেই এরকম পেট মোটা একটি বই কখন যে আগ্রহ নিয়েই শেষ করে ফেলবে, টেরও পাবে না।
উপন্যাসটি আপনাকে অনেকগুলো অনুভূতির দারস্থ করবে।
কখনো উৎকণ্ঠা, কখনো ঘোর লাগা মুগ্ধতা, প্রণয়, ভালোবাসা, আতঙ্ক, ভয়, আবার কখনো অনন্ত নিঃস্বতা!
কখনো কখনো পাশে থাকা প্রতিটি মানুষের নিজস্ব ব্যক্তিগত দুঃখবোধ এতটা প্রগাঢ় হয়ে ওঠে যে কেউ আর কাউকে বলতে পারে না, “আমার বুকের উপর একটি দুঃখের পাহাড় চেপে আছে!
ভীষণ কষ্ট হচ্ছে আমার! ভীষণ!”
বরং তখন প্রতিটি মানুষকেই মুখ বুঝে পুড়ে যেতে হয় নিজের ব্যক্তিগত দুঃখবোধের অনলে নিরবে-নিভৃতে!
উপন্যাসটি পড়তে গিয়ে এমন একটা অনুভূতি আপনারও অনুভূত হতে পারে।
এই উপন্যাসে অনাড়ম্বর কিছুই নেই।
পুরোটাই জীবন গল্প, জীবনের গভীর বোধ।
তবে নির্বাসনের ভেতরের গল্পটা এতোটাই চমৎকার যে আপনাকে ছুঁয়ে যেতে অব্যর্থ।
এই উপন্যাসে আরও একটি মজার ব্যাপার হচ্ছে পরবর্তী পেইজে আপনি গল্পটা যেরকম ধারণা করবেন, আপনার ধারণার সাথে হয়তো কোনো মিলই আপনি খুঁজে পাবেন না বইতে।
এবং এইযে লেখক আমাদের ধারণাকে মিথ্যে প্রমাণ করে করেই গল্পটা এগিয়ে নিয়ে গেলেন, তাতেই পাঠকদের মনে হবে- নতুন একটি গল্পের স্বাদ পেলাম।
উপন্যাসটিতে আমার ভালো লাগা চরিত্রের নাম জোহরা।
লেখক জোহরা চরিত্রটিকে সৃষ্টি করেছেন একটি রহস্যময়ী চরিত্র হিসেবে।
এবং বুদ্ধিমতী তো বটেই।
কিন্তু জোহরা চরিত্রের বুদ্ধিমত্তার আড়ালে আমি আসলে লেখকের বুদ্ধিমত্তাকেই দেখতে পেয়েছি।
নিঃসন্দেহে জোহরা চরিত্রটি পাঠকের মনে ক্ষণে ক্ষণে নতুন ভাবান্তর সৃষ্টি করবে।
কেননা জোহরা চরিত্রের বুদ্ধিমত্তা, চঞ্চলতা, সাহসিকতা, উদ্ভট কর্মকাণ্ড কিংবা উচ্ছৃঙ্খলতা সবকিছুই অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়েই পাঠকচিত্তে দাগ কাটবে!
উপন্যাসটা যখন শেষ হলো, তখন মনে হলো এখানেই কি শেষ?
কই, এখান থেকে তো আবার শুরু হবার কথা।
কণা, মনসুর, মঞ্জু, জোহরা, হানিফ – এরপর এদের কী হবে?
কৌতূহলবশত আমার মতোই হয়তো পাঠক পরবর্তী পেইজে কিছু আছে কি না তা দেখার জন্য পাতা উল্টে দেখতেই পারে।
এবং এইযে লেখক শেষপর্যন্ত পাঠকের কৌতূহলটা ধরে রাখতে পারলেন, এটাই কি একটি বই লেখার সার্থকতা নয়?
পরিশেষে- হ্যাঁ, কণা এবং মনসুরের দেখা হবার পরের গল্পটা পাঠককে যার যার নিজের মতো করেই কল্পনা করে নিতে হবে।
লেখক এখানে একেবারেই সেই দায়িত্বটা নেননি।
বরং পাঠকের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন।
তবে শেষে যে কথাটা না বললেই নয়,
তোরাব আলি লস্কর জোহরাকে ঠিক কথাটাই বলেছিলেন, “হারিয়ে যাওয়া মানুষ কখনো ফিরে আসে না, যে ফিরে আসে সে হয় তার ছায়া।
দেখতে শুনতে একই মানুষ, কিন্তু ভেতরটা আলাদা।”
ঠিকই তো।
এই যে স্ত্রীর প্রতি এত প্রেম, এত ভালোবাসা থাকা সত্ত্বেও হারিয়ে গিয়ে সেই মানুষটাই শেষে ফিরে এলো কেমন অচেনা হয়ে!
ব্যাপারটা কেমন না?
উপন্যাসজুড়ে আমার ভালো লাগা কিছু লাইন বা উক্তি-

যে ঘরে নারী নেই, সেই ঘরের চেয়ে মায়াহীন গৃহ আর জগতে নেই।

আপনি বিহীন এ পৃথিবীটা কী ভীষণ জঘন্য।

অজস্রবার ভালোবাসি বলার পরও ভালোবাসা হয় না।
আবার একবার না বলেও পৃথিবীর সবচেয়ে গভীরতম অনুভূতি নিয়ে ভালোবেসে ফেলা যায়।
মায়া এমন এক জিনিস,যা মানুষকে অন্ধ করে দেয়।
হিতাহিত জ্ঞান বুদ্ধি লোপ পাইয়ে দেয়।
মায়ার প্রভাব ভালোবাসার চেয়েও বেশি।
ইট কাঠের কাঠামোতেই কি ঘর হয়?
ঘর হতে হলে ঘরের দরজায় মানুষ থাকতে হয়।
সেই মানুষের মনে মায়া থাকতে হয়, চোখে অপেক্ষা থাকতে হয়।
নাহলে কিসের মায়ায় ঘরে ফিরবে মানুষ?
পৃথিবীতে সবারই একটা নিজের মানুষ থাকে।
নিজের একটা জায়গা থাকে।
সবচেয়ে শক্ত, কঠিন যে মানুষটা, তারও।
সে চায় সেই জায়গাটাতে গিয়ে সে তার কঠিন আবরণটা খুলে সম্পূর্ণ নিরাবরণ হয়ে যেতে। ভানহীন, শিশুর মতো।

আমিতো ভাবি পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ জায়গাটাও আপনি থাকলে আমার কাছে সবচেয়ে সুন্দর হয়ে উঠবে।

আমাদের সবার বুকের ভেতরেই একান্ত নিজের একটা জগৎ থাকে, নিজের একটা মানুষ থাকে।
সেই মানুষটার কাছে আমরা শিশু হয়ে যেতে চাই।
আমরা চাই সেই মানুষটা আমার খামখেয়ালি বুঝুক।
আমার রাগ, অভিমান, ভালোবাসা, দুঃখ, আনন্দ সব বুঝুক।
আমি না বলতেই বুঝুক।
এমন হিমের রাতে তুমি হলে ঘোর,
কুয়াশাও হয়ে যায় আদুরে চাদর।
১০
জীবন কী আশ্চর্যরকম অনিশ্চিত, অনির্দেশ্য।
আর মানুষ সেখানে কী ভীষণ অসহায়।
এখানে নাটকের লিখে রাখা পাণ্ডুলিপিও মঞ্চস্থ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে হুট করে বদলে যায়।
হয়ে যায় অচেনা অন্য কোনো গল্প।
সেই গল্পে মানিয়ে নিতে হয় কুশীলবদের।
১১
জগতে নিসঙ্গ মানুষের কান্নার মতো এতো গভীর আর কিছু নেই!
এমন তীব্র আর কিছু নেই!
১২

মানুষের গভীরতম কান্না আর আর গভীরতম প্রার্থনা হয় একা, নিঃশব্দে, গোপনে।

১৩
গভীরতম অন্ধকার মানুষকে যতটা ডুবিয়ে রাখতে পারে, আলো তা পারে না।
অন্ধকার গভীরতম প্রার্থনার সময়। অন্ধকার তীব্র আরাধনার সময়।
কান্না সমর্পণের সময়।

ছদ্মবেশ সাদাত হোসাইন pdf download

ছদ্মবেশ সাদাত হোসাইন pdf download

মানবজনম – সাদাত হোসাইন pdf download

pdf free download link:

অন্দরমহল সাদাত হোসাইন PDF download    

pdf free download link:

তোমাকে দেখার অসুখ pdf download

pdf free download link:

তোমাকে দেখার অসুখ pdf download

শেষ অধ্যায় নেই pdf download by sadat hossain

pdf free download link:

আমি একদিন নিখোজ হব সাদাত হোসাইন pdf download

pdf free download link:

আমি একদিন নিখোজ হব সাদাত হোসাইন pdf - ami-ekdin-nikhoj-hobo-bangla-pdf

জানালার ওপাশে সাদাত হোসাইন Pdf Download

জানালার ওপাশে  Pdf download by সাদাত হোসাইন

বই: জানালার ওপাশে pdf
লেখক: সাদাত হোসাইন
ক্যাটাগরি: সমকালীন গল্প

download link:

সাদাত হোসাইন এর বই সমূহ pdf download সবগুলো আস্তে আস্তে পুনরায় যুক্ত করা হবে, কপিরাইট এর কারণে মুলত সরিয়ে নিয়েছিলাম। 

সাদাত হোসেনের বইগুলো সর্বোচ্চ ছাড়ে সবচেয়ে কম দামে কিনুন bdbookstore থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!