অলিভার টুইস্ট বাংলা অনুবাদ pdf download || Oliver twist bangla translated pdf download

অলিভার টুইস্ট চার্লস ডিকেন্স এর বাংলা অনুবাদ বই পিডিএফ ডাউনলোড

বইয়ের নাম: অলিভার টুইস্ট
লেখকের নাম: চার্লস ডিকেন্স
রূপান্তর: নিয়াজ মোরশেদ
প্রথম প্রকাশ: ১৯৮৯


অলিভার টুইস্ট অনুবাদ বই রিভিউ:

কোন এক শহরে একটি অনাথ আশ্রমে জন্ম নিল অলিভার টুইস্ট। জন্ম হওয়ার দীর্ঘক্ষন সবার মনে হয়েছিল ছেলেটি আর বাঁঁচবেনা।
কিন্তু নিঃসম্বল এক বুড়ি আর ডাক্তারের কারনেই হয়তো বেঁচে গেল।

বাচ্চাটাকে তার মায়ের সামনে ধরার পর তার মা তার কপালে চুমু খেলেন। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই সে এলিয়ে পরলো বিছানায় এবং সেই সাথে অলিভার হয়ে গেল এতিম।
তার কোন পরিচয় জানা গেলনা এবং সেই সাথে বাচ্চাটারও না। অলিভার বেড়ে উঠতে লাগলো আশ্রমে এবং যত রকমের অনাচার এব অবিচার করা যায় তার উপর করা হলো। না খেয়ে কোন রকম তার জীবন চলতে থাকলো কারন খাবার সবার জন্য সীমিত ছিল। সেই সীমিত খাবার থেকে বেশি চেয়ে একদিন তাকে শাস্তি পেতে হয় এবং তাকে যদি শিক্ষানবিশ হিসেবে কেউ নিতে চায় নাকি তার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলো।
গ্যামফিল্ড চিমনির কাজ করেন সে টাকার লোভে অলিভার কে নিতে চাইলেন কিন্তু ভাগ্যগুণে মেজিস্ট্রেটের কারনে তাকে এই বদ লোকের সাথে যেতে হলো না। 
মিঃ বাম্বল তাকে নেয়ার জন্য আবার বিজ্ঞপ্তি দিলেন এবার কফিন তৈরি করেন মিঃ সোয়ারবেরি তাকে নিয়ে গেল ছেলেটাকে দেখে তার খুব মায়া হলো কিন্তু মিসেস সোয়ারবেরি তাকে পছন্দ করলেন না সে বলল শুধু শুধু একজন বেশি লোকের জন্য আলাদা খরচ বাড়লো। তার দোকানে কাজ করা নোয়ার জন্য তার আর এখানে থাকা হলো না। নোয়া  একদিন অলিভারের মা সম্পর্কে খারাপ কথা বলায় সে নোয়াকে মারলো এবং নোয়ার চিতকার শুনে শার্লট এবং মিসেসঃ সোয়ারবেরি দৌড়ে আসলো এবং তিনজন মিলে অলিভার কে অনেক মারধর করলো। মিঃ সোয়ারবেরি আসার পরে অলিভার সম্পর্কে তাকে অনেক খারাপ কথা বলা হয় রেগে যেয়ে সে অলিভার কে দোকানে বন্দী করে রাখলো।
সেইখান থেকে অলিভার পালিয়ে গেল এবং পথেই তার সাথে এক বাচ্চা ছেলের দেখা হলো জ্যাক ডকিনস। সে অলিভার কে বলল তার সাথে গেলে খাবার এবং থাকার জন্য যায়গা পাবে।  না চাইতেও অলিভার তার সাথে গেল। সেখানে ছিল ফ্যারগিন সে বাচ্চাদেরকে চুরি করতে শিখায় যদিও অলিভার সেটা জানতো না কারন খেলার ছলে এসব শেখানো হতো।
একদিন জ্যাক এবং ডজারের সাথে অলিভারকে নিয়ে যাওয়া হলো। অলিভার দূর থেকে দাড়িয়ে দেখছিল সে দেখলো বইয়ের দোকানে দাড়িয়ে থাকা এক বৃদ্ধ লোকের পকেট থেকে তারা চুরি করছে তা দেখে অলিভারের হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেল।
বৃদ্ধ যখন বুঝতে পারলো তারা দুইজন দৌড়ে পালাতে চাইলো এবং অলিভার তাদের পিছু পিছু দৌড় দিল। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা সবার মাঝে মিশে যেয়ে অলিভার কে চোর চোর বলতে লাগলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই অলিভার কে তারা ধরে ফেলল এবং এক লোক তাকে চড় মারলো অম্নি অলিভার মাটিতে পরে গেল।
পুলিশ অলিভার কে নিয়ে গেলে বৃদ্ধ তার সাথে গেল সে যেন কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারলো না অলিভার চুরি করেছে। পর মূহুর্তে দোকানি এসে তা প্রমাণ করলো অলিভার চুরি করেনি অন্য দুইটা ছেলে করেছে। মিঃ ব্রাউনলে অলিভার কে তার সাথে তার বাড়িতে নিয়ে গেল।
মিঃ ব্রাউনলের বাড়িতে দেয়ালে একটা ছবি লাগানো ছিল সেই ছবির সাথে অলিভারের অনেক মিল। সেখানে অলিভারে আদরে যত্নে দিন কাটাতে লাগলো। একদিন মিঃ ব্রাউনলে অলিভার কে তার সব কথা জিজ্ঞেস করতে লাগলো যেই সে বলতে লাগলো অমনি মিঃ গ্রিমউইগ আসলো আর বলা হলো না অলিভারের।
যেই দোকান থেকে লোকটা বই কিনেছিল অলিভার কে টাকা দিয়ে পাঠানো হলো এবং মিঃ গ্রিমউইগ বলল সে আর ফিরে আসবেনা আসলেই তার আর ফিরে আসা হয়নি কারন তাকে সেখান থেকে আবার ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এভাবে আবার শুরু হলো অলিভারের সেই চোর ডাকাতদের সাথে থাকা।
একদিন তাকে নিয়ে যাওয়া হলো ডাকাতি করার জন্য মিসেস মেইলির বাড়িতে কিন্তু টের পেয়ে যাওয়াতে তাকে ফেলেই বাকিরা পালিয়ে আসে। জাইলাস বাড়ির পরিচারক তাকে বাড়িতে নিয়ে যায় কারন তার হাতে গুলি লেগেছিল। মিসেস মেইলি এবং রোজ ছেলেটাকে দেখে মায়ায় পরে যায়। ডাক্তার লসবর্ন আসে এবং তার সেবায় অলিভার ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠে এবং একদিন তারা অলিভারের সব কথা শুনে। সেই থেকে অলিভার তাদের সাথেই থাকতে থাকে।
এরপরও কি ভালো ছিল অলিভার কেউকি কি আর তার পিছু নেয়নি?
মস্কস কি করেছিল অলিভারকে ধরার জন্য?
মিঃ ব্রাউনলে কি আর পেয়ে ছিল অলিভার কে?
রোজ কেন সব সময় আনমনা হয়ে থাকতো?
রোজের সাথে কি অলিভারের কোন সম্পর্ক ছিল বা তার জন্ম পরিচয়ের পেছনে মস্কস বা রোজের কোন যোগসূত্র ছিল?
দারুণ একটা গল্প অলিভার টুইস্ট।
যেমন নাম তেমন টুইস্ট।

Oliver Twist বইটি থেকে মুভি নির্মিত হয়।
# Oliver Twist(1948)
IMDb: 7.8
Rotten Tomatoes:100%
Genre: Drama
Plot: চার্লস ডিকেন্সর অনবদ্য ‘উপন্যাস অলিভার টূইস্ট’ অবলম্বনে নির্মিত এই মুভি।
অলিভার টুইস্ট নামক এক অসহায় শিশুর জীবন নিয়ে এই গল্প।পৃথিবীতে সবাই সুখি হয়ে জন্মায় না।আচ্ছা, তাঁদের জীবন কেমন?যাদের জীবনে মা বাবার স্নেহ নামক আশীর্বাদ জুটে না।
এই মুভিটি দেখলে আপনি সেটা অনুভব করতে পারবেন।অলিভার টুইস্ট নামক সেই ইনোসেন্ট ছেলেটা আপনার মন জয় করে নিবে।আর এটি যে একেবারে শিশুতোষ মুভি মোটেও তা নয়।গল্পে আন্ডারগ্রাওন্ড ক্রিমিনালদের একটা চিত্রও তুলে ধরেছে।সমাজের অনাথ শিশু কিশোররা কিভাবে অপরাধ জগতে ঢুকে তা দেখানো হয়েছে।
পাশাপাশি দেখানো হয়েছে, মননশীলহীন অর্থলোভি সমাজ বাস্তবতাকে।
আশা করি মুভিটি ভালো লাগবে।

অলিভার টুইস্ট pdf

চার্লস ডিকেন্স onubad pdf download(eng version): click here

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *