kapalkundala by bankim chandra chattopadhyay pdf – কপালকুণ্ডলা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস pdf download free
Book
কপালকুণ্ডলা
Author
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
Publisher
মাটিগন্ধা
ISBN
9789849028550
Edition
1st Edition, 2017
Number of Pages
160
Country
বাংলাদেশ
format
epub, MOBI, Pdf free Download(পিডিএফ ডাউনলোড)
কপালকুণ্ডলা বই রিভিউ :
প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবলে পড়ে দিক হারিয়ে জাহাজ এসে আটকা পড়ে এক বিজন দ্বীপে। সেই জাহাজেই ছিলেন নবকুমার। যুবক নবকুমারকে তখন যাত্রীরা কাঠ আহরণে বনে পাঠান। দূর্ভাগ্যবশত নবকুমার দেরী করে ফেললে সবাই মনে করেন সে মারা গিয়েছে, তাকে বাঘ খেয়ে ফেলেছে। তখন তারা জাহাজ নিয়ে চলে যায়, নবকুমারকে বনে রেখেই। নবকুমার ফিরে এসে জাহাজ দেখতে না পেয়ে বিচলিত হয়ে বন থেকে বের হবার পথ খুঁজতে থাকে।
★খুঁজতে খুঁজতে দেখা হয় কাপালিকের সাথে। কাপালিক তাকে খাদ্য, বাসস্থান সরবরাহ করে অপেক্ষা করতে বলে। আসলে কাপালিকের উদ্দেশ্য ছিল নবকুমারকে পূজার নামে বলি দেওয়া। নবকুমার অপেক্ষার আদেশ না মেনে খাদ্যের সন্ধানে বের হলে দেখা হয়ে যায় কপালকুণ্ডলার সাথে যে তার জীবন বাঁচিয়ে পালাতে সাহায্য করে। কপালকুণ্ডলা ছিল কাপালিকের পালিত মেয়ে, সে সব জানত। তাই নবকুমারের জীবন সে রক্ষা করতে পেরেছিল।
★তারা দুজন স্থানীয় মন্দিরে অধিকারীর কাছে গেলে তিনি কপালকুণ্ডলাকে আবার ফিরে যেতে নিষেধ করেন এবং নবকুমারের সাথে পালিয়ে যাওয়ার আদেশ দেন। কপালকুণ্ডলার যেন কোনো কলঙ্ক না লাগে সেজন্য তিনি নবকুমারের সাথে বিয়ে দেন এবং তাদের একসাথে সপ্তগ্রামে অর্থাৎ নবকুমারের গ্রামে ফিরে আসার ব্যবস্থা করেন।
★পথিমধ্যে দেখা হয় মতিবিবি বা লুৎফ-উন্নিসা নামক এক বিদেশিনীর সাথে। লুৎফ-উন্নিসার আসল পরিচয়টা না হয় গোপন থাক। পথিমধ্যে নবকুমারকে দেখে তাকে স্বামীরূপে পেতে ইচ্ছা হয় লুৎফ-উন্নিসার। তার প্রতি নবকুমারের আচরণ, ভালবাসা, আকর্ষণ, ঠিক কেমন ছিল তা পাঠক জানতে পারবে বইটি পড়ে।
★নবকুমারের বাড়িতে এসে সমাজের রীতিনীতি ধীরে ধীরে জানতে শুরু করে কপালকুণ্ডলা। সবকিছু ধীরে
ধীরে মানিয়ে নিয়ে সে সংসার করতে থাকে। তাই তার নাম কপালকুণ্ডলা থেকে পরিবর্তন করে সবাই ‘মৃন্ময়ী’ নামে ডাকে। কিন্তু মতিবিবি আর কাপালিক মিলে তাদের সংসারে প্রতি মুহূর্তে অশান্তির সৃষ্টি করতে থাকে। নবকুমারের মাঝে কপালকুণ্ডলার প্রতি যে বিশ্বাস, ভালবাসা, ভরসা, সব নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। কিন্তু কখনোই এসব ক্ষুদ্র ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করে না নবকুমার, যার কারনে তার মধ্যে এক তীব্র ঘৃণার সৃষ্টি হতে থাকে। নবকুমারের এই জ্ঞানহীনতার শেষ কোথায়!
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক রোমান্টিক উপন্যাস হচ্ছে ‘কপালকুণ্ডলা’। রোমান্টিক উপন্যাস খুব একটা পড়া হয় না, তবে উপন্যাসটি বেশ ভালই লেগেছে। অন্যদিকে বঙ্কিমচন্দ্রের দাঁত-ভাঙ্গা সব শব্দের কারণে অতীতে বাংলা সাহিত্যের গাম্ভীর্যপূর্ণ দিক সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়েছি। যারা রোমান্টিক উপন্যাস পড়তে চান, অবশ্যই কপালকুণ্ডলা উপন্যাসটি পড়ে দেখবেন।