কম বয়সে বিয়ে করলে ৬ টি সুফল!
অল্প বয়সে বিয়ে করার কত উপকারিতা জানেন কি?
জেনে নিন,
কম বয়সে বিয়ে করলে ৬ টি সুফল রয়েছে-!❤️
 ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
১. নং যেনা ব্যভিচার থেকে ফিরে থাকা যায়, যুবক বয়সেই আল্লাহ পাকের খুব প্রিয় হওয়া যায় এবং ইবাদাতে স্বাদ পাওয়া যায় আজে বাজে চিন্তা থাকে না।
২. নং আপনি যদি বয়স ৩০ পার করে বিয়ে করেন, তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই আপনার বয়সের কারণে আপনার মধ্যে যে গাম্ভীর্য চলে আসবে তার জন্য সম্পর্ক খুব বেশি ঘনিষ্ঠ ও মধুর হবে না, বরং ব্যাপারটি তখন এমন হবে যে বিয়ে করার কথা ছিল তাই বিয়ে করেছি,, এ কারণেই আবেগ থাকতে আগেতেই বিয়ে করা উত্তম
৩.নং বেশি বয়সে বিয়ে করলে স্বামী স্ত্রী নিজেদের জন্য খুব বেশি সময় পান না, বরং বছর ঘুরতেই সন্তান দায়িত্ব কাঁধে এসে পরে, আর একবার সন্তান হয়েগেলে দু’জনে একান্তে কাটানোর মতো সময় হয়ে উঠে না, তাই অল্প বয়সে বিয়ে করলে সঙ্গীর সাথে একান্ত কাটানোর মতো অনেকটা সময় পাওয়া যায়, যার ফলে সম্পর্ক ভালো ও মধুর থাকে।
৪. নং অল্প বয়সে বিয়ে করলে স্বামী স্ত্রী ২ জনে মিলে জীবনের সবকিছু ভাগাভাগি করে নেয়া যায় এবং প্রত্যেকের মানসিক ও কম অনুভব হয়
৫. নং মানুষের গড় আয়ু কিন্তু কমছে, আর আপনি দেরীতে বিয়ে করলে সন্তান মানুষ করার বিষয়টাও পিছিয়ে যাবে এবং আপনার মানসিকতা ও কিন্তু দিন দিন নষ্ট হতে থাকবে,, তাই একটু কম বয়সে বিয়ে করলে সন্তানের জন্য খুব ভালো পিতা উদাহরন হতে পারবেন।
৬. নং বিভিন্ন কারণে অনেকেই সঠিক সময়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না, তাই এখন ডিভোর্সের সংখ্যা ও অনেক বেড়ে গেছে, আর অল্প বয়সে বিয়ে করে যদি অল্পতেই কোন কারনে ভেঙ্গে যায় তাহলে ২য় বার আবার গুছিয়ে নেয়ার সুযোগ পাওয়া যায়, কিন্তু দেরীতে বিয়ে করলে সেটা সম্ভব হয়ে উঠে না।
মোট কথা কম বয়সে বিয়ে করা অতি উত্তম
≕ এখন ভাবতে পারেন সরকারের আইন আছে ১৮ বছরের আগে কোন মেয়ের বিয়ে দেয়া যাবে না, শোনেন আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসূল (সাঃ) এর হুকুম লঙ্গন করে কোন সরকারের হুকুম মানা যাবেনা৷
এই পোস্ট পড়ে বাড়ি গিয়ে আবার তোলপাড় শুরু কইরেন না। যে শরিয়ত বলছে অল্প বয়সে বিয়ে করতাম বা বসতাম!! বরং দ্বীন বুঝাতে হবে৷
আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এরশাদ করেন, হে যুব সম্প্রদায় তোমাদের মধ্যে যে বিবাহের সামার্থ রাখে সে যেন বিয়ে করে নেয়, কেননা তা চক্ষুকে অবণত রাখে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাযতে রাখে। (বোখারী, মুসলিম)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, (আসল) তাওরাত কিতাবে লেখা আছে, যার মেয়ে বার বছর বয়স হয়েছে আর সে তার বিবাহ দেয় নাই, ফলে সে মেয়ে যে কোন ধরনের যেনায় লিপ্ত হবে, তার গুনাহ পিতার গাঁড়ে উঠবে। (বায়হাক্বী শরীফ)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন যে, যখন বান্দা বিবাহ করল, নিশ্চই সে তার দ্বীনের অর্ধেক পূরণ করল এবং বাকি অর্ধেক সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় করবে। (মেশকাত শরীফ)
এ হাদিস দ্বারা বুঝা যায় বিয়ে করতে ও বিয়ে দিতে এটা আগেভাগেই সমাধা করতে হবে,,
চিন্তা করি আমরা নিজের পায়ে না দাঁড়িয়ে বিয়ে করা ঠিক হবে না, রিজিকের মালিক আল্লাহ তায়ালা, এ চিন্তা করা যাবে না যে চাকরি আমাকে খাওয়াবে, সাধারণ একটু আয়ের উৎস থাকলেই বিয়ে করে নিবেন৷
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
❝আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস দাসীদের বিবাহ দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী।❞ (সূরা আন-নূর 24:3)
সর্বশেষ বলতে চাই, আসলে এই পোস্টগুলো বর্তমানে স্বপ্নের মতো তাই
ইসলামের দ্বীন কে এবং নিজের চরিত্র কে হেফাজত করতে পরিবারকে এ বিষয়ে বুঝিয়ে বলুন, ইন শা আল্লাহ সফল হবেন ❣️
credit : main autor. this is a copy post. ইসলামিক জ্ঞান সম্প্রসারণের জন্য এই পোস্টটি কপি করে এখানে দেয়া হয়েছে>