খোয়াবনামা Pdf Download (আখতারুজ্জামান ইলিয়াস) – Khowabnama Akhtaruzzaman Elias Pdf Download
Khowabnama pdf download by Akhtaruzzaman Elias. খোয়াবনামা আখতারুজ্জামান ইলিয়াস pdf free download.
book | খোয়াবনামা (আনন্দ পুরস্কারপ্রাপ্ত) |
Author | আখতারুজ্জামান ইলিয়াস |
Publisher | মাওলা ব্রাদার্স |
ISBN | 9844100615, উপন্যাস |
Country | বাংলাদেশ |
format | epub, MOBI, Pdf free Download(পিডিএফ ডাউনলোড) |
বাংলা সাহিত্যের রত্ন বলে যদি কিছু থাকে তন্মধ্যে খোয়াবনামা একটি৷ খোয়াবনামা বাংলাদেশি কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের একটি বিখ্যাত উপন্যাস। এটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে, মাওলা ব্রাদার্স প্রকাশনী থেকে। একই বছরের এপ্রিলে বইটি বেরোয় পশ্চিমবঙ্গের নয়া উদ্যোগ প্রকাশনী থেকে। ওই বছরই উপন্যাসটি প্রফুল্ল কুমার সরকার স্মৃতি আনন্দ পুরস্কার এবং সাদাত আলী আকন্দ পুরস্কার লাভ করে।
বিলের উত্তর সিথানে পাকুড় গাছে মুনসির আরশ। মুনসির ডাকে রাত-বিরাতে কাৎলাহার বিল ঘুম চোখে পাড়ি দেয় বাঘাড় মাঝির নাতি, তমিজের বাপ। জমিদারি উচ্ছেদ আইন পাশ হওয়ার আগ মুহূর্ত, বিলের ইজারা নেয় এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি শরাফত মন্ডল।বিলে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে যায় মাঝিদের। উত্তর ধারে গাছ কেটে বানায় ইটের ভাটা। কাটা পড়ে মুনসির আরশ? নাকি নিজেই গাছ উড়িয়ে নিয়ে অসন্তুষ্ট মুন্সি চলে যায় এলাকা ছেড়ে? হারানো গাছের খোঁজেই নিখোঁজ হয় তমিজের বাপ।
বিল ডাকাতির কেসে এক বছর জেল খেটে এসে তমিজ,বাপের মৃত্যুতে কাহিল হয়ে , সৎ মা কুলসুমের কাছে, বাপের গায়ের ওমের খোঁজ করে।
মাঝির বেটা হয়েও তার ঝোঁক কৃষি কাজের দিকে। নিজের হাল গরু নেই, তবু বর্গা চাষী হওয়ার শখ। ওদিকে শুরু হয় বর্গা চাষীদের ন্যায্য ফসলের দাবীতে তেভাগা আন্দোলন। খিয়ারে কাজ করতে গিয়ে তমিজ দেখে আসে সব। নিজের এলাকার চাষীদের মধ্যে নেই কোনো উত্তেজনা।
ফুটে ওঠে দেশভাগের পূর্ববর্তী সময়, হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। ওপারে মুসলিম হত্যার খবরে এপারে সরব হয়ে ওঠে স্বধর্মীরা।মাঝিপাড়ার মুসলমানরা হামলা করে কামারপাড়া। এক রাতে খুন হয় এলাকার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী মুকুন্দ সাহার দোকানের কর্মচারী বৈকুন্ঠ গিরি।
পুরনো আমলের কথায় কিঞ্চিৎ উঠে আসে ফকির-মুনসি আন্দোলন। সব মিলিয়ে ইতিহাসের অনেকটাই পাওয়া যায় বৃহৎ এই লেখনীতে। তবু সবশেষে উপন্যাস কেবলি ইতিহাস নয়। এতে যেমন আছে গ্রামীন চরিত্রের নিখুত গাঁথুনি, ঘটনার বিস্তৃতি,তেমনি উৎকন্ঠিত আবেগ কাজ করে পড়তে গেলে। সব মিলিয়ে বাংলা সাহিত্যের একটা অবশ্য পাঠব্য বই।
এই উপন্যাসটি মূলত বঙ্গভঙ্গ (১৯৪৭)-এর কিয়ৎকাল পূর্ব এবং পরবর্তী সময়কাল নিয়ে রচিত। এর কাহিনী বিস্তৃতিলাভ করেছে বগুড়া জেলার একটি ক্ষুদ্রাকার ও প্রত্যন্ত জনপদে। অঞ্চলটির কেন্দ্রে রয়েছে একটি বিল, যার নাম কাৎলাহার; এবং কাৎলাহার ঘিরে গড়ে উঠেছে গিরিরডাঙা, নিজগিরির ডাঙা, গোলাবাড়ি হাট ইত্যাদি পল্লীসমূহ। এইসব জনপদে প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ বিষয়ক বিভিন্ন শ্রুতি বা লোককথা, জোতদারি সমাজব্যবস্থা, তেভাগা আন্দোলন, দেশভাগ ও মুসলিম লীগের রাজনীতি, হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক সম্পর্ক ও সংকট প্রবৃত্তি এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য। কাহিনীর প্রয়োজনে এবং বাস্তবতার নিরিখে এতে আরও যুক্ত হয় সাধারণ গ্রাম্য মানুষের অসহায়ত্ব, কাম, ক্ষোভ, ধর্মীয় ও জাতিগত বিদ্বেষ, এমনকি অজাচার।