জীবনস্মৃতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Pdf Download
আজকে নিয়ে এলাম জীবনস্মৃতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর pdf download | jiban smriti rabindranath pdf download free bangla Book:
বিবরণ:
- বইয়ের নামঃ জীবনস্মৃতি
- লেখকঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। (১৮৬১-১৯৪১)
- প্রথম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংস্করণঃ জানুয়ারি, ২০১০।
- মুদ্রিত মূল্যঃ ১৬০ টাকা
- ধরণ: Bangla pdf book free download
জীবনস্মৃতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বই রিভিউ:
‘জীবনস্মৃতি’ বইটির শুরুতে কবি বলেছেন যে, স্মৃতির পটে জীবনের যে ছবি আঁকা হয় সেখানে অবিকল সব থাকে না, যা ইচ্ছে বাদ দেয়া যায় আবার ক্ষুদ্র জিনিস ও অন্তর্ভুক্ত করা যায়, এমনকি ছোট কিছুকে বড়ো করে তোলা যায় কিংবা অনেক সময় বড়োকেও ছোট করা যায়। সেদিক থেকে যদি বলি, কবির কাছে যে অংশগুলো ভীষণ স্মৃতিময় মনে হয়েছে কবি সেগুলোই এই বইটিতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
কবির ছোটবেলা গৃহ থেকে বের না হওয়ার যে বিধিনিষেধ, জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বাহির টা অবলোকন করা যার ফলশ্রুতিতে বড় হয়ে সেই স্মৃতি মনে করে কবি যখন রচনা করেন এ গান,
“খাঁচার পাখি ছিলো, সোনার খাঁচাটিতে, বনের পাখি ছিলো বনে, একদা কি করিয়া মিলন হলো দোহে, কি ছিলো বিধাতার মনে”
এরপর কবি উল্লেখ করেন, ছোট বেলার বিধি নিষেধ শেষ হওয়ার পর যখন স্কুল পালানো শুরু করেন তখন তার বড়দিদি বলতেন, ” আমরা সকলেই আশা করিয়াছিলাম, বড়ো হইলে রবি মানুষের মতো হইবে, কিন্তু তাহার আশাই সকলের চেয়ে নষ্ট হইয়া গেল!” কিন্তু কবির বাবা সর্বদা কবিকে উৎসাহ দিয়েছেন সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে, বিভিন্ন জায়গায় ছেলেকে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন, এছাড়া কবির জ্যোতিদাদাও তার লেখার জন্যে অনেক অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন৷ এরপর বিহারীলালের সান্নিধ্যে এসে সাহিত্যিক মন আরো উৎফুল্ল হয়ে যাওয়া সহ, বিভিন্ন সময়ের প্রেক্ষিতে লেখা ভগ্ন হৃদয়, কড়ি ও কোমল, সন্ধ্যাসংগীত, মৃত্যুশোক প্রভৃতির ঘটনা বেশ অনেক উপমা এবং বর্ণনার মধ্য দিয়ে কবি এই বইটিতে প্রকাশ করেছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমার খুব পছন্দের একজন কবি। তার লেখা ‘মানসী’ ‘শেষের কবিতা’ ‘নৌকাডুবি’ ‘চোখের বালি’ প্রত্যেকটাই আমার ভীষণ প্রিয়। আর রবীন্দ্রসংগীতের কথা নাই বা বললাম।
কিন্তু এই প্রথম রবীন্দ্রনাথের লেখা পড়ে কেন যেন খুব বেশি আগ্রহ খুজে পেলাম না। এর আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর জীবনের সাথে সম্পর্কিত কিছু বই যেমনঃ ‘আমি মৃণালিনী নই’ ‘কাদম্বরী দেবীর সুইসাইড নোট’ ‘ঠাকুরবাড়ির আঙিনা’ এই বইগুলো এর কোনো টাই আমার কাছে এরকম মনে হয়নি। হয়তো এ বইগুলো পড়ার ফলে অজান্তেই আমি কাদম্বরী দেবী মানে রবীন্দ্রনাথের নতুন বৌঠানকে খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম কিন্তু খুব ই অল্প কিছু জায়গায় কেবল তার কথা ছিলো, কিছু জায়গায় মনে হচ্ছিলো ইচ্ছে করে কবি নতুন বৌঠানের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাচ্ছেন। যেমন, যতদুর জানতাম, গঙ্গার ধারে জাহাজে জোসনার রাতে জ্যোতিদার বেহালা বাজানো আর রবীন্দ্রনাথের গান শোনার একমাত্র দর্শক ছিলো কাদম্বরী দেবী কিন্তু তার কথা ছিলো ই না এখানে। এছাড়া মৃত্যুশোক পার্ট টিতে কবি বুঝিয়েছেন কবির মায়ের মৃত্যুর সময় তার ততটা মৃত্যু নিয়ে স্পষ্ট ধারণা ছিল না কিন্তু পরবর্তীতে বাড়ির কনিষ্ঠ বধুর মৃত্যু তে তিনি সেটা উপলব্ধি করেছেন এমন কিছু একটা বুঝিয়েছেন কিন্তু সরাসরি বললেন না। আর বেশ কিছু জায়গায় ছোট্ট কিছু নিয়ে অনেক বর্ণনা ছিলো।
যাইহোক, আমি ভুল হতেই পারি, আমার ভাবনাও ভুল হতে পারে। এই বইটির পাঠক হিসেবে আমার এরকম মনে হলো তাই বললাম…