ইসলামিক বই pdf (বিশাল কালেকশন) - islami boi pdf free

বিশ্বাসের যৌক্তিকতা রাফান আহমেদ Pdf Download – Rafan Ahmed Books

বইয়ের নাম: বিশ্বাসের যৌক্তিকতা pdf

লেখক: রাফান আহমেদ

ফাইল ফরম্যাট: পিডিএফ ডাউনলোড(download)

সাইজ: ২১ মেগাবাইট

পাবলিকেশন্স: সমর্পণ প্রকাশন

বইয়ের ধরণ: ঈমান, আক্বিদা ও তাওবাহ বই

বিশ্বাসের যৌক্তিকতা রাফান আহমেদ Pdf Download - Rafan Ahmed Books

বিশ্বাসের যৌক্তিকতা রাফান আহমেদ pdf বই রিভিউ:

যারা রাফান আহমেদ ভাইয়ের বিশ্বাসের যৌক্তিকতা (Reasons To Believe) বইটি পড়েছেন সবারই বইটি ভাল লাগার কথা। “শুনলাম এবং মেনে নিলাম’ দলের সদস্য হবার চেষ্টায় থাকলেও, ব্যক্তিগতভাবে যুক্তি-তর্ক আমার খুব পছন্দের। স্রষ্টা আসলেববিজ্ঞানের আলােচ্য টপিকের মধ্যে পড়ে না। কিন্তু আমরা যদি বিজ্ঞানকে স্রষ্টার সৃষ্টির একটা অংশ ধরে নিই, তাহলে বিজ্ঞানের কোন কিছুই স্রষ্টার বিপরীতে
যেতে পারে না। স্রষ্টা বিজ্ঞানের বিষয় না হলেও, বিজ্ঞানের sign এর মাঝেবস্রষ্টাকে তখন অনায়াসে খুঁজে পাওয়া যাবে। বস্তুবাদী দুনিয়ার খপ্পরে পড়ে বর্তমান বিজ্ঞান বড্ড একপেশে হয়ে গেছে।
স্রষ্টার সাথে বস্তুবাদী দুনিয়া যেন এক মহা সংগ্রামে লিপ্ত। কিন্তু, বস্তুবাদী দুনিয়াবযতােই রঙচঙে ভাবমূর্তি নিয়ে আমাদের সামনে এসে দাঁড়াক না কেননা,বসত্যের সামনে সে বারবার পর্যদুস্ত হতে বাধ্য। বিজ্ঞানে বিশ্বাসের কোন স্থান নেই, এটা স্রেফ তথ্য প্রমাণ নির্ভর – এ কথাটা পুরােপুরি ঠিক নয়। কিন্তু ধর্মের মূল ভিত্তিই হলাে বিশ্বাস। তাছাড়া বিজ্ঞান আজ এটা বলছে তাে কাল ওটা। বিজ্ঞানকে আমরা চির-নির্মাণাধীন (endlessly becoming) প্রক্রিয়া বলতে পারি। এখানে কোন কোন থিওরি দুইশাে বছর টিকে, আবার কোন কোন থিওরি দুই সেকেন্ডও টিকে না। এই হলাে বিজ্ঞানের অবস্থা।
বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের কোন সংঘাত নেই, সহাবস্থান আছে। কিন্তু বস্তুবাদী দুনিয়া আমাদের চোখে একটি রঙিন চশমা পরিয়ে বুঝানাের চেষ্টা করে যে, ধর্ম এবং বিজ্ঞান পরস্পর সাংঘর্ষিক। রাফান আহমেদের ছােট অথচ ব্যাপক তথ্যবহুল এই বইটিতে তিনি প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে,

ধর্মবিশ্বাস মানুষের একটি সহজাত বিষয়। এটি সে জন্মগতভাবে পেয়ে থাকে। এটি বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক নয়।

ড. রাফান আহমেদ লিখিত ‘বিশ্বাসের যৌক্তিকতা’ গ্রন্থটিকে ধুয়ে দেওয়ার চেষ্টায় সম্প্রতি দেখলাম যে, bcb pseudoscience গ্রুপ দ্বারা অপবিজ্ঞান খণ্ডন করা হয়েছে। যদিও ওখানে উল্লেখ করা হয়েছে: আলোচনায় স্রষ্টা ও ধর্ম অগ্রাহ্য করা হয়েছে।

ঐ আর্টিকেল ছিল নিম্নরুপ: 
  পশ্চিমা দর্শনবিদ্যার একটি পরিভাষা ‘মৌলিক বিশ্বাস'(Basic Belief)। আপনি এখন এখানে আছেন, আপনি সত্যিই অস্তিত্বশীল, আমাদের চারপাশ সত্যিই অস্তিত্বশীল_  শুধু হোমিনিডদের মধ্যে চেতনা আছে।হোমিনিডদের একমাত্র অস্তিত্বশীল বংশপ্রজাতি হোমো সেপিয়েন্স সেপিয়েন্স বর্তমান পৃথিবীতে টিকে আছে ও (মূলত আর্থ-সামাজিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক) বিবর্তনের ধারাবাহিকতা বয়ে নিয়ে চলেছে। অন্য কোনো জীবের ক্ষেত্রে চেতনা বা কনশাসনেস বিকশিত হয় নি। 
১) Metaphysics বা অধিবিদ্যা অবৈজ্ঞানিক। Metaphysics এর উপস্থিতি দ্বারা বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা প্রমাণিত হয় না। অলৌকিকতাও প্রমাণিত হয় না।
২) ফ্রি উইলের অস্তিত্ব বিজ্ঞানে ভুল প্রমাণিত। Free will বলতে libertarianism বোঝালে তা বিজ্ঞানে অসমর্থিত।Free will বলতে compatibilism বোঝালে তার বিজ্ঞানের দর্শন সমর্থিত।
৩) বিবর্তন বাস্তব। অতিরিক্ত আলোচনায় যাচ্ছি না।
৪) আমরা ম্যাট্রিক্সে নেই। আমরা ম্যাট্রিক্সে থাকলে তার স্টিমুলেশন যে দিচ্ছে সে মাধ্যম বস্তুমাধ্যম। ম্যাট্রিক্স আছি বললে ম্যাট্রিক্স জগতের বাইরে কোনো বস্তুজগৎ নেই সে ধারণা সঠিক নয়। বস্তু আছে বলেই ম্যাট্রিক্স তৈরি হওয়া সম্ভব। 
দ্বিতীয়ত আমরা ম্যাট্রিক্স নেই। ম্যাট্রিক্সে থাকলে আমরা আমাদের বিশ্বাস কে নিয়ন্ত্রন করতে পারতাম না। ইচ্ছা নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম না। যদি নিহত করতে পারতাম তাহলে আমরা যেকোনো জিনিস চিন্তা করলে তাই ফলতো যদি এখান থেকে লাফ দিয়ে তিন তলা চিন্তা করতাম,তাই করতে পারতাম ।  জগতে কিন্তু তা আমরা করতে পারি না। আমরা সবকিছু বিজ্ঞানের সূত্র চলি। তাই প্রমাণ করে ম্যাট্রিক্স জগতে নেই।
৫)বিজ্ঞানের দর্শন অনুসারে এই জগত বস্তুজগৎ ।এখানে বস্তু ছাড়া অন্য কিছু নেই। বস্তুর দুটি রূপ particle ও wave অবস্থান করে। বস্তু ভর ও শক্তি আকারে থাকে। ডার্ক ম্যাটার এক ধরনের বস্তু। এটা মায়া জগৎ নয় কারণ বস্তুজগৎ আমাদের চেতনা নিরপেক্ষভাবে অবস্থান করে আমরা যা চিন্তা করি তার উপরে বস্তুজগৎ কোন পরিবর্তন হয় না। আমি মানি না মানি বস্তুজগৎ আমার ভাব বা চিন্তা চেতনার সাথে নিরপেক্ষভাবে অবস্থান করে।
৬) চেতনার ব্যাখ্যায় বিজ্ঞান একমাত্র পথ। মস্তিষ্কে স্নায়ু মাধ্যমে ক্রিয়া-বিক্রিয়ায় চেতনা তৈরি। বস্তু থেকে ভাব উৎপন্ন হয়েছে। আমি মনে করি বলেই বস্তু আছে এমন নয়। বস্তু প্রায়র। বস্তু ছাড়া ভাবের বাস্তব অস্তিত্ব নেই।
চেতনার সুষম ব্যাখ্যায় বিজ্ঞান যে হাইপোথিসিস এনেছে তার নাম integrated information hypothesis.
৭)চেতনার ব্যাখ্যায় বস্তুবাদ অংশত অক্ষম।
বস্তুবাদের ইংরেজি naturalism ঠিক নয়, materialism. দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ এলোমেলো ধারণা দেয় না, বিজ্ঞানের সূত্র মেনে মহাবিশ্ব যেরকম গাণিতিকভাবে সুসামঞ্জস্য দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ সেরকমই। বিজ্ঞানের দর্শন দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ, reductionism, rationalism ,objectivism, empiricism, logic। বিজ্ঞানের দর্শন বলতে শুধু বস্তুবাদ কে বোঝায় না।
দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ অনুসারে মস্তিষ্কের স্নায়ুমাধ্যমে দ্বান্দ্বিক ক্রিয়ায় কনশাসনেস বিকশিত। চেতনার ব্যাখ্যায় দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ সফল।
  একমাত্র দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ ভাববাদ মুক্ত। অন্য সব বস্তুবাদ ভাববাদী ও কোনো না কোনো ভাবে ব্যর্থ, প্রতিক্রিয়াশীল।
৮) শূন্য থেকে মহাবিশ্ব সৃষ্টি নিয়ে বহু আলোচিত ও এখনও পর্যন্ত অপ্রমাণিত হাইপোথিসিস ও ভার্চুয়াল পার্টিকেল ,ভ্যাক্যুম এনার্জির উপস্থিতি নিয়ে বিজ্ঞানীরা আশাবাদী।
৯) মহাবিশ্ব চেতনা নিরপেক্ষভাবে অবস্থান করে বিশ্বাসের ওপর নির্ভরশীল নয় । ধরো একটি হোমো ইরেকটাস বা হোমো নিয়ানডার্থাল কী বিশ্বাস করছে, বড়ো হচ্ছে তাতে কিছুই যায় আসে না। বিশ্বাস subjective। 
১০) মানুষের চোখে সেটা তথ্য মনে হচ্ছে অন্যকে সেটা অন্য কিছু ।তথ্য বিমুর্ত নয় ।মানুষই তাকে অর্থপূর্ণ তৈরি করেছে মানে তথ্য বানিয়েছে, তার আগে সেটা মূর্তই ছিল এবং অর্থহীন ছিল।
১১) DNA একটি ভাষা। এটা অপবিজ্ঞান।
এই argument কুযুক্তি। এটি equivocation fallacy।
: যখন একটি শব্দ দুটি ভিন্ন অর্থে কোন আর্গুমেন্টে ব্যবহার করা হয় তখন সেটি একটি কুযুক্তি।
DNA কোনো communicational language হতে পারে না।এটি programming language যদি ধারণা করা হয়, কম্পিউটার কোডের মতো। এটি প্রাকৃতিক নির্বাচন থেকে এসেছে।তাই এটি ভাষা হিসেবে প্রোগ্রামিং ভাষা হিসেবে ধারণা করা যেতে পারে যার লেখক প্রাকৃতিক নির্বাচন। অর্থাৎ এটি ব্যক্তিসৃষ্ট ভাষা বা কোনো product of mind নয়।
 
১২) বিবর্তনবাদ প্রাণের উৎপত্তি নিয়েও কাজ করে।
প্রাণের উৎপত্তি নিয়ে যেটা কাজ করে সেটা ডারউইনের বিবর্তনবাদ নয়, সেটা কেমিক্যাল ইভোলিউশন, এবায়োজেনেসিস হাইপোথিসিস, আরএনএ ওয়ার্ল্ড হাইপোথিসিস।
১৩) প্রকৃতি বিজ্ঞানের সূত্র চলে। বিজ্ঞানের সূত্র দ্বান্দ্বিকতায় তৈরি হয়েছে। হাইপোথিসিস ।  ভার্চুয়াল পার্টিকেলে ফ্রি ইনার্জি যেমনটি দ্বান্দ্বিকতায় তৈরি হয় তার সঙ্গে তুলনীয়। আমরা মনে করতে পারি, বিগ ব্যাংএর সময় দ্বান্দ্বিকতা অন্যরকম হলে বিজ্ঞানের সূত্র গুলো অন্যরকম হতো। মাল্টি ভার্স ইউনিভার্সের ধারণা মাথায় রেখে মনে করা যায় অন্য মহাবিশ্বে বিজ্ঞানের সূত্র ও ধ্রুবক গুলি মান অন্যরকম। এর পিছনে দ্বান্দ্বিকতা কাজ করছে।
 ঠিক যেমন মহাবিশ্বের সূচনালগ্নে হাইপোথিসিস অনুযায়ী বস্তু ও প্রতিবস্তুর মধ্যে বস্তুর পরিমাণ অতীব সামান্য বেশি হওয়ায় সমস্ত প্রতিবস্তু উধাও হয়ে গেছে। না হলে বর্তমানে বস্তুজগতের পরিবর্তে প্রতি বস্তুজগৎ হতো। এগুলি দ্বান্দ্বিকতার ফল।
১৪) ডার্ক এনার্জি হাইপোথিসিস। কোনরকম গড অফ দি গ্যাপস’নয় । বিজ্ঞান হাইপোথিসিস আনতে পারে ব্যবহারও করতে পারে।
ধর্ম ও স্রষ্টা নিয়ে কোনো রকম আলোচনা সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে শুধুমাত্র অপবিজ্ঞান খন্ডন করে পোস্টটি সমাপ্ত করলাম। তবুও এখনো বহু অধ্যায় রয়ে গেল। সময়াভাবে শেষ করতে পারলাম না। পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।

bisshosera joiktikota rafan ahmed book pdf free download link: 

বিশ্বাসের যৌক্তিকতা Pdf

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!