|

মরণোত্তম সাদাত হোসাইন pdf Download

মরণোত্তম সাদাত হোসাইন pdf book free download 

বই: মরণোত্তম
লেখকের নাম: সাদাত হোসাইন
ক্যাটাগরি: উপন্যাস
প্রকাশক: অন্যপ্রকাশ
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৯৪
সর্বশেষ সংস্করণ: ২০২০ সাল বইমেলা
 
মরণোত্তম Pdf book রিভিউ:
মরণোত্তম যেন এক গল্প না বরং তার চেয়ে বেশি কিছু। যেখানে এক প্রতিবাদী শিক্ষক যাকে তার ছাত্রীর ধর্ষণের বিচার চাইতে শেষমেশ জীবন দিতে হয়। গল্পটিতে আমাদের সমাজের রাজনৈতিক, প্রভাবশালীতার এর বাস্তব ও নির্মম চিত্র উপস্থাপিত হয়েছে। যেখানে প্রতিবাদের এক জ্বলজ্বলে মুখ দবির খাঁ মেমোরিয়াল স্কুলের প্রধাণ শিক্ষক আজিজ খা ও প্বার্শচরিত্র আসাদ।
মূলত সারা গল্পে আজিজ খার হার না মানা মনোভাব ও আমাদের দেশের বর্বর বিচারহীনতার সংস্কৃতির কথা উল্লেখ আছে।
আজিজ খা একজন স্কুল শিক্ষক। দবির খা (তার বাবা) মেমোরিয়াল স্কুলের বেহাল দশা তাকে উদগ্রীব করে তুলে। তিনি সেই স্কুলের বেহাল দফা দূরকরণের দাবী নিয়ে ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে অনশনে বসেন। যদিও অনশনের মূল বিষয় স্কুল এমপিওভুক্ত করণ ছিল না।
তাহলে কি ছিল?
অনশনরত অবস্থায় আজিজ খার সাথে দেখা হয় কবি আসাদের। আসাদের আচরণে প্রথমে আজিজ খা বিভ্রান্ত হলেও আসাদের বুদ্ধিদীপ্ত কথা বার্তার তিনি মুগ্ধ হন। মূলত আসাদ আজিজ খার সামনে আমাদের দেশের প্রতিবাদের নির্মম চিত্র ও আজিজ খার অনশনের স্বার্থকতা নিয়ে সন্দেহপোষণ করেন। তার যুক্তি গুলো যৌক্তিক ছিল বটে। এদেশে মানুষ অনেক বেশি আর এমপি মন্ত্রী, আমলাদের এত সময় নেই এসব অনশনের মনোযোগ দেওয়ার। তাই এসব নেহায়েত তুচ্ছ। এসব বলে গল্পে লেখক সাদাত হোসেন আসাদের মাধ্যমে কিছু বাস্তব চিত্র বর্ণণা করেছেন।
পরে আসাদ ও আজিজ মাস্টারে পুলিশ মারধর করে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে রাজনৈতিক সন্দেহ প্রকাশ করে তাড়িয়ে দেয়। এতে আজিজ খা অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ অবস্থায় আজিজ খা আসাদের ঘরে ঘুমের ঘোরে নানা কিছু বলতে থাকে।
এবং এটাই গল্পটার টার্নিং পয়েন্ট। আসাদ, আজিজ খার মুখ থেকে কোহিনুরের কথা জানতে পারে।
আজিজ খা সুস্থ হলে আসাদ আজিজ খার কাছে কোহিনুর সম্পর্কে জানতে চান।
আর আসাদ তার সন্দেহ সম্পর্কে নিশ্চিত হন যে আজিজ সাহেব স্কুল এমপিও ভুক্ত করতে ঢাকায় আসে নি। তার উদ্দেশ্য ছিল অন্য।
আজিজ খা আসাদ কে প্রথমে কোহিনুর সম্পর্কে জানাতে না চাইলেও আসাদের কথায় আবেগপরায়ণ হয়ে আজিজ খা ঘটনা খুলে বলেন।
কোহিনুর ছিল আজিক খা মেমোরিয়ালের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। কোহিনুর সহ তার বান্ধবীরা স্কুলে আসার পথে বখাটেদের দ্বারা ইভটিজিং’এর শিকার হতো। যার নেতৃত্ব দিত স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুল মোল্লার ছেলে রাকিব। নুরুল মোল্লা গল্পের নিকৃষ্ট চরিত্র যার বিরুদ্ধে আজিক খা আমৃত্যু প্রতিবাদ করে গেছেন।
মেয়েরা এই বিষয়টি আজিজ খা’কে জানায়। আজিজ খা শুনে নুরুল মোল্লার আছে বিচারের তদবীর করে এবং তার বিচার করার মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে আজিজ খা খুশি হোন। তবে এসব ছিল নুরুল মোল্লার ভণ্ডামি।
কিছুদিন পরে হঠাৎ কোহিনুর সেলিং ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করে। এবং সে আত্মহত্যা করার আগে আজিজ খার বাড়ি এসেছিল কিন্তু আজিজ খা স্কুলের কাজে থানা শহরে ছিল।
পরদিন সকালে কোহিনুরের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। সেই দিন বিকালে কোহিনুর আজিজ খা’কে না পেয়ে তার মেয়ে রুমার কাছে একটি বই রেখে যান।
আজিক খা ঘটনা বুঝতে পারে যে কোহিনুরের সাথে খারাপ কিছু ঘটেছে। তিনি নুরুল মোল্লার কাছে বার বার ছুটে গেলেও নুরুল মোল্লা মিথ্যা আশ্বাস দেন ও বিষয়টি স্বাভাবিক ভাবে নেয়।
আজিজ খা পুলিশের কাছে বারবার গেলেও পুলিশ নুরুল মোল্লার ভয়ে মামলা নিতে অস্বীকার করে ও তাকে অপমান করে বের করে দেয়।
কিছুদিন পর আজিজ খার মেয়ে রুমার কোহিনুরের দেওয়া সেই বইটির কথা মনে পড়া ও তা সে আজিজ খা’কে দেন। আজিজ খা বইয়ের ভিতর একটি চিঠি আবিষ্কার করে ও স্তম্ভিত হয়ে যায়।
কি ছিল চিঠিতে? প্রশ্ন করে আসাদ।
চিঠিতে কোহিনুর লিখেছিলো, রাকিন নয়, নুরুল মোল্লা কর্তৃক তার উপর তীব্র পশুসুলভ নির্যাচনের কথা। আজিজ খা’র সন্দেহ পরিষ্কার হয়ে যায়। মূলত কোহিনুর ধর্ষণের প্রতিবাদে তিনি ঢাকায় আসেন ও তার মনে হয় তার জন্যেই যেন কোহিনুরের জীবন দিতে হয়েছে কারণ তিনিই কোহিনুরকে নুরুল মোল্লার কাছে বিচার চাইতে পাঠিয়েছিলেন।
কোহিনুরে এই ঘটনার জন্যে আজিজ মাস্টার বিভিন্ন মহলে ছুটে গেলেও লাভ হয়নি তাই সে বৃহৎ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ঢাকার আসে।
সব কথা শুনার পরে আসাদ তাকে গ্রামে ফিরে যাওয়া কথা বলেন এবং মনে করিয়ে দেন গ্রামে আজিজ খা’র মেয়েদের কথা। তাদের যদি কিছু হয়। আজিজ খা’ বলেন সবাই যদি শুধু নিজেদের কথা চিন্তা করেন তাহলে কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ ও বিচার হবে না। তাই আসাদ তাকে গ্রামে যাওয়া জন্যে বাসে উঠিয়ে দিলেও সে কিছুদূর গিয়ে নেমে পড়েন ও প্রসক্লাবের সামনে গিয়ে গায়ে কেরোসিন ধরিয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে প্রতিবাদ করতে থাকেন। কিন্তু তার মধ্যে মৃত্যু ভয়ও ছিল যা সে প্রকাশ করেননি। তিনি ভেবেছিলেন তার অবস্থা দেখে তার দাবী (কোহিনুর ধর্ষণের বিচার) মেনে নেওয়া হব। কিন্তু তা হয়নি। চারপাশের মানুষ যেন শুধু তামসা দেখছে ও তার জীবন নাশের মুহূর্ত দেখার অপেক্ষায় আসে। চারিদিকে ভীড় জমে যায়। তিনি আসাদকে খুজে কিন্তু তাকে পাওয়া মুশকিল।  মশাল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হঠাৎ আজিজ খা পরে যায় ও তার হাতের মশাল থেকে তার হাতে আগুন ধরে যায়। তিনি মৃত্যু বরণ করে।
তার মৃত্যুর পর জনগন তীব্র আন্দোলন শুরু করে ও পরে কোহিনুরের ধর্ষকের আটম করা হয়। দবির খা মেমোরিয়াল স্কুল এমপিও ভুক্ত করা হয়। আজিক খা’র নামে কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
গল্পে এক প্রতিবাদী শিক্ষকের চিত্র তুলে ধরা হয় যাকে সবশেষে নিজের জীবনের বিনিময়ে তার ছাত্রী ধর্ষণের বিচার করাতে হলো। ব্যাস? জীবন দিলেই কি আমাদের টনক নড়বে। আর কত শোষিত হবে দুর্বলেরা। প্রশ্ন থাকল।
বইটি পড়ে উত্তর দিবেন। আশা করি আপনার চিন্তা চেতনা বদলাবে।
-মরণোত্তম।
-মরণোত্তম?
-হুম
-কেন? মরণোত্তম মানে কী?
-মরণোত্তমের কোন মানে নেই। কিংবা আছে।
-কী মানে?
-যেখানে জীবনের চেয়ে মৃত্যু উত্তম। মরণই উত্তম। জীবিত মানুষটির চেয়ে মৃত মানুষটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে, সেখানে মরণই তো উত্তম। কি উত্তম না?
 
মরণোত্তম – সাদাত হোসাইন [উপন্যাস] Download link: click_here
(২২পৃষ্ঠা)
book collected from: আমারবই.কম

মরণোত্তম সাদাত হোসাইন pdf

Next: coming soon:

নিঃসঙ্গ নক্ষত্র – সাদাত হোসাইন pdf Download

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *