মেঘডুবি কিঙ্কর আহসান pdf (eBook)
meghdubi kingkor ahsan pdf free (eBook)
বই: মেঘডুবি
লেখক: কিঙ্কর আহসান
লেখক: কিঙ্কর আহসান
ক্যাটাগরি: উপন্যাস
কিঙ্কর আহসান উক্তি-
নদীর কূল ভাঙে,খোঁজ রাখ,
ভাঙলে মন, কোই থাক?
বৃষ্টি ডুব, ভিজলে খুব,
বর্ষাতি হই? তবুও একটু ডাক!
~কিঙ্কর আহ্সান
এসব ঢেউ কোথা থেকে আসে?
এমন লাজহীন উল্লাসে!
কতক অচেনা, কেউ কেউ তীরে আছড়ে পড়ে মরে,
আমারও বুকের ভেতর সমুদ্র ছিল এক,
ঢেউয়ের আওয়াজ শুনি অন্তরে,
ফুরিয়ে গেলে মেঘ হবো, অনুরোধ ডুবিয়ে দিও কেউ।
__কিঙ্কর আহসান(মেঘডুবি)
কথা শোনে না, ভ হৃদয়,
ভাঙবে ভাঙবে সারাক্ষণ এই ভয়!
আদর করো, উঠবে মাথায় পেলে লাই
বন্ধ গ্যারেজ, ভাঙা হৃদয় এবার কোথায় সারাই?
~ Meghdubi by Kingkor Ahsan.
মেঘডুবি কিঙ্কর আহসান বই রিভিউ:
বাংলা সাহিত্যের এইসময়ের শক্তিশালী জনপ্রিয় লেখক কিঙ্কর আহ্সান। ২০২০ সালের তার নতুন উপন্যাস বই ‘মেঘডুবি’।
রাজা পাথরের ঠিক পাশেই নিখোঁজ হওয়া আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য বাবলু শিকদারের লাশটা ভেসে ওঠে।
সন্ধেটা হবো হবো করছে তখন। আকাশে খুব মেঘ। কিশোর ছেলে ক্রাইত পুং ম্রো বাবাকে ছাড়াই নৌকা নিয়ে বের হয়েছিলো বাইরে। শীতের এই সময়টায় সাঙ্গু নদীতে পানি আর স্রোত থাকেনা বললেই চলে। বুড়ো, মরো মরো বাবাও তাই ছেলে নৌকা নিয়ে একা বের হলে তেমন কিছু একটা বলেনা।
এই নদীর দোষ আছে। রাজা পাথরকে সন্মান করতে হয়। নিয়মিত পুজো দিলে কোনো ক্ষতি করেনা। ক্রাইতের বাড়ি তিন্দু এলাকায়। থানচি ইউনিয়নের মধ্যেই পাথুরে নদীর পাশ ঘেষে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে তিন্দু, রেমাক্রি। দু পাশে যেমন পাথরের পাহাড় তেমনি সাঙ্গু নদীর তলদেশেও পাথরের রাজ্য। এই পাথরে অভিশাপ আছে। তারা মানুষ টেনে নেয়। তিন্দু এলাকার বেশিরভাগ লোকই মারমা আর মুরং উপজাতি। সাঙ্গুর খরস্রোতা বাঁক তাদের ভয়ের কারণ। মানুষ মেরে পিপাসা মেটায় এই নদী।
বাড়িতে আজ ন্যাপি রান্না করা হয়েছিলো। কুটুম এসেছে। অতিথি এলে খাবার দাবারের আয়োজন বেড়ে যায়। ন্যাপি খুব মজার। মাছ, ব্যাঙ, হরিণ আবার কখনো বন্য শুকরের তেল দিয়ে এই খাবারটা তৈরি করা হয়। ক্রাইতের মনে হয় শুধু ন্যাপিই যথেষ্ট নয় সবার জন্য। তাই নৌকা নিয়ে বের হয় সন্ধেবেলা। অল্প সময়ের ভেতরেই কিছু বাইম, বামশ আর বেলিটুরা মাছ ধরে ফেলে সে। সৃষ্টিকর্তা কৃপায় অল্পসময়েরই এতো কিছু পাওয়া গেলো! রাজা পাথরে পুজোটা দেওয়া দরকার।
মাছের সাথে কিছু পাহাড়ী কলা নিয়ে রাজা পাথরের শরীর ছুঁয়ে ক্রাইত যখন বাড়ির দিকে ফিরবে ঠিক তখনই দেখতে পায় ফোলা কলসির মতোন, ফুলে ওঠা, পঁচে যাওয়া একটা লাশ। মুখ, চোখ দেখে পরিচয় জানার উপায় নেই। একটা আইডি কার্ড ছিলো লোকটার বুকপকেটে। লেমিনেশন করা তাই পানি কোনো ক্ষতি করতে পারেনি কার্ডটার।
ক্রাইতের পড়াশোনা খারাপ না। বাংলাটা একটু আধটু আয়ত্তে আছে। বানান করে দিব্যি পড়তে পারে। আইডি কার্ড দেখেই জানতে পারে লোকটার নাম বাবলু শিকদার। সরকারী চাকুরে। কী ভয়ংকর!
ক্রাইত পালিয়ে যাবে ভাবে। পাহাড় থেকে অন্ধকার নেমে আসছে নিচে পিশাচের মতোন। অন্ধকারের শরীর পেঁচিয়ে ধরেছে শীত। কাঁপুনি ধরে। ক্রাইত ঠকঠক করে কাঁপে। শীতে না ভয়ে বোঝা যায়না!
ভালোবাসা নিয়ে পাশে থাকতে হবে। বইয়ের কথা ছড়িয়ে পড়ুক। পৃথিবী বইয়ের হোক।
এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়ে তরুণ প্রজন্মের অন্যতম পাঠকপ্রিয় কথাসাহিত্যিক কিঙ্কর আহ্সানের ‘মেঘডুবি’।
এটি প্রকাশ করেছে প্রকাশনা সংস্থা অণ্বেষা।
লেখক কিঙ্কর আহ্সান ‘মেঘডুবি’ নিয়ে বলেন,- ‘মেঘডুবি’ অন্য এক পৃথিবীর গল্প। খুব পরিচিত, জানাশোনা হলেও এই গল্পের চরিত্রগুলোর নাগাল পাওয়া কঠিন মনে হয়েছে আমার। চিনতে পারিনি। টানা এক বছর ধরে শব্দ আর বাক্যের বুননে বেঁধে যে চরিত্রগুলো আমি আঁকার চেষ্টা করেছি তারা আমার কথা শোনেনি তেমন। জীবনকে আরো বেশি জটিল করে তুলে লজিককে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে তারা রহস্য জমিয়ে রেখেছে চারপাশে। কী সব এলোমেলো কাণ্ডটাই না ঘটিয়েছে! আমি অবাক হয়েছি, চমকে গিয়েছি। লিখতে হয়েছে ঠিকঠাক সব। ফাঁকি দেবার উপায় নেই। তাহমিনা, সুকণ্যা, শিশির আর প্রিয় ক্রাইত নিজেদের গল্পগুলো আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছে শুধু। এতে অতো কৃতিত্ব নেই লেখকের!
কিঙ্কর আহ্সান আরো বলেন,- এই আমি সামান্য লেখক ভালোবাসার কাঙাল। আমার প্রয়োজন প্রবল ভালোবাসার। পাঠকের ভালোবাসা। শুধু চাই ‘মেঘডুবি’র মমতা আর ভালোবাসায় আকণ্ঠ ডুবে যাক লাখো, কোটি পাঠক।
শুরু থেকেই এই উপন্যাস নিয়ে মানুষের মাঝে যে প্রবল আগ্রহ দেখেছি তাতে সাহস পাই। ‘মেঘডুবি’ আপনাদের হলো। আপনাদের মন জয় করলেই বুঝবো আমার নির্ঘুম রাত, উপবাসের দিন, কঠোর পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। ‘মেঘডুবি’ ছড়িয়ে পড়ুক। বইয়ের কথা ছড়িয়ে পড়ুক। পৃথিবী বইয়ের হোক।
Meghdubi book pdf (eBook)- coming soon