মেমসাহেব নিমাই ভট্টাচার্য Pdf Download | Memsaheb Pdf By Nimai Bhattacharya
বইয়ের নাম: মেমসাহেব
লেখক: নিমাই ভট্টাচার্য
ফাইল ফরম্যাট: pdf Download (পিডিএফ ডাউনলোড)
পৃষ্ঠাসংখ্যা : ১৪৪ পেজ
মেমসাহেব বইয়ের দাম:-
প্রচ্ছদ মূল্য: ৫০ টাকা
বর্তমান মূল্য: ২০০ টাকা
মেমসাহেব নিমাই ভট্টাচার্য বই রিভিউ:
সাদা মাটা গল্প ৷আহামরি কিছু নেই৷ কিন্তু তবু লেখক নিমাই ভট্টাচার্যের সহজ সাবলীল লিখনশৈলী আপনাকে গল্পের সাথে বেঁধে রাখবে৷
এই বইটি পড়া শুরু করলে আপনি একটি আলাদা জগতে চলে যেতে বাধ্য হবেন যেখানে শুধু বাচ্চু আর মেমসাহেব স্মৃতি তে ভরা। এখানে রয়েছে কিভাবে বাচ্চুর জীবনে তার প্রিয় মেমসাহেব আসে সেই কাহিনী। পুরো কাহিনী টা কেই দৌলা বউদির কাছে চিঠি আকারে লিখে বাচ্চু। এই বই তে আপনি পাবেন সময়ের তালে হারিয়ে যাওয়া বন্ধু দের কিছু স্মৃতি আর মেমসাহেব এর সাথে বাচ্চুর খুনসুটি। বইটিতে রাজনৈতিক পেক্ষাপট নিয়েও অনেক কিছু রয়েছে আর যেই প্রেক্ষাপট এর কারণে বাচ্চুর জীবনে নেমে আসে নিকষ কালো অন্ধকার । তার গ্রীন পার্কে মেমসাহেব এর জন্য সাজানো বাড়ি টা আজীবন এর জন্য খালি থেকে যায়। কারণ যার অপেক্ষায় থেকেছিলো বাচ্চু সেই মেমসাহেব এ যে আর নেই। পুলিশ বাহিনীর বুলেট এর আঘাতে ভেংগে যায় বাচ্চুর সাজানো গোছানো সুখের সংসার টা। মেমসাহেব কে হারিয়ে সে পাথর হয়ে যায়। বই টা পড়ার সময় গলায় কান্না এসে জমা ছিলো কিন্তু কাঁদিতে পারিনাই । দিনশেষে এরকম হাজারো বাচ্চুর জন্য রইলো অনেক অনেক সান্তনা আর ভালোবাসা।
#দু’চারদিন আরো দেখাশোনা হবার পর একদিন সন্ধ্যায় পার্ক সার্কাস ময়দানের এক কোনায় বসে মেমসাহেবকে আমার জীবন কাহিনী শোনালাম৷সব কিছু শুনে মেমসাহেব বলেছিল,”ধাতুটা ভাল তবে খাদ মিশে আছে ৷গহনা গড়বার জন্য একটু বেশী পোড়াতে হবে,একটু বেশি পেটাতে হবে৷”
‘কাকে পোড়াবেন?কাকে পেটাবেন?’
“বুঝতে পারছেন না?”
‘বুদ্ধি থাকলে তো বুঝব৷’
এবার একটু জোড় গলায় বলল,”আপনাকে৷”
আমি অবাক হয়ে বলি,’সেকি সর্বনাশের কথা!’
ইস,যদি এভাবেই শেষ হত গল্পটা তাহলে কত না ভাল হত!কিন্তু না শেষ মুহূর্তের ট্রাজেডিই তো এই গল্পের প্রান৷এই ট্রাজেডিই তো মনে দাগ কাটবে৷
মানুষ স্বপ্ন দেখে,অনেক বড় হওয়ার ৷সবাই দেখে৷কিন্তু সবাই তাকে বাস্তব রুপ দিতে পারে না৷কারন স্বপ্নকে বাস্তবে পরিনত করার পথে দরকার একজন যোগ্য সাথী৷সবার কপালে সেই যোগ্য সঙ্গীটি যোটে না৷কিন্তু লেখকের ভাগ্যে জুটেছিল৷তিনি আর কেউ নন৷ তিনিই মেমসাহেব৷ যে লেখককে মন প্রান দেহ দিয়ে ভালবেসেছিল৷ জীবনযুদ্ধে হেরে যাওয়া লেখককে জয়ী করেছিলেন তার ভালবাসা দিয়ে৷ একসময় সফলতার চুড়াই পৌছে যায় লেখক৷ কিন্তু বিধাতার করুন ছলয়ায় তখন হারিয়ে যায় মেমসাহেব৷
#পরিশেষে বলতে চাই, দোলাবৌধি কি পরে লেখকের বিয়ে দিয়েছিল?
memsaab book full depth review pdf:
মেমসাহেব উপন্যাসের উক্তি/ মেমসাহেব নিমাই ভট্টাচার্য quotes
অদৃষ্ট যে মানুষকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে, কি আশ্চর্যভাবে দুটি অপরিচিত মানুষকে নিবিড় করে একসূত্রে বেঁধে দেয়, তা ভাবলে চমকে উঠি। ~মেমসাহেব (নিমাই ভট্টাচার্য)
আচ্ছা, আপনি কি ‘অপূর্ণ প্রাপ্তিতে পরিপূর্ণ প্রণয়’ কথাটা বিশ্বাস করেন? এর মানে হলো আপনার প্রেম, আপনার ভালোবাসায় হয়তো কোনো খাদ ছিল না, কোনো কমতি ছিলনা; তবু হয় ভাগ্যের পরিহাসে নাহয় নিজ কর্মদোষে সেই ভালোবাসার অফুরান প্রাপ্তি থেকে আপনি বঞ্চিত হতে বাধ্য। যদি আপনি এই নির্মমতা বিশ্বাস করেন তাহলে এই উপন্যাস খানা আপনার; হ্যাঁ,পুরোপুরি আপনার।
“মেমসাহেব” উপন্যাসকে বাঙালির প্রেমানুভূতির আদর্শ মানা হয়। এই লেখার মধ্য দিয়ে সহস্র পাঠক মনে অমর হয়েছেন লেখক “নিমাই ভট্টাচার্য”। গল্প কথকের বৌদিকে লেখা মোট ২০ টি পত্রের সংকলন এই পুরো উপন্যাস। একজন অতি সাধারণ সাংবাদিকের সফলতার দুর্গম পথ, সেই সাফল্যের পেছনে একমাত্র নারীর অসামান্য অবদান, তাদের সুন্দর ভালোবাসার স্মৃতি, একসাথে বাকিটা জীবন কাটাবার স্বপ্ন সবকিছুকে একসুতোয় বেঁধে দিয়েছেন লেখক। কি দারুণ সেই উপস্থাপন ভঙ্গি! আর এর মাঝে যুক্ত হয়েছে সেইসময়ের একজন শহুরে, সুশিক্ষিতা, বাঙালি নারীর, প্রেমিকার কালজয়ী রূপ; আর তিনিই হলেই রিপোর্টারের “মেমসাহেব”, যার অন্য কোনো নাম উপন্যাসের কোথাও জানা যায় না। কিন্ত যেই মেমসাহেবকে নিয়ে রিপোর্টারের ভবিষ্যতের এতো জলপনা কল্পনা তাকে প্রাণ দিতে হয় ততকালীন কমিউনিস্ট দাঙ্গায়। পৃথিবী হয়তো হাজারো মানুষ প্রতিনিয়ত না ফেরার দেশে পাড়ি জমায়। কিন্তু প্রিয়জনকে হারানোর কষ্ট সামলানোর ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা খুব কম মানুষকে দেন। সেই দুঃখ নিয়ে কাটে রিপোর্টারের বাকি জীবনটুকু। এই পুরো উপন্যাসে লেখনীর এক বিশেষ আকর্ষণ ক্ষমতা একজন পাঠককে এর সমাপ্তি অবদি নিয়ে যাবে।
ব্যক্তিগত ভাবে উপন্যাস খানা আমার খুব যে ভালো লেগেছে তা নয়। হয়তো আমার রুচিবোধ আর দশজনের থেকে অনেকটা আলাদা বলে এর গভীরতা আমাকে পুরোপুরি স্পর্শ করতে পারেনি। মেমসাহেবের নিস্বার্থ ভালোবাসাকে সম্মানের চোখে দেখলেও, সত্তরের দশকে বিয়ের আগে live together করার মতো এক আধুনিকার মুখে বিয়ের পরে চাকরি কেন করবো; সন্তান পালনই তো প্রধান কাজ…এই জাতীয় মন্তব্য কিছুটা অসংগত ঠেকেছে৷ তবে সব মিলিয়ে উপন্যাসটিকে অনায়াসে বাঙালি প্রেমের আদর্শ সৃষ্টি বলা যেতে পারে।
” নিদ আয়ে,তো খোয়াব আয়ে
খোয়াব আয়ে,তো তুম আয়ে
পার তুমহারি ইয়াদ মে
ন নিদ আয়ে,ন খোয়ান আয়ে!”
(ঘুম এলেই স্বপ্ন আসে, স্বপ্ন এলেই তুমি আসো। কিন্তু যেই তুমি আসো তখন না আসে ঘুম, না আসে স্বপ্ন)।
এই লাইনগুলোকে খুব মনে ধরেছে। আর মনে মনে ঠাউরেছি কখনো সুযোগ এলে কলকাতার অলিতে-গলিতে, পার্কস্ট্রিটে, লিন্ডসে মোড়ে, ময়দানে, দিল্লির গ্রীন রোডে নিশ্চয়ই যাবো। কে জানে! হয়তো মেমসাহেব রা এখনো বেঁচে আছেন তাদের শহরে!
memsaheb By Nimai Bhattacharya pdf file free download link: click here link01 – link 02