রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড পিডিএফ ডাউনলোড || Rich dad poor dad book bangla Pdf
Rich dad poor dad bangla Pdf book
কিভাবে সহজে ধনী হওয়া সম্ভব?
এসব প্রশ্ম আমাদের মনে আসতেই পারে।
একদিকে ধনী ও অন্যদিকে গরিবের মানসিক পার্থক্য নিয়ে লেখা এ বইটি।
ইংরেজি ভাল না বুঝলে বাংলায় অনুবাদটাই পড়া বেস্ট বলে আমি মনে করি।
বইয়ের লেখক রবার্ট তরু কিয়োসাকি নিজেই স্বয়ং বিখ্যাত এক ধনী ব্যক্তি ছিলেন,যে নিজের ভাবনা-উপলব্ধি গুলাকেই মূলত তার লেখা বইতে তুলে ধরেছেন । বিভিন্ন ধাপে ধাপে নিজের এতদিনের অভিজ্ঞতার সব কথা তুলে ধরেছেন। বইয়ের নামটা “রিচ ড্যাড,পুর ড্যাড” এর পেছনে যুক্তি আছে । আসলে লেখক তার লাইফে দুই জনের কাছ থেকে মূলত শিক্ষা নিয়েছেন। তার মধ্যে একজন তার নিজের বাবা যিনি লেখকের ভাষায় “পুওর ড্যাড” এবং অন্যদিকে আরেকজন হচ্ছে লেখক এর বন্ধুর বাবা যাকে লেখক “রিচ ড্যাড” বলছেন। কেন বলেছেন তার কারন গুলা যথার্থ, যা আপনি বইটি পড়লে বুঝতে পারবেন।
তবে এতটুকু বলে রাখি, বইতে নাম গুলা দেওয়ার ক্ষেত্রে যা প্রাধান্য দিয়েছেন তা-আর্থিক অবস্থা না, বরং চিন্তাধারা বিবেচনা করে দিয়েছেন। অর্থাৎ চিন্তা চেতনার উপর নির্ভর করে এ নামগুলা দিয়েছেন। সবশেষে সবনিয়ে বলা যায়,এটা নিঃসন্দেহে খুব ভালো একটি বই।
বাস্তবিক অনেক ভালো কিছু টপিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে rich dad poor dad bangla pdf এ বইতে। লেখকের বইগুলোরর একটা সিরিজ রয়েছে যেখানে এ বইটা হচ্ছে সিরিজের তিন নং বই।
বইয়ের শুরুটা হয়েছে গল্পের মতো করে যেখানে দেখা যায় শিক্ষক ছিল দুই বন্ধুর দুই পিতা আর ছাত্র ছিল একজন লেখক নিজেই এবং আরেক জন হলো ধনী পিতার ছেলে তার বন্ধু mike । মুলত ‘সম্পদ’ এবং ‘দায়’ -এ দুইয়ের মাঝে পার্থক্যকে বেশি জোর দিয়ে বোঝানো হয়েছে কেননা এ বইয়ের সব আলোচনা ভিত্তি এই পার্থক্য টা লক্ষ করা গেছে। তাদের দুজন কে কেমন শিক্ষা পেল তা সুন্দর বর্ণনা পাবেন এ বইতে।
বইটার সমাপ্তিতেও অনেক সুন্দর ফিনিশিং যা-ভালো কিছু শেখার মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি ঘটেছে
rich dad poor dad bangla rokomari
৩০ বছরে ধনী বাবার কাছ থেকে ধনী হবার ব্যপারে রবার্ট এবং মাইক যেই শিক্ষাগুলো পেয়েছে তা রবার্ট ৬ টি লেসনের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে।এই ৬ টি লেসনই বইটির আলোচনার মূল প্রতিপাদ্য!বইয়ের শুরুতেই ইন্ট্রোডাকশন এর পর প্রথম ৬টি অধ্যায়ে লেখক রবার্ট এই ৬ টি লেসন সম্পর্কে তার ধনী বাবার কাছে থেকে পাওয়া শিক্ষা এবং নিজের জীবনে পাওয়া অভিজ্ঞতা দিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন।
এই ৬ টি লেসন হলোঃ
১)The rich don’t work for money.
১ম অধ্যায়ে আলোচিত এই লিসনে রবার্ট এবং মাইক তাদের ধনী বাবার কাছ থেকে ধনী হবার বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ শুরু করে।এই সময়ে তাদের বয়স ছিলো মাত্র ৯ বছর।একই সময়ে রবার্ট তার গরিব বাবা এবং ধনী বাবার চিন্তা-ধারার বিষয়ে পার্থক্য অনুধাবন করে এবং তুলনা করে ভালোটা সে সবসময় গ্রহণ করার চেষ্টা করে।একজন গরিব লোকের অর্থ নিয়ে কেমন চিন্তাধারা থাকে যা তাকে সারা জীবন গরিবই করে রাখে এবং একজন ধনী লোকের চিন্তাধারা কী থাকে যা তাকে সম্পদশালীতে পরিণত করে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত ও সহজ-সাবলীল বর্ণনা এই অধ্যায়ে দেয়া হয়েছে।এসময় ধনী বাবা রবার্ট এবং মাইককে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে তাদের চিন্তাধারা পরিবর্তন করতে শেখায়।যার মাধ্যমে তাদের অনুধাবন এবং বিশ্লেষণ শক্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটতে শুরু করে।ধনী বাবা বলেন “The poor work for money and the rich have money work for them.”
২)Financial Literacy.
২য় অধ্যায়ে আলোচিত এই লেসনে ধনী বাবা রবার্ট ও মাইককে অর্থনৈতিক শিক্ষা সম্পর্কে ধারণা দেন এবং কেন এই শিক্ষাটা জরুরী সে সম্পর্কে সুচিন্তিত বিশ্লেষণ করেন।ধনী বাবা মনে করে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আমাদেরকে একজন ভালো এমপ্লয়ি হতে সাহায্য করে অন্যথায় অর্থনৈতিক শিক্ষা আমাদেরকে ভালো এমপ্লয়ি হায়ার করতে সাহায্য করে।এসময়ে রবার্ট এবং মাইক Asset ও Liability সম্পর্কে সুন্দর ধারণা পেতে শুরু করে এবং Asset ও Liability এর পার্থক্য,প্রয়োজনীয়তা-অপ্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করতে থাকে।যা থেকে রবার্ট ধারণা পায়,”House is not an asset.If you consider your house as an asset then you are in great trouble.”।এখানে রবার্ট ও মাইককে ধনী বাবা ২টি ডায়াগ্রামের সাহায্যে অর্থনৈতিক শিক্ষা দেয়।একটা হচ্ছে “ইনকাম এন্ড এক্সপেন্স শিট অর্থাৎ ইনকাম স্টেটমেন্ট এবং অন্যটা হচ্ছে “এসেট এন্ড লায়াবিলিটি শিট অর্থাৎ ব্যলেন্স শিট”।ইনকাম স্টেটমেন্ট এবং ব্যলেন্স শিটের সম্পর্কও এই লেসনে প্রকাশ পায়।ধনী বাবা বলেন “It’s not how much money you make.It’s how much money you keep.”
৩)Mind your own business.
৩য় অধ্যায়ে আলোচিত এই লেসনে লেখক রবার্ট দেখায় কীভাবে ইনকামের পরিমাণ বাড়াতে হবে এবং নিজের শখ-আহ্লাদ বাড়তি ইনকাম এর সাহায্যে পূরণ করা সম্ভব।এই লেসনে এসেট এর ব্যবহারের পূর্ণতা প্রকাশ করে।চাকরিজীবীরা তাদের সম্পূর্ণ জীবন মালিক এবং সরকারের জন্য কাজ করে।কিন্তু যখন তারা চাকরি ছেড়ে দেয় তখন তারা হয়ে পরে শূণ্য।তাই শুধু সরকা এবং কোম্পানি নয় বরং নিজের জন্যও কাজ করতে হবে।ধনী বাবা বলেন, “The reach focus on their Asset column while everyone else focuses on their income.”
৪)Taxes and power of Corporations.
৪র্থ অধ্যায়ে আলোচিত এই লেসনে ট্যাক্স এর ইতিহাস এবং কর্পোরেশন এর সুবিধা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।গরীব এবং মিডল-ক্লাসরা মনে করে ধনীরা বেশি পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে,তাই ধনীরাই বেশি পরিমাণ ট্যাক্স দেয়।কিন্তু প্রকৃতঅর্থে দেখা যায় ধনীরা বেশি পরিমাণ আয় করলেও আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে তারাই কম ট্যাক্স প্রদান করে বরং মিডল-ক্লাসরা Financial literacy না জানার কারণে সরকারকে সবচেয়ে বেশি ট্যাক্স দেয় যা দিয়ে সরকার নাগরিকদের সেবা প্রদান করে থাকে।এই অধ্যায়ে কর্পোরেশন ব্যবহার করে ট্যাক্স প্রদান এর সুবিধাও বর্ণনা করা হয়েছে।লেখক রবার্ট বলেন, “My rich dad just played the game smart and he did it through the corporation-the biggest secret of rich.”
৫)The rich invent money.
৫ম অধ্যায়ে আলোচিত এই লেসনে ধনীদের অর্থ প্রাপ্তির পথ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।ধনীদের টাকা-পয়সা সম্পর্কে টেকনিক্যাল নওলেজ এবং সাহস থাকার কারণে তারা সহজেই যেকোনো ভালো অপরচুনিটি কাজে লাগাতে পারে।আমাদের সবচেয়ে বড় এসেট হচ্ছে আমাদের ব্রেইন।এই ব্রেইনকে অর্থনৈতিক শিক্ষা সম্পর্কে ভালোভাবে ট্রেইনিং করালে আমরা অজস্র সম্পদের অধিকারী হতে পারি।লেখক রবার্ট বলেন, “Often in the real world,it’s not the smart who get ahead,but the bold.”
৬)Work to learn,don’t work for money.
ধনী হবার বিষয়ে প্রাপ্ত শেষ লেসন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ৬ষ্ঠ অধ্যায়ে।এই অধ্যায়ে রবার্ট তার ধনী বাবা থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা নিজের বাস্তব জীবনে খাটাতে শুরু করে।প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষে ধনী বাবা থেকে প্রাপ্ত অর্থনৈতিক শিক্ষার সাহায্যে বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে সে অভিজ্ঞতা নিতে শুরু করে এবং যা তাকে বিভিন্ন কাজে পারদর্শী করে গড়ে তোলে।রবার্ট বলেন, “Job security meant everything to my educated dad,learning meant everything to my reach dad.”
এরপর আরো ৩ টি অধ্যায়ে রবার্ট বর্ণনা করেছেন কীভাবে ধনী হওয়ার প্রক্রিয়ায় এই ৬ টি লেসনকে কাজে লাগাতে হবে সেই সম্পর্কে।
★৭ম অধ্যায়ে আলোচনার বিষয় ছিলো কীভাবে ৫ টি প্রধান বাধাকে উপেক্ষা করে নিজের কাজে মনোনীবেশ করা যায়।এই বাধাগুলো হচ্ছে a)Fear b)Cynicism c)Laziness d)Bad habits e)Arrogance।
★৮ম অধ্যায়ে “কীভাবে ৬ টি লেসনকে কাজে লাগিয়ে নিজের কাজ শুরু করা যায়” সে সম্পর্কে ১০ টি পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়েছে এবং সে সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।
★আর সর্বশেষ ৯ম অধ্যায়ে ৬ টি লেসনকে পরিপূর্ণ করতে কিছু প্রাক্টিকাল টিপ্স দিয়েছেন বইটির লেখক রবার্ট তুরো কিউসাকি!
লেখক রবার্ট তুরো কিউসাকি “রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড” বইটিতে প্রতিটি অধ্যায়ে আলোচনার পাশাপশি বিভিন্ন উদাহরণের সাহায্য আলোচানার বিষয়বস্তু ব্যাখ্যা করেছেন।
১৯৯৭ সালে প্রকাশিত “রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড” বইটির ২০ তম এডিশনের(২০১৭) প্রতিটি অধ্যায়ের শেষে সংযোজন করা হয়েছে “স্টাডি সেশন”।স্টাডি সেশনের প্রথম অংশে অধ্যায়ের মূলভাব স্বল্প কথায় বলা হয়েছে এবং দ্বিতীয় অংশে গুরুত্বপূর্ণ বাক্যগুলো কোটেশনের ভেতরে উল্লেখ করা হয়েছে।সবশেষ পাঠকদের জন্য কিছু ভাবনা করার মতো প্রশ্ন রেখে অধ্যায়ের প্রাথমিক পরিসমাপ্তি ঘটেছে।যে কেউ বইটির যেকোনো অধ্যায় সম্পর্কে সংক্ষেপে অল্প সময়ে ধারণা নিতে চাইলে স্টাডি সেশনের প্রথম অংশে মূলভাব পড়ে নিতে পারবে।
আমাদের অনেকেই টাকা-পয়সা সম্পর্কে সেইফ জোনে থাকতে পছন্দ করি এবং এটা সম্পর্কে পাবলিকলি আলোচনা থেকে দূরে থাকি,সবসময়ই জেনে এসেছি এইটা বোধহয় খুব লুকানোর মতো একটা বিষয়।তাদের আলোচনাটি ভালো না লাগতে পারে,সেই জন্য দুঃখিত।
Rich dad poor dad bangla Pdf |