সেপিয়েন্স: এ ব্রিফ স্টোরি অফ হিউম্যান কাইন্ড অনুবাদ Pdf Download
Sapiens : A Brief History of Humankind Bangla translated || সেপিয়েন্স: এ ব্রিফ স্টোরি অফ হিউম্যান কাইন্ড Pdf book Download
‘Sapiens : A Brief History of Mankind’ বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় হারারির মাতৃভাষা হিব্রুতে।এরপর তিনি নিজেই ২০১৪ সালে ইংরেজীতে অনুবাদ করেন।প্রকাশের পর থেকেই প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছে বইটি। আমি নিজে একদিন নীলক্ষেতে বইটা দেখার পর আগ্রহবোধ করেছিলাম, এরপর অনলাইনে সার্চ করে হতবিহ্বল হয়ে যাই। বইটার জনপ্রিয়তা সমস্ত জায়গায়! বারাক ওবামা তার CNN Interview তে সাজেস্ট করছেন, বিল গেটস তার পড়া সেরা দশটি বইয়ের মধ্যে ‘Sapiens’ কে স্থান দিচ্ছেন! নিউ ইয়র্ক বেস্ট সেলার লিস্ট থেকে শুরু করে চীনা ন্যাশনাল এওয়ার্ড সবকিছুই আছে এর থলিতে! এর সাথে সাথে Washington Post এর এক রিভিউতে বইটার ভূয়সী প্রশংসা দেখে আমার প্রত্যাশা হয়ে পড়ল আকাশচুম্বী। আজ পড়ার পর মনে হয়েছে হাইপটা যথার্থই ছিল! আমি খুব কম বই পড়েই এমন প্রভাবিত হয়েছি।লেখক ইতিহাসকে – সেই সাথে ধর্ম, রাজনীতি, অর্থনীতিকে যেভাবে তুলে ধরেছেন তা অনেককেই ‘ধাক্কা’ দেবে, নতুনভাবে ইতিহাসের দিকে তাকাতে বাধ্য করবে।
হারারি বইতে মানুষকে ‘Human’ না বলে বৈজ্ঞানিক নাম ‘Homo Sapiens’ বা ‘Sapiens’ নামে সম্বোধন করেছেন। তিনি এর পেছনে এক চমকপ্রদ কারণ দিয়েছেন – বিবর্তনের মাধ্যমে বানরজাতীয় প্রাণী থেকে কয়েক প্রজাতির ‘মানুষের’ জন্ম হয়েছিল। ইউরোপের নিয়ান্ডার উপত্যকার বন্য মানবরা ত্রিশ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার ফ্লোরিন দ্বীপের এক ফুট উচ্চতার বামন মানবরাও বিলুপ্ত হয়েছে….বিলুপ্ত হয়েছে সাইবেরিয়ার ডনোভান গুহার মানুষরাও। আজ শুধু বেঁচে আছে একটি প্রজাতি – Homo Sapiens, আমরা। তাই লেখক শুধু সেপিয়েন্সদের মানবজাতি বলতে রাজী নন, তারা মানুষের একটি প্রজাতি মাত্র।
হারারি শুরু করছেন প্রথম অধ্যায় দিয়ে যার নাম “An Animal of No Significance”, সেপিয়েন্সরা (Sapiens) লক্ষ লক্ষ বছর ধরে পৃথিবীতে বাস করে আসছে, এসময় তারা শিকারীর থেকে শিকারের ভূমিকাই পেয়েছে বেশী। তাদের না আছে শক্তি, না আছে ওড়ার ক্ষমতা, না আছে অসাধারণ দৃষ্টিশক্তি, না আছে ম্যামথ হাতিদের মত প্রকান্ড আকার। তারা পারেনা সমুদ্রে ডুবে থাকতে, ঠান্ডায় দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে। অন্য প্রাণীরা জন্মানোর কয়েক মাসের মধ্যেই স্বাবলম্বী হওয়া শুরু করে, সেপিয়েন্সরা তাও পারেনা! তাদের শুধু আছে মাথা, একটা বড় ব্রেইন! তাও আবার সমস্যা। এই বড় মাথা নিয়ে দ্রুত চলা কষ্ট, এদিকে মেধাশক্তি দিয়ে কোন প্রয়োজনীয় কাজই হয়না। সেপিয়েন্স একটা শিম্পাঞ্জির সাথে তর্কযুদ্ধে হয়ত জিততে পারে কিন্তু মুখোমুখি লড়াই বাধলে শিম্পাঞ্জি তাকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পুতুলের মত ছিড়ে ফেলতে পারে। মানুষের একমাত্র বিশেষত্ব মেধা লক্ষ লক্ষ বছর তেমন কোন কাজেই লাগেনি! ১৪০০ কিউবিক সেন্টিমিটারের বড় এই ব্রেইন বহন করতে গিয়ে দূর্বল,ধীর প্রাণীগুলোকে হাজার হাজার বছর চরম মূল্য দিতে হয়েছে শ্বাপদসংকুল পৃথিবীতে – লেখক এটাকে বলছেন – ‘cost of thinking’!
ধীরে ধীরে সেপিয়েন্সরা পাথর, কাঠ এসবের ব্যবহার শিখেছে। প্রস্তর যুগের মানুষ কিভাবে বাঁচত, তাদের আচার ব্যবহার এসবকে গল্পের আকারে পরিবেশন করেছেন হারেরি – তার বর্ণনার উৎস হিসেবে বিভিন্ন স্থানে পাওয়া ফসিল ও নানা প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের কথাও উল্লেখ করেছেন।
১২ হাজার বছর আগে শুরু হওয়া ‘কৃষিবিপ্লব’ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘটনাগুলোর একটা।হারেরি দেখিয়েছেন কিভাবে মানুষ কৃষিনির্ভর সমাজে যে খাদ্য আর নিরাপত্তা চেয়েছিল তা পায়নি। বরং স্থায়ীভাবে বসবাসের কারনে গড়ে ওঠা গ্রাম,রাজ্য,সাম্রাজ্য এসব নতুন নতুন স্ট্রাকচারের কারনে বেশীরভাগের জীবনই আরো বেশী বিপদসংকুল হয়ে পড়েছে।
হারারি ধীরে ধীরে উল্লেখ করেছেন কিভাবে একের পর এক ধর্মের উদ্ভব হওয়া শুরু হল যা পৃথিবীতে নানাস্থানে ছড়িয়ে থাকা মানুষদের একত্রীকরণে সহায়তা করেছে।মানুষের মধ্যে “অর্থ” বা টাকার আবিষ্কারকে একটা অন্যতম বড় বিপ্লব বলে তিনি দেখেছেন। একটা বানরকে একশ ডলারের নোট দিলেও সে একটা কলা হাতছাড়া করবে না – কারণ তার কাছে ডলার নোটটা মূল্যহীন কাগজ। কিন্তু মানুষ তাদের অসাধারণ চিন্তাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে মুদ্রাব্যবস্থার উৎপত্তি ঘটিয়েছে – তারা সার্বজনীনভাবে বিশ্বাস করে একশ ডলারের মূল্য কত, তাদের বিশ্বাসই ওই মুদ্রার মূল্য। লেখক বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুরাও একটা ডলারের নোটকে গ্রহণ করতে রাজী – তার কারণ তারা জানে এর মূল্য গ্যারান্টি করছে স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি।আর তাই মুদ্রা সকল রাজনীতির উর্ধ্বে। “The scent of money” অধ্যায়ে লেখক কিছু মজার ঘটনা উল্লেখ করেছেন কিভাবে মুসলিমদের সাথে যুদ্ধরত খ্রিস্টান ক্রুসেডাররাও ‘কালেমা লেখা আরবী দিনার’ গ্রহণে কোন আপত্তি করেনি।
সেপিয়েন্স এ ব্রিফ হিস্টোরি অফ হিউম্যানকাইন্ড মানুষের ইতিহাস pdf – ইউভাল নোয়া হারারি
যতদূর চোখ যায় সবুজ ঘাসে ঢেকে আছে বিশাল চারণভূমি,যা বহুদূরে হয়ত কোন বনে গিয়ে মিশেছে। সকালের মৃদুমন্দ বাতাসে তৃণভূমিতে চরে বেড়াচ্ছে কিছু জিরাফ।হঠাৎই শান্ত সাভানাকে অশান্ত করে দিয়ে লম্বা ঘাসের আড়াল থেকে বেরিয়ে এলো সিংহের একটা দল! কয়েকটা জিরাফ দৌড়ে পালালেও একটাকে দানবীয় থাবায় ধরাশায়ী করল এক সিংহী…..শুরু হল ভোজনপর্ব।সিংহের দল উদরপূর্তি খেয়ে বেশ কিছুক্ষণ পর বনের দিকে যাত্রা শুরু করল।শেষ সিংহটার লেজও বনের মধ্যে যখন অদৃশ্য হয়ে গেল, আড়াল থেকে বেরিয়ে এল হায়েনার দল। সিংহদের উচ্ছিষ্টই তারা গলাধঃকরণ করা শুরু করল। মড়ির যেসব স্থানে মাংস বাকি আছে সেসব খুঁজে খুঁজে খেয়ে হায়েনাগুলো যখন অন্যত্র চলে গেছে তখন এসে পৌছল শেয়ালের দল। সন্ধ্যানাগাদ শেয়ালগুলোও যখন চেটেপুটে খেয়ে চলে গেছে তখন জিরাফের হাড়গুলোই শুধু পড়ে আছে। মাংসাশী প্রাণীগুলো সব রাতের আশ্রয় খুঁজতে চলে গেলে বন থেকে বেরিয়ে এল কয়েকটা দুপেয়ে শীর্ণকায় প্রাণী। লোমবিহীন শীর্ণকায় প্রাণীগুলো শীতনিবারনের তাগিদে গাছের ছালবাকল-পাতা এসব জড়িয়েছে গায়ে।শক্তি, ধারালো নখ,দাঁত না থাকায় শ্বাপদসংকুল পৃথিবীতে তাদের বাঁচা খুবই কষ্টকর। নিঃশব্দে এসে মৃত জিরাফের শরীরে খাবার মত কিছু বাকি আছে কিনা তা খোঁজে তারা।কিছু না পেয়ে, কুড়িয়ে আনা পাথর দিয়ে হাড়গুলোই ভাঙা শুরু করে দুপেয়ে জন্তুগুলো, নিঃশব্দে হাড়ের মজ্জা বা মৃতদেহের এখানে ওখানে পড়ে থাকা মাংস-চর্বির টুকরো দিয়েই ক্ষুধা নিবারনের চেষ্টা চালায় তারা। সেই সঙ্গে চারদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে চলে ভীত দুপেয়েগুলো, যেন হঠাৎ কোন প্রাণীর শিকারে পরিণত না হতে হয়!!
আরেকটি সকাল,১৬ জুলাই, ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দ।
নিউ মেক্সিকোর এক মরুভূমির উপর দিয়ে ডানা মেলে উড়ে যাচ্ছে কয়েকটি বিদঘুটে আকাশযান।হঠাৎই কেঁপে উঠল মরুভূমির বুক।শান্ত মরুভূমি অশান্ত হয়ে উঠল, হাজার সূর্যের আলো জ্বলে উঠল একসাথে।প্রথম পারমানবিক বিস্ফোরণে শিউরে উঠল পৃথিবী।
Sapiens : A Brief History of Humankind Bangla pdf – Yuval Noah Harari Pdf Direct download link : –
ইউভাল নোয়া হারারি PDF Link :-1(mega link) | or,
Link :-2(appbox link) | or,
Link :-3(usercloud link) or,
Link :-4(docdro link)
বিবর্তন মিথ্যা আরিফ আজাদ সহ অনেকে প্রমাণ করেছেন ।
আরিফ আজ কি বিজ্ঞানী?
বিজ্ঞানী হলেই কী তার সব কথা ঠিক। বিজ্ঞান নিজেই স্বীকার করে যে সে সম্পূর্ণ ঠিক নয়।
জি ভাই, আপনার সাথে আমিও একমত।