হিরোশিমা – জন হার্সি ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ক বই Pdf Download
বইয়ের নাম: হিরোশিমা
লেখক: জন হার্সি
অনুবাদক: সাজিদ রাহমান।
ক্যাটাগরি: অনুবাদ বই
ধরণ: ইতিহাস ও ঐতিহ্য
ফাইল ফরম্যাট: Pdf (পিডিএফ)
প্রকাশনী – আদী প্রকাশন
প্রকাশকাল – ৬ আগস্ট, ২০১৬
পৃষ্ঠা সংখ্যা-১০০ পেজ
হিরোশিমা জন হার্সি বই রিভিউ:
হিরোশিমা দিবস কবে? হুম, ৬ আগস্ট ‘হিরোশিমা দিবস’। হিরোশিমা দিবসে প্রকাশ হচ্ছে সেদিনের ভয়াবহ ঘটনার বর্ণনাসমৃদ্ধ জন হার্সি’র বিখ্যাত বই ‘হিরোশিমা’র অনুবাদ। যেখানে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে বিস্তারিত লিখা হয়েছে।
হিরোশিমা নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা নিক্ষেপ কাহিনী সংক্ষেপ-
হিরোশিমা শহরের সিংহভাগ জনসংখ্যা সেদিন নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। হিরোশিমা-নাগাসাকি-র কয়েক মাস পর, ‘দ্য নিউ ইয়র্কার’ পত্রিকার ম্যানেজিং এডিটর উইলিয়ম শন ঘটনাটি নিয়ে একটু অন্যরকম কিছু লেখালিখি প্রকাশ করার কথা ভাবছিলেন তাঁর পত্রিকায়। লেখানোর ইচ্ছে জন হার্সিকে দিয়ে। মধ্য তিরিশের হার্সি খ্যাতিমান সাংবাদিক-লেখক। ‘টাইম’, ‘লাইফ’, ‘দ্য নিউ ইয়র্কার’-এর মতো প্রথম সারির মার্কিন পত্রিকাগুলিতে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর রিপোর্ট, প্রবন্ধ। ১৯৪৪ সালে হার্সির-র উপন্যাস ‘আ বেল ফর আদানো’ পেয়েছে আখ্যানসাহিত্যে পুলিতজার পুরস্কার। হার্সি তখন শাংহাইতে। শন তাঁকে টেলিগ্রাম করেছিলেন ৪৬-এর মার্চ মাসে। হার্সি নানা কাজে ব্যস্ত থাকায় মে মাসের আগে হিরোশিমা সংক্রান্ত কাজটি শুরুই করতে পারেননি। অতঃপর হিরোশিমায় যান হার্সি। সাক্ষাত্কার নেন সার্ভাইভার বা উত্তরজীবীদের। তাঁর প্রধান লক্ষ্য, পারমাণবিক বোমার প্রভাবে বিপর্যস্ত জীবনের প্রকৃত চিত্র বের করে আনা ‘I felt I would like to write about what happened not to buildings but to human beings.’
কিয়োশি তানিমোতো-সহ ছ’জন বোমা-উত্তরজীবীর কথায়-সাক্ষাৎকারের উপর ভিত্তি করে নির্মিত হল হার্সি-র দীর্ঘ রচনা ‘আ নয়েজ়লেস ফ্ল্যাশ’। প্রকাশিত হল ’৪৬ সালের আগস্ট মাসে। স্মরণীয় হয়ে থাকল ‘দ্য নিউ ইয়র্কার’ পত্রিকার সেই সংখ্যাটিও। কারণ, হার্সির সমগ্র রচনাটিকে একটি সংখ্যায় ধরানোর জন্য, তখনও পর্যন্ত পত্রিকাটির ইতিহাসে সেবারই প্রথম অন্যান্য সমস্ত নিয়মিত বিভাগের প্রকাশ বন্ধ রাখা হয়! বিপুল আলোড়ন ফেলে হার্সির লেখাটি। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ‘হিরোশিমা’ নাম দিয়ে। প্রকাশের পর থেকে তিন মিলিয়নেরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে গ্রন্থটি। অনুসন্ধানমূলক-সাংবাদিকতার নিদর্শন হিসেবে তথা হিরোশিমা সম্পর্কিত অজস্র লেখালিখির ভিড়ে আজও এক আলোকবর্তিকার মতো জন হার্সি-র ‘হিরোশিমা’।
হিরোশিমা কোন দেশে অবস্থিত? জাপান শহরে।
হিরোশিমা Pdf বই রিভিউ ২:
দিনটি ছিল ৬ আগস্ট, ১৯৪৫ সাল। ঘড়িতে তখন স্থানীয় সময় আটটা পনেরাে।
ঠিক সেই সময় পারমানবিক বােমাটি হিরােশিমার আকাশে বিস্ফোরিত হয়। মিস
টোশিকো সাসাকি, ইস্ট ইন্ডিয়া টিন ওয়ার্কস-এর পার্সোনেল ডিপার্টমেন্টের
কেরানি, কেবলমাত্র নিজের ডেস্কে বসে পাশের ডেস্কের মেয়েটাকে কিছু একটা
বলার জন্য মুখ খুলেছেন, ঠিক একই মুহূর্তে নিজের প্রাইভেট হাসপাতালের
পাের্চে বসে ডা. মাসাকাজু ফুজি মন দিয়েছেন ওসাকা আশি পত্রিকার ওপর।
মিসেস হাতসুয়াে নাকামুরা, এক দর্জির বিধবা স্ত্রী, জানালা দিয়ে এক
প্রতিবেশীকে দেখছিলেন। সেই প্রতিবেশী নিজের বাড়িটা ভেঙ্গে ফেলছিল। কারণ
তার বাড়িটা এয়ার রেইড ডিফেন্স লাইনের ওপরে! ফাদার উইলহেল্ম ক্লাইনজর্গে,
যিনি কিনা সােসাইটি অফ জেসাসের জার্মান প্রিস্ট, অন্তর্বাস পরিহিত অবস্থায় তিন
তলা মিশন বিল্ডিং এর সবচেয়ে উপরের ফ্লোরে বসে স্টিমেন ডেয়ার সাইট
পত্রিকা পড়ছিলেন। সেই মুহূর্তে ওয়াসারমান টেস্টের জন্য এক রােগীর রক্ত নিয়ে
শহরের আধুনিক রেড ক্রস হাসপাতালের করিডর দিয়ে হাঁটছিলেন ডা. টেরাফুমি
সাসাকি। আর রেভারেন্ড মি. কিয়ােশি তানিমােতাে, হিরােশিমা মেথডিস্ট চার্চের
যাজক, দাঁড়িয়ে ছিলেন কয় অঞ্চলের অন্যতম ধনী এক লােকের দরজার সামনে।
কয় এলাকাটা শহরের পশ্চিম দিকে অবস্থিত। শহরবাসীর ভয় ছিল, যেকোনাে
দিন মরণদূতরূপী বি-২৯ প্লেনগুলাে হিরােশিমায় আক্রমণ চালাবে। তিনিও তাই
ভাবতেন। তাই শহর থেকে দামি জিনিসগুলাে এনে এই ধনী লােকটার বাড়িতে
জমা রাখছেন।
পারমানবিক বােমার বিস্ফোরণে সেদিন লাখাে মানুষ মারা গেলেও ভাগ্য গুণে
বেঁচে গিয়েছিলেন এই ছয়জন। কীভাবে বেঁচে গেলেন, তা তাদের নিজেদের
কাছেও স্পষ্ট না। এই ছয়জনের প্রত্যেকেই কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন বিভিন্ন
ছােটখাট ঘটনা বা সিদ্ধান্তের কথা। এই যেমন, হঠাৎ বাড়ির ভেতরে যাবার
সিদ্ধান্ত নেয়া বা প্রথম গাড়িতে না চড়ে দ্বিতীয়টায় চড়া। তবে এখন এই ছয়জনের……
এভাবে করে হিরোশিমা বইটির কাহিনী এগিয়ে যায়। বাকিটা আপনি নিজেই পড়ুন…
Heroshima Bangla Pdf Download link: