SSC Physics Chapter 8 shortcut note
SSC Physics chapter 8 Shortcut note
৮ম অধ্যায়- আলোর প্রতিফলন
টপিক ০১:
আলো: আলো হচ্ছে _এক প্রকার শক্তি বা বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ_ যা আমাদের চোখে (পড়লে) দর্শনের(/দৃষ্টির) অনুভুতি জাগায়।
আলোর প্রকৃতি/ধর্ম/বৈশিষ্ট্য:
১)আলো সরলপথে চলে।
২)আলোর বেগ নির্দিষ্ট(৩*১০-৮ms-1)
3)আলো একপ্রকার শক্তি,আবার তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গও।অর্থাৎ এর দ্বিত্ব ধর্ম দেখা যায়।
কখনো এটি আলোর তরঙ্গ ন্যায়,আবার কখনো কণার ন্যায় -আচরণ করে।
৪)আলোর প্রতিফলন,প্রতিসরণ,বিচ্ছুরণ,ব্যাতিচার,অপবর্তন,সমবর্তিন ঘটে।
আলোক স্বচ্ছ মাধ্যম: যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে আলো চলাচল করতে পারে,তাদের আলোক স্বচ্ছ মাধ্যম বলে।
# এক স্বচ্চ মাধ্যম থেকে অপর স্বচ্চ মাধ্যমে আলো প্রবেশের ক্ষেত্রে ঐ পৃষ্ঠ বিন্দুতে তিন ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে:–
১) প্রতিফলন ২) শোষণ ৩) প্রতিসরণ
আলোর প্রতিফলন: আলোক রশ্মি যাওয়ার সময়(/ গমনপথেে) যখন অন্য মাধ্যমে বাধা পেয়ে প্রথম(/আগের) মাধ্যমে ফিরে আসে,তখন তাকে আলোর প্রতিফলন বলে।
প্রতিফলক পৃষ্ট: যে পৃষ্ঠ থেকে আলোক রশ্মি বাধা পেয়ে ফিরে আসে,তাকে প্রতিফলক পৃষ্ঠ বলে।
[[ ***সাদা সমতল দর্পনে আলোর বেশি প্রতিফলন হয়।
শোষণ: তবে,আলো যদি কালো কোনো বস্তুতে(/প্রতিফলক পৃষ্ঠে) আপতিত হয়,তখন তা প্রতিফলিত না হয়ে ঐ পৃষ্ঠ(/তল) কর্তৃক শোষিত হয়।
# আলোর শোষণ ও প্রতিফলনের আলোকে কোন বস্তু কেন বর্ণময় হয় ব্যাখ্যা:-
আমরা জানি, মোট ৭ ধরনের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রঙ রয়েছে।
— কোন বস্তু সকল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো প্রদর্শন করলে→ তা সাদা দেখায়। যেমন-সূর্য।
— কোনো আলো সকল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো শোষণ করলে→ তা কালো দেখায়।
— সাদা আলো যখন গোলাপ ফুলে পড়ে তখন গোলাপ ফুলটি লাল দেখায়। কারণ গোলাপ ফুল লাল ব্যতিত সকল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো শোষণ করে কিন্তু লাল রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের প্রতিফলন করে। তাই গোলাপ ফুল লাল দেখায়।
শর্টকাট:- ★ সকল রঙের আলো→ বেনীআসহকলা(VIBGYOR)
★ মৌলিক রঙের আলো=→ আসল(RGB)
★ মৌলিক রঙের আলো=→ আসল(RGB)
আলোর প্রতিফলন দুই প্রকার।যথা-
নিয়মিত/সুষম প্রতিফলন: — মসৃণ পৃষ্ঠে/তলে এ ধরনের প্রতিফলন দেখা যায়।
অনিয়মিত/ব্যাপ্ত প্রতিফলন: — অমসৃণ পৃষ্ঠে/তলে এ ধরনের প্রতিফলন দেখা যায়।
# কাগজে/দেয়ালে ব্যাপ্ত প্রতিফলন ঘটে কেন ব্যখ্যা কর।
# কাগজে/দেয়ালে ব্যাপ্ত প্রতিফলন ঘটে কেন ব্যখ্যা কর।
প্রতিফলনের ১ম সুত্র: আপতিত রশ্মি,প্রতিসরিত রশ্মি,আপতিত বিন্দুতে বিভেদ তলের উপর অংকিত অভিলম্ব–একই সমতলে থাকে।
প্রতিফলনের ২য় সুত্র: আপতন কোণ(i)=(r)প্রতিফলন কোণ→সর্বদা সমান।
দর্পণঃ যে মসৃণ তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে,তাকে দর্পণ বলে।
দর্পন ২প্রকার।যথা:-
১)সমতল- দর্পন: আলোর নিয়মিত প্রতিফলনের জন্য প্রতিফলন তল মসৃণ ও সমতল হলে,তাকে সমতল দর্পন বলে।
২)গোলীয়-দর্পন: আলোর নিয়মিত প্রতিফলনের জন্য প্রতিফলন তল মসৃণ ও ফাপা গোলকের অংশবিশেষ হলে,তাকে গোলীয় দর্পন বলে। গোলীয় দর্পন দুই প্রকার।যথা-
উত্তল: আলোর নিয়মিত প্রতিফলনের জন্য প্রতিফলন তল মসৃণ ও ফাপা গোলকের উত্তল অংশবিশেষ হলে,তাকে গোলীয় দর্পন বলে।
অবতল: আলোর নিয়মিত প্রতিফলনের জন্য প্রতিফলন তল মসৃণ ও ফাপা গোলকের অবতল অংশবিশেষ হলে,তাকে গোলীয় দর্পন বলে।
# উত্তল দর্পন ও অবতল দর্পনের পার্থক্য লিখ।
অবতল দর্পন
|
উত্তল দর্পণ
|
১. আলোক স্বচ্চ গোলীয় তলের_উত্তল পৃষ্ঠে প্রলেপ দিয়ে(/সিলভারিং করে) অবতল দর্পন তৈরি করা হয়।
|
১. আলোক স্বচ্চ গোলীয় তলের_অবতল পৃষ্ঠে প্রলেপ দিয়ে(/সিলভারিং করে) উত্তল দর্পন তৈরি করা হয়।
|
২.অবতল দর্পনের ক্রিয়া_ অভিসারী অথবা অপসারী হয়।
|
২.উত্তল দর্পনের ক্রিয়া_ সর্বদা অপসারী হয়।
|
৩. অবতল দর্পণে গঠিত বিম্ব_ বাস্তব অথবা অবাস্তব হতে পারে।
|
৩. উত্তল দর্পণে গঠিত বিম্ব_ সর্বদা অবাস্তব হয়।
|
৪. অবতল দর্পণে _সৃষ্ট বিম্ব আকারে বস্তুর সমান বা বস্তুর চেয়ে ছোট(/খর্বিত) বা বস্তুর চেয়ে বড়(/বিবর্ধিত) হতে পারে।
|
৪. উত্তল দর্পণে _সৃষ্ট বিম্ব আকারে সর্বদা বস্তুর চেয়ে
ছোট হয়।
|
ট্রিকস:-
সোজা কথায়-
দর্পনে আলো ডুকতে পারে না,বাধা পেয়ে ফিরে আসে অর্থাৎ আলো প্রতিফলিত হয়। আর,
দর্পনে আলো ডুকতে পারে না,বাধা পেয়ে ফিরে আসে অর্থাৎ আলো প্রতিফলিত হয়। আর,
লেন্সে আলো ডুকতে পারে,একপাশে ডুকে অপর পাশে যেতে পারে আলো প্রতিসরিত হয়।
–দর্পনের ক্ষেত্রে_ সা: একটি পৃষ্ঠ/তল হয়। — অন্যদিকে, লেন্সের ক্ষেত্রে_ সা: দুইটা গোলীয় পৃষ্ঠ/তল থাকে।
মনে রাখবে,
# অভিসারী ক্রিয়াহচ্ছে আপতিত আলোক রশ্মি প্রতিসরণের পর এক বিন্দুতে মিলিত(/কেন্দ্রীভূত/অভিসারিত) হবে। <অবতল দর্পণ+উত্তল লেন্স >
# অপসারী ক্রিয়া হচ্ছে আপতিত আলোক রশ্মি প্রতিসরণের পর ছড়িয়ে পড়বে,কখনো মিলিত হয় না।
<উত্তল দর্পণ +অবতল দর্পন>
<উত্তল দর্পণ +অবতল দর্পন>
# দর্পন চেনার উপায় ব্যাখ্যা কর।
# সমতল দর্পনে লম্বভাবে আপতিত আলোকরশ্মি একই পথে ফিরে আসে কেন?
# সেলুনে সমতল দর্পন ব্যবহার করা হয় কেন?
# উত্তল লেন্সকে অভিসারী লেন্স বলা হয় কেন?
চিকিৎসাক্ষেত্রে অবতল দর্পন ব্যবহার করা হয় কেন?
# অবতল দর্পনকে অভিসারী এবং উত্তল দর্পনকে অপসারী দর্পন বলা হয় কেন-ব্যাখ্যা কর।
# লেন্স/দর্পনের ব্যবহার: পুরাতন বই দেখ ১৩৭পৃষ্ঠা
যমতল দর্পন চেহারা দেখা/রুপচর্চা,টেলিস্কোপ; চশমা,মাইক্রোস্কোপ,ভিডিও প্রজেক্টর,ক্যামেরা ইত্যাদিতে।
# দর্পন এর প্রয়োজনীয় রাশিসমুহ ও বৈশিষ্ট্যসসহ ব্যাখ্যা:
বক্রতার কেন্দ্র: গোলীয় দর্পন যে গোলকের অংশবিশেষ _সে গোলকের কেন্দ্রকে বক্রতার কেন্দ্র বলে।
বক্রতার ব্যাসার্ধ:(f = r/2 বা, r=2f) গোলীয় দর্পন/লেন্স যে গোলকের অংশবিশেষ _সে গোলকের ব্যাসার্ধকে বক্রতার ব্যাসার্ধ বলে।
মেরু বিন্দু: গোলীয় দর্পনের প্রতিফলক পৃষ্ঠের মধ্যবিন্দুকে মেরু বলে।→
আলোক কেন্দ্র: লেন্সে আপতিত রশ্মির সমান্তরালে নির্গত প্রতিসরিত রশ্মি (লেন্সের প্রধান অক্ষের উপরস্থ) যে বিন্দু দিয়ে যায়,তাকে আলোক কেন্দ্র বলে।
প্রধান অক্ষ: গোলীয় দর্পন/লেন্স এর_ বক্রতার কেন্দ্র ও মেরু বিন্দুর/আলোক কেন্দ্রর মধ্যদিয়ে গমনকারী সরলরেখাকে প্রধান অক্ষ বলে।
গৌণ অক্ষ: গোলীয় দর্পন/লেন্স এর_ বক্রতার কেন্দ্র ও মেরু বিন্দু ব্যতিত অন্য যেকোন বিন্দুর মধ্যদিয়ে গমনকারী সরলরেখাকে গৌণ অক্ষ বলে।
→(প্রধান) ফোকাস: (f=r/2) গোলীয় দর্পন/লেন্স এ _প্রধান অক্ষের নিকটবর্তী ও সমান্তরাল আপতিত রশ্মি গুলো_ প্রতিফলনের পর প্রধান অক্ষের যে বিন্দুতে মিলিত হয়,তাকে প্রধান ফোকাস বলে।
→ফোকাস দুরুত্ব: আলোক কেন্দ্র বা মেরু বিন্দু থেকে প্রধান ফোকাস পর্যন্ত দুরুত্বকে ফোকাস দুরত্ব বলে।
লেন্সের প্রথম ও দ্বিতীয় পৃষ্ঠ:
যে পৃষ্ঠ দিয়ে আলোক রশ্মি লেন্সের মধ্যে প্রবেশ করে(/আপতিত হয়) সেটি লেন্সের প্রথম পৃষ্ঠ এবং যেটি দিয়ে বেরিয়ে যায়(/প্রতিসরিত হয়) সেটি লেন্সের দ্বিতীয় পৃষ্ঠ।
প্রতিবিম্ব /বিম্ব: কোন বিন্দু হতে নির্গত আলোকরশ্মি_ কোন তলে প্রতিফলিত/প্রতিসারিত হয়ে অন্য কোন বিন্দুতে মিলিত/অপসৃত হয় বলে মনে হলে ঐ বিন্দুকে প্রতিবিম্ব বলে।
→ বিম্বের প্রকৃতি:- (লেন্সের/দর্পনের) প্রতিবিম্ব দুই প্রকার হতে পারে। যথা:
-বাস্তব(/সদ/উল্টো)
-অবাস্তব(/অসদ/সোজা)
{{ বিবর্ধন,m= – v/u +v (অথবা +m) হলে প্রতিবিম্ব→অবাস্তব/সোজা -v (অথবা -m) হলে প্রতিবিম্ব→বাস্তব/উল্টো }}
# বাস্তব বিম্ব(/সদ) ও অবাস্তব(/অসদ) বিম্বের মধ্যে পার্থক্য লিখ।
বাস্তব প্রতি(বিম্ব)
|
অসদ/অবাস্তব প্রতি(বিম্ব)
|
1.কোনো বিন্দু উৎস থেকে নিঃসৃত আলোকরশ্মি গুলো প্রতিফলিত/প্রতিসরণের পর দ্বিতীয় কোনো বিন্দুতে মিলিত হলে সদ/বাস্তব (প্রতি)বিম্ব গঠিত হয়।
|
১.কোনো বিন্দু উৎস থেকে নিঃসৃত আলকরশ্মি গুলো প্রতিফলিত/প্রতিসরণের পর দ্বিতীয় কোনো বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হলে অসদ/অবাস্তব (প্রতি)বিম্ব গঠিত হয়।
|
২.প্রতিফলিত/প্রতিসরিত রশ্মির প্রকৃতপক্ষে মিলন হয়।
|
২.প্রতিফলিত/প্রতিসরিত রশ্মির প্রকৃতপক্ষে মিলন হয় না।
|
৩.প্রতিবিম্ব বস্তুর সাপেক্ষে উলটা দেখায়।
৪.পর্দায় ফেলা যায়।
|
৩.প্রতিবিম্ব বস্তুর সাপেক্ষে সোজা হয়।
৪.পর্দায় ফেলা যায় না।
|
৫.অবতল দর্পন ও উত্তল লেন্সে বাস্তব প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।
|
৫.সবরকম দর্পন ও লেন্সে উৎপন্ন হয়।
|
৬. দর্পনের ক্ষেত্রে সামনে এবং লেন্সের ক্ষেত্রে পেছনে গঠিত হয়।
|
৬.দর্পনের ক্ষেত্রে সামনে এবং লেন্সের ক্ষেত্রে পেছনে গঠিত হয়।
|
# সমতল দর্পনে সৃষ্ট বিম্বটি অবাস্তব কেন-ব্যাখ্যা কর।
———++++——–
* গোলীয় দর্পনে/লেন্সে রশ্মি চিত্রগুলো যেরুপ হতে পারে:-
১.আলো যদি বক্রতার ব্যাসার্ধ বরাবর যায়_তাহলে আবার ঐ পথে ফিরে আসে।
৪. বক্রতার কেন্দ্র দিয়ে গেলে_তাহলে আবার ঐ বিন্দু দিয়েই ফিরে আসে।
২.আলো যদি প্রধান ফোকাস দিয়ে যায়_তাহলে প্রধান অক্ষের সমান্তরালে যাবে/যাবে বলে মনে হবে।
৩. (২)নং এর উল্টো টা হয়। অর্থাৎ আলো যদি প্রধান অক্ষের সমান্তরালে যায়_তাহলে প্রধান ফোকাস দিয়ে যাবে/যাবে বলে মনে হবে।
SSC Physics chapter 8 Shortcut note pdf download; click_here
comment for new shortcut note,if you need | |
thanks. |
ভাই,সব অধ্যায়ের পিডিএফ দিবেন?
Thanks
Vaiya sobgula chapter er note lagb…. Sobgula chapter er note den pl..