রূপসী বাংলা জীবনানন্দ দাশ Pdf Download
বইয়ের নাম: রূপসী বাংলা
লেখকের নাম : জীবনানন্দ দাশ
১ম প্রকাশঃ ১৯৫৭ সাল
পাবলিকেশন্সঃ আপন প্রকাশক
ফরম্যাটঃ পিডিএফ (PDF)
file সাইজঃ ০.৯ এমবি
মোট পেজ সংখ্যাঃ ৬৭ পৃষ্ঠা
রূপসী বাংলা জীবনানন্দ দাশ বই রিভিউ:
‘রূপসী বাংলার কবি’ অভিধায় খ্যাত ‘জীবনানন্দ দাশ'(১৮৯৯-১৯৫৪) ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক এবং প্রাবন্ধিক। গ্রামবাংলার নিজস্ব ঐতিহ্যময় নিসর্গ প্রকৃতি ও রূপকথা-পুরাণের অনিন্দ্যসুন্দর ছবি কবির কাব্যে প্রাণ দান করেছে, হয়ে উঠেছে চিত্ররূপময়। ‘নাটরের সেই বনলতা সেন’-কেও যিনি বাংলার মাটির স্পর্শে, চিত্রকল্পে সাজিয়েছিলেন। ‘রূপসী বাংলা’ (১৯৫৭) জীবনানন্দ দাশের সর্বাধিক জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ।
কবি জীবদ্দশায় এ গ্রন্থটি বা এর অন্তর্ভুক্ত কোন কবিতা প্রকাশ করেন নি। তাঁর মৃত্যুর পর পাণ্ডুলিপির খাতাটি আবিষ্কৃত হয়। কবি নিজে গ্রন্থটির প্রচ্ছদনাম নির্বাচন করেছিলেন ‘বাংলার ত্রস্ত নীলিমা’ নামে।
এই কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলোতে লেখক শুধু বিভিন্নরূপে বাংলার মাটিতে আবার ফিরে আসতে চাননি ; বরং তাঁর বর্ণনাকৌশল পরবর্তী প্রজন্মকেও বাংলার রূপে আকৃষ্ট করতে, বাংলার চিরচেনা ছবিটিকে ভালোবাসতে বাধ্য করেছে। জীবনানন্দ কেন স্বীয় জীবদ্দশায় এ কাব্যগন্থটি প্রকাশ করেননি তা অদ্যাবধি এক পরম বিস্ময় হয়ে আছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এর কবিতাগুলি বাঙালিদের বিশেষভাবে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল।
“এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে- সবচেয়ে সুন্দর করুণ-
সেখানে সবুজ ডাঙা ভ’রে আছে মধুকূপী ঘাসে অবিরল;
সেখানে হলুদ শাড়ি লেগে থাকে রূপসীর শরীরের ’পর-
শঙ্খমালা নাম তার, এ-বিশাল পৃথিবীর কোনো নদী ঘাসে।
তারে আর খুঁজে তুমি পাবে নাকো- বিশালাক্ষী দিয়েছিলো বর –
তাই সে জন্মিছে নীল বাংলার ঘাস আর ধানের ভিতর।”
বছর বারাে আগের কথা; স্কুলে পড়ি, ক্লাশ এইটে৷৷ নতুন বই হাতে পেয়ে কবিতা পড়া শুরু করেছি, একটা কবিতায় এসে আটকে গেলাম, চৌদ্দ লাইনের কবিতা; কবিতার নামটা অদ্ভুত, কবির নামও শুনিনি আগে কখনাে।পুরাে কবিতা জুড়ে অসংখ্য নদী, পাখি, গাছ, ফুল আর ফলের নাম; পড়ে মনে হল এ কবি আমাদের গ্রাম ঘুরে ঘুরে কোথায় কী হচ্ছে দেখে দেখে কবিতাটি লিখেছেন। ছােটবেলা থেকে পড়ে আসা কবিতা বা ছড়ার সাথে কোন মিলই নেই। ভাল লাগল না, খারাপও না।শুধু কিছুক্ষণের জন্য একটা ঘাের গ্রাস করেছিলাে। সেদিন সেই বালককে কেউ বলে দেয়নি যার একেকটি কাব্যগ্রন্থ নিয়ে পুরাে জীবন কাটিয়ে দেয়া যায় আমি সেই কবির কবিতা পড়ছি, পুরাে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেলেও যার কবিতার উপাদান দিয়ে এই বাংলাকে পুনর্বার নির্মাণ করা যাবে আমি সেই কবির কবিতা পড়ছি; “রূপসী বাংলা”র ৬১টি হীরার একটিকে চোখের সামনে নিয়ে বসে আছি। কবিতাটির নাম ছিল “আবার আসিব ফিরে”।কবির নাম জীবনানন্দ দাশ।
‘রূপসী বাংলার কবিতাগুলাে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫৭ সালে; কবির মৃত্যুর তিন বছর পর।।
কবির অনুজ অশােকানন্দ দাশের তত্ত্বাবধানে প্রথম প্রকাশিত সে সংস্করণে কবিতার রচনাকাল
হিসেবে লেখা ছিল ১৯৩২ সাল। পরবর্তীতে দেবেশ রায়ের সম্পাদনায় ১৯৮৪ সালে কবিতাগুলাে
আবার এক মলাটে প্রকাশিত হয়; তখন জানা যায় শিরােনামহীন এই ৭৩ টি কবিতা লেখা ৭৬ পৃষ্ঠার রুলটানা খাতায় কবিতাগুলাের রচনাকাল হিসেবে জীবনানন্দ লিখে রেখেছিলেন মার্চ, ১৯৩৪। সেই ৭৩টি কবিতা থেকে ৬১ টি কবিতা বাছাই করে প্রকাশ করা হয়। কাব্যগ্রন্থের নাম ও কবিতার শিরােনাম অশােকানন্দ দাশের দেয়া; প্রতি কবিতার প্রথম পংক্তির প্রথমাংশকে কবিতার শিরােনাম হিসেবে বাছাই করা হয়েছিল।
কিছু কিছু কবিতা, কোন কোন কাব্যগ্রন্থ কবিকে অমরতা দেয়; তাঁর জাত চিনিয়ে দেয়।
নজরুলের যেমন ‘বিদ্রোহী’, সুকান্তের যেমন ছাড়পত্র’, সুধীনের যেমন ‘শাশ্বতী’, জীবনানন্দের তেমন ‘রূপসী বাংলা’৷৷ কারণ রূপসী বাংলা আসলে কোন কাব্যগ্রন্থ নয়; সব মিলিয়ে একটি সম্পূর্ণ কবিতা, একটি চিত্রকল্প। এ কবিতার কেন্দ্রীয় চরিত্র বাংলার প্রকৃতি; জীবনানন্দের অপূর্ব শব্দচয়নে যা হয়ে উঠেছে ‘গভীর গভীরতর অসুখ’ আক্রান্ত পৃথিবীর শুশ্রুষার মতাে। মৃত্যু কল্পনার ‘অসম্ভব বেদনার সাথে ‘অমােঘ আমােদ’ নিয়ে এ ই-বুকটি অন্তর্জালের অসংখ্য জীবনানন্দ ভক্তকে উৎসর্গ করা হলাে।
Rupasi Bangla Book by Jibanananda Das Pdf free Download link: Click here