Krishnopokkho pdf Humayun Ahmed

কৃষ্ণপক্ষ হুমায়ূন আহমেদ pdf download  || krishnopokkho pdf

krishnopokkho humayun ahmed pdf || কৃষ্ণপক্ষ উপন্যাস pdf


বইয়ের নাম: কৃষ্ণপক্ষ (প্রেমের উপন্যাস)
লেখকের নাম: হুমায়ূন আহমেদ
ক্যাটাগরি: উপন্যাস(Uponnash)
ফাইল ফরম্যাট: Pdf
file সাইজ: 05 এমবি
মোট পেজ: 85 page
 

কৃষ্ণপক্ষ pdf bangla রিভিউ:

পাঠপ্রতিক্রিয়া : এমন উপন্যাস বাংলা সাহিত্য অদ্বিতীয়। কৃষ্ণপক্ষ উপন্যাসটি নানা দোটানা, অজানা অনুভূতি, চাওয়া পাওয়ার মিশ্রণে খুব আবেদনময়ী হয়ে উঠে। পাঠক হৃদয় তোলপাড় করা এক অনুভব,চরিত্রগুলোতে খুঁজে পাওয়া যায়। এতোটা বাস্তব আর সৃজনধর্মী শব্দের প্রয়োগ কখনো হাসায় কখনো হৃদয় নিংড়ে গুমরে কাঁদায়,কখনোবা রেশ রয়ে যায় অকৃত্রিমতায়.. একটি ঘোরময় রচনাশৈলী। যা পুরোটা না পড়লে বুঝা যাবেনা সেটি কি ছিলো মূলত( ?) স্বপ্ন না বাস্তবের। উপন্যাসটির ঘটনা পরাম্পরা বুঝতে হলে পাঠকের সম্পুর্ণ মনযোগ ধরে রাখা আবশ্যক।
কৃষ্ণপক্ষ নামটা যদিও সুন্দর,তবে নামটার মধ্যই জড়িয়ে আছে একটা অশুভ ইঙ্গিত।কৃষ্ণ অর্থ কালো,ঘুটঘুটে অন্ধকার,অমাবস্যা।আমরা জানি ১৫দিনে হয় এক পক্ষ।অমাবস্যার আগের ১৫দিনকে শুক্লপক্ষ ও পরের ১৫দিনকে কৃষ্ণপক্ষ বলা হয়।
এক অভূতপূর্ব সুন্দর, সাবলীল,প্রাঞ্জল কিছু চারণমালা কথনশৈলীর সংমিশ্রণে উপন্যাসটি লেখা। শুরু থেকে শেষ অবধি অজানা এক টান ও অবেশ ধরে রাখার আবেদন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে “কৃষ্ণপক্ষ” বইটির আনাচে কানাচে ৮৬ পৃষ্ঠায়। উপন্যাসটি একটি প্রণয়োপান্যাস,মুহিব আর অরুর প্রণয় ও পরিণতিকে ঘিরে……
কৃষ্ণপক্ষ উপন্যাসটি হুমায়ূন আহমেদের নিজেরই অনেক প্রিয়,যা তিনি নিজেই বিভিন্ন সময় তাঁর লেখার মাধ্যমে জানিয়েছেন।
উপন্যাসের মূল চরিত্র অরু ও মুহিব।যাদেরকে ঘিরেই মূলত পুরো উপন্যাস এগিয়েছে।মুহিব এম.এ পাশ করে চাকরীর সন্ধানে ঘুরে বেড়ানো এক যুবক।ছোটবেলা থেকে মানুষ হয়েছে বোন ও দুলাভাইয়ের সংসারে।বাবা মা মরা মুহিবের একমাত্র বড়বোনের যখন বিয়ে হয়ে যাচ্ছিল তখন মুহিব একদম ছোট।বোনকে না দেখে এক মুহূর্তও থাকতে পারে না সে।বোনও ছোটবেলা থেকে তাকে মায়ের মত আগলে রাখে।তাই বিয়ের দিন বোনের সাথে মুহিবও বোনের শ্বশুর বাড়ি চলে যায়। কিছু কিছু মানুষ আছে যারা বস হবার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়।মুহিবের দুলাভাই সেই প্রকৃতির মানুষ।সবসময় একটা গম্ভীর,রাশভারী ভাব নিয়ে থাকেন।তার দুলাভাই মুহিবকে কখনওই মেনে নিতে পারেননি।
ছোটবেলা থেকেই তাকে উটকো ঝামেলা মনে করতেন।তাই বোনের অধিক স্নেহ সত্ত্বেও প্রচুর অবহেলার মাঝে মুহিব বড় হয়েছে। ওদিকে অরুরা শুধুই দুবোন।অরু পরিবারের ছোটমেয়ে,বড়বোন মিরু।অরুর বাবা অসম্ভব স্বৈরাচারী ও খিটখিটে মেজাজের লোক।কিছু মানুষ আছে যারা ভাবেন তাদের সিদ্ধান্তই ঠিক,কখনওই ভুল হয়না।অরুর বাবা তেমনই একজন।অরুর বাবা তার জন্য একটা পাত্রও ঠিক করে ফেলে।তার নাম আবরার।আবরার ডাক্তার,প্রচুর ধনসম্পদের মালিক।তাছাড়া সে বড্ড লাজুক ও ভালো।তাকে অরুর বাবার অসম্ভব পছন্দ হয়।কিন্তু ওই আবরারকে অরু কিছুতেই বিয়ে করতে পারবেনা।কারণ মুহিব আর অরু একে অপরকে ভালোবাসে।কিন্তু বাবার মুখের উপর কিছু বলার সাহস নেই।একদিন অরু আর মুহিব বিয়ে করে ফেলে।কাজী অফিসে একেবারে সাদামাটাভাবে বিয়ে হয় তাদের।একরকম পালিয়েই বিয়ে করেছে তারা।কেউই তাদের বাসায় জানায় নি।অবশ্য অরু একটি চিঠি লিখে রেখে এসেছে বাসায়।মুহিবের বন্ধু বজলুর বাসায় তাদের বাসার সাজানো হয়।বিয়ের রাতেও মুহিবের দুলাভাই তাকে নিস্তার দেননি।অবশ্য তিনি জানতেন না যে মুহিব আজকে বিয়ে করেছে।মুহিবকে তিনি জরুরি ভিত্তিতে তার অফিসে ঢেকে পাঠান।অফিসে গিয়ে মুহীব যথারীতি অপেক্ষা করতে থাকে।কিন্তু দুলাভাই তাকে বিশেষ পাত্তা দেয় না,অনেকক্ষণ অপেক্ষা করিয়ে রাখে।অবশেষে তার দুলাভাই রাত দশটায় জানায়,তার চাকরি ঠিক হয়েছে।
খবরটা যেন মুহীব বিশ্বাস করতে পারে না।মুহিবের দুলাভাই আর বলেন,চাকরি নিশ্চিত করতে মুহীবকে পরদিনই চট্রগ্রামে যেতে হবে। এদিকে দুলাভাইয়ের অফিসে যাওয়ার সময় মুহীব অরুকে বলে এসেছিল তার আসতে মাত্রএকঘন্টা লাগবে,কিন্তু সে ফিরে আসল পাঁচ ঘন্টা পর।বাসর রাত বলে অরু কোন ঝগড়া করেনা।বাসর রাতটা স্মরণীয় করে রাখার জন্য মুহিবের কটকটে হলুদ পাঞ্জাবীটা পোড়তে চাই। মুহিব পাঞ্জাবী পোড়াতে দেয়া না,সে বলে এই পাঞ্জাবী পরেই তার ছেলে বিয়ে করতে যাবে।খাওয়া শেষ করার পর মুহিব যখন বিছানায় পিঠ রাখল,তার চোখে রাজ্যর ঘুম নেমে আসে।অরু সারারাত জেগে থাকে।পরদিন সকাল আটটায় মুহিব চট্রগ্রাম যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হল।এদিকে অরু ভয়ে ভয়ে নিজের ঘরে ফিরে যায়।তারপর……….
পঁচিশ বছর পরের ঘটনা।আজ অরুর বড় মেয়ে রুচির বিয়ে।রুচির বর কটকটে হলুদ একটা পাঞ্জাবী পড়ে এসেছে।আর রুচি বলছে সে না কী এই পাঞ্জাবীটা পুড়িয়ে ফেলবে।অরুর ছোট মেয়ে কান্তা অরুকে এই খবর দেয়।বলে আপা দুলাভাইয়ের পাঞ্জাবী আগুন দিয়ে পুড়াচ্ছে,বন ফায়ার হবে।কান্তার উৎসাহের কোন কমতি থাকেনা।অরুর চোখে জল এসে যাচ্ছে তিনি সেই জল সামলাবার প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।কথাটি শুনামাত্র তার পঁচিশ বছর আগের কথা মনে পড়ে যায়।
রিভিউঃ রুদ্র ফারাবী

 

krishno pokkho book pdf link:  link1 – link2

 

কৃষ্ণপক্ষ হুমায়ূন আহমেদ pdf

 

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *