সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র pdf Download (full) : somaj biggan 1st paper pdf
মানব সমাজের বিকাশ ও মানবের উদ্ভব: এক সময়ে এই পৃথিবী জবলত্ত বাম্পপিগ্ড ছিল, তাতে অণু বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকত। কিন্তু, অগুরাশি ক্রমে পরস্পরের কাছে এল, ফলে অণুণ্ুচ্ছের সৃষ্টি হল। আস্তে আন্তে জন্ম নিল জীবাণু এবং পনীরের মতো নরম হাড়বিহীন এক ধরনের প্রাণীর আবির্ভাব ঘটল। প্রকৃতি থেকে সরাসরি খাবার গ্রহণ করে স্থাবর বনস্পতির দল মাথা তুলে দাড়াল। সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতির একাত্মতামুক্ত জঙ্গম প্রাণীরও সৃষ্টি হল। এরা জলচারী মৎস্য-মীনের যুগ পার হয়ে এল। কেউবা আবার জল-স্থল উভচরের চেহারা নিল; কেউ নতুন করে আকাশের পথ ধরল, আবার কেউ বা আদিম স্থলভূমিতেই বিকশিত হয়ে উঠতে লাগল। আস্তে আস্তে এদের কণ্ঠ থেকে শব্দ বেরুল এবং পরে ধীরে ধীরে স্তনধারী জীবের উদ্ভব হল। তখন বাদর থেকে বনমানুষ এবং বনমানুষ থেকে আধামানুষ, অর্থাৎ নরবানর এসে দ্বিপদ বংশের-সংখ্যা বাড়াল।
বিকাশ পথে এদেরই কয়েকটি গুচ্ছ-বা জোড়া জাতি পরিবর্তনের স্তরে পৌঁছে গেল। প্রকৃতপক্ষে, এই কটি নরবানরই-মানববংশের আদি জনপ্রিয়তা । সময় ঠিক করতে গেলে এদের কাল কুড়ি লক্ষ বছরের কম হবে না। আজ থেকে দশ লক্ষ বছর আগে মানুষকে অস্ত্রধারী দেখা যাচ্ছে আর তার প্রায় পাঁচ লক্ষ বছর পরে আমাদের পূর্বজ সেপিয়নঃ মানুষের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে।
সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র “মানব-সমাজ’-এর বর্তমান মুদ্রণকে সীমিত অর্থে নব সংস্করণ বলা যেতে পারে। সম্পূর্ণ পুস্তকটি এই অনুচ্ছেদের লেখক বেশ কিছু তথ্য, সাল-তারিখ ও অন্য প্রকার অশুদ্ধিগুলি সংশৌধন করে দিয়েছেন। কিছু কিছু বৈজ্ঞানিক ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ের সাম্প্রতিক তথ্য যোগ করে দিয়েছেন। কোথায় কি করা হয়েছে তা গণনা করার নিষ্প্রয়োজন। আগের কোনও মুদ্বণের সঙ্গে মিলিয়ে দেখলেই এ বিষয়ে জানা ও বোঝা যাবে।
মানব সমাজ:
মানুষের প্রারভিক বিকাশ খুব মন্তুর ছিল; কিন্তু তখনকার অবস্থায় এ বিকাশেরই যথেষ্ট মূল্য লক্ষ্য করা যায় মানুষের হাত, মাথা এবং বাক্ক্ষমতার বিকাশ দেখে, আজ তাকে পশু থেকে আলাদা জীব বলে ঘোষণা করি। কিন্তু, আদিমানব থেকে এখন পর্যন্ত এই যে আশ্চর্য পরিবর্তন, এ-পরিবর্তনের কারণ কি?
১৯৩৩ সালে আমার সঙ্গে পরিচয় হবার আগে রাহুলজী “সাম্যবাদ কেন?’, “তোমার ক্ষয়’, “বিংশ শতাব্দী” প্রভৃতি লিখে ফেলেছিলেন। বৈজ্ঞানিক সমাজবাদ অর্থাৎ মার্কসবাদের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল না। উপরোক্ত পুস্তকসমূহ ইউটোপিয়ান আর অবৈজ্ঞানিক সমাজবাদী বিশ্লেষণে পরিপূর্ণ ছিল। এই অনুচ্ছেদের লেখক তাকে ভারতে বে-আইনী ঘোষিত কম্যুনিস্ট পার্টির সাহিত্যের সাথে পরিচয় করান। এর পরে তিনি মার্কসবাদী সাহিত্যের সঙ্গে পরিচিত হন আর তার বেশ কিছুটা অংশ আমার সঙ্গেই পড়েন।
১৯৬৭ খুস্টাব্দে তার শেষ তিব্বত-যাত্রা থেকে ফিরে কলকাতা পৌঁছবার পর পার্টির কাজ করার ব্যবস্থাও এখান থেকেই হয়েছিল।
১৯৪৪ সালে যখন রাহুলজী আপন স্ত্রী-পুত্রের সাথে মিলিত হবার জন্য সোভিয়েত রওনা হচ্ছিলেন তখন ‘দর্শন-দিগ্দর্শন’ গ্রন্থের কত ভুল-প্রমাদ আমি সংশোধন করে দিয়েছি। প্রকাশক তীর দিক থেকে এ ব্যাপারে উল্লেখ করেছেন আর তা গ্রন্থটিতে সংযোজন করেছেন । “মানব-সমাজ’-এর বাংলা সংস্করণের সম্পাদনাও তিনি করেছেন। এভাবেই তিনি ‘ভোল্গা থেকে গঙ্গা” গ্রন্থটিরও সম্পাদনা করেন।
“মানব-সমাজ’-এ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু পর্যন্ত বিষয় লিখিত ছিল। এই অংশ খুবই পুরাতন হয়ে গেছে। তাই তারপরের অংশ্রের-কথা আমি অন্য একটি গ্রন্থে দিতে চাই।
“মানব-সমাজ’ হিন্দী ভাষায় স্বকীয়/বৈশিষ্ট্যে একটিমাত্র গ্রন্থ। হিন্দী ও বাংলা পাঠকদের পক্ষে এটি খুবই উপযোগী. প্রমাণিত হয়েছে। নেপালেও এর সমাদর হয়েছে । কমপক্ষে ২০ বছর পরে হলেও এটিকে পাঠকদের নিকট উপস্থিত করার জন্য প্রকাশক অবশ্যই ধন্যবাদার্থ।
book info
book | সমাজবিজ্ঞান – ১ম পত্র (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি) somaj biggan |
writter | ড. খ ম রেজাউল করিম , ড. সেলিনা আহমেদ |
Publisher | অক্ষরপত্র প্রকাশনী |
Edition | 8th Edition, January 2022 |
Number of Pages | 384 |
Country | বাংলাদেশ |
format |
সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র pdf বইটির বৈশিষ্ট্য
- প্রতিটি অধ্যায়ের পাঠভিত্তিক উপস্থাপন
- শিখনফলের আলোকে প্রতিটি বিষয়বস্তুর সহজ উপস্থাপন
- প্রতিটি পাঠে জেনে রাখো, চিন্তা করো, দলীয় ও একক কাজ সংযোজন
- সমাজ সম্পর্কিত তত্ত্বের বাস্তব উপযোগী ব্যাখ্যা প্রদান
- শিক্ষাক্রম অনুসারে সর্বশেষ সৃজনশীল প্রশ্নকাঠামোর সঠিক অনুসরণ
- সাম্প্রতিক তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিটি বিষয়বস্তুর হালনাগাদকরণ
- অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক জ্ঞান, অনুধাবন ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন সংযোজন
- পরিশিষ্ট অংশে সমন্বিত অধ্যায়ের প্রশ্ন সংযোজন
- ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সকল বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংযোজন
সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র pdf download link: somaj biggan 1st paper pdf
review
১৯৪০ খুস্টাব্দে রাহুল সাংকৃত্যায়ন অখিল ভারতীয় কিষাণ সভার পলাসা অধিবেশনে সভাপতি নির্বাচিত হন। এলাহাবাদে ডঃ উদয় নারায়ণ তেওয়ারীর গৃহে তিনি নিজের অভিভাষণ লিখেছিলেন। এই অভিভাষণের জন্য “ভারত রক্ষা’ আইন অনুসারে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৯৪০-৪২ থৃস্টাব্দের অধিকাংশ সময়েই তাকে দেওলী ক্যাম্প জেলে থাকতে হয়। উত্তর ও পশ্চিম ভারতের যেসব লোককে “ভারত রক্ষা’ আইনে গ্রেণ্ার করা হত তাদের অধিকাংশকেই এখানে রাখা হত। এঁদের কাছে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপর যথেষ্ট বই ছিল। রাহুলজী সেখানে কার কাছে কি বই আছে দেখে নিয়েছিলেন। এর আগেই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন যে সংগাম ছাড়া মুক্তির আশা নেই; এজন্য তিনি পড়া ও লেখার জন্য একটি পরিকল্পনা স্থির করেন। সেজন্য তিনি এক এক করে “মানব-সমাজ’, “দর্শন-দিগ্রর্শন’, “বৈজ্ঞানিক ভৌতবাদ’, “বিশ্বের রূপরেখা”, “ভোল্গা থেকে গঙ্গা” গ্রন্থগুলি লেখেন।
১৯৪২ খুস্টাব্দে হাজীরীবাগ জেলে আমাদের দেখা হবার পর রাহুলজী তার বইগুলির পাগুলিপি দেখান, ও আমার মতামত জানতে চান। এই বিশাল সাহিত্য দেখে আমার খুব আনন্দ হল। আমি তাকে পরামর্শ দিলাম যে জেল থেকে মুক্তি পাবার পর তিনি যেন কোনও বড় প্রকাশনালয়ে দু’মাস বসে পাঙ্ুলিপি সংশোধন করে গ্রন্থগুলি প্রকাশের ব্যবস্থা করেন।
১৯৪২ খুস্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ে জেল থেকে মুক্তি পেয়েই রাহুলজী মনেপ্রাণে রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়লেন ; আর পাখুলিপিগুলি সংশৌধন করার সময় পেলেন না।
গ্রন্গুলি প্রকাশ করার বিষয়ে কথা বলেছিলেন। ১৯৪৩ সালে সেখানে থেকেই “মানব- সমাজ’ প্রকাশিত হয়। এর পরে এলাহাবাদ ও কলকাতা থেকে এই যুগোপযোগী বইটি বেশ কয়েকবার প্রকাশিত হয়। প্রত্যেকবার ছাপার আগে রাহুলজী কিছু কিছু নতুন কথা জুড়ে দিতেন। আর অন্যান্য নামমাত্র সংশোধন করে দিতেন। এইভাবে এই বইটি পুনমুন্রিত হত, এর কোনও সংস্করণ হয় নি।