দুষ্প্রাপ্য বাংলা বই pdf Download (দুর্লভ বই)
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের উদ্ভবের আগে আমাদের যে সাহিত্য ছিল তাকে প্রাচীন বাংলা সাহিত্য বলা হয়। সাহিত্য” প্রভৃতি নানা নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে । এই নামগুলির প্রত্যেকটির বিরুদ্ধেই যুক্তি দেখানো যায় । তাই আমি এঁ সাহিত্যকে “পুরাতন বাংলা সাহিত্য” বা দুষ্প্রাপ্য/দুর্লভ বই বলার পক্ষপাতী । এই পুরাতন বাংলা সাহিত্য ও আধুনিক বাংলা সাহিত্যের বিভাজন রেখা কেউ কেউ ধরেন ১৭৬০ খ্রিষ্টাব্দ। তা ধরলে ভারতচন্দ্র পুরাতন বাংলা সাহিত্যের মধ্যে চলে যান, কিন্তু তারই সমসাময়িক কবি রামপ্রসাদ সেন (যার সাহিত্যসাধনা বিশেষভাবে ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দের পরেই ঘটেছিল) আধুনিক বাংলা সাহিত্যের মধ্যে এসে পড়েন। আবার কেউ কেউ ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দকে বিভাজন-রেখা ধরতে চান; এঁদের মত গ্রহণ করলে প্রথম দিককার মুদ্রিত বাংলা গদ্যগ্রন্থগুলি এবং শ্রীরামপুর মিশন থেকে প্রকাশিত কোন কোন গদ্যগ্রন্থ পুরাতন বাংলা সাহিত্যের গপ্তির মধ্যে গিয়ে পড়ে যার মতো অবাস্তব ও অসার্থক পরিকল্পনা আর হতে পারে না।
আমার মতে, ১৭৮৫ খ্রীষ্টাব্দকে পুরাতন ও আধুনিক বাংলা সাহিত্যের বিভাজন-রেখা ধরা উচিত, কারণ ১৭৮০ থেকে ১৭৮৫ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে রামপ্রসাদ সেন (পুরাতন বাংলা সাহিত্যের শেষ শক্তিশালী কবি) ও ভারতচন্দ্র-রামপ্রসাদের পৃষ্ঠপোষক রাজা কৃষ্ণচন্দ্র পরলোক গমন করেন এবং ১৭৮৫ খ্রীষ্টাব্দ থেকে বাংলা গদ্যথন্থ মুদ্রিত ও প্রকাশিত হতে শুরু করে (বঙ্গাক্ষরে মুদ্রিত প্রথম বাংলা গদ্যগ্রন্থ জোনাথন ডানকানের “হিন্দু আইন” ১৭৮৫ শরীষ্টাব্দেই প্রকাশিত হয়)।
পুরাতন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস যাঁরা রচনা করেছেন, তাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেন ও ডক্টর সুকুমার সেন। দীনেশবাবুর আগেও কেউ কেউ এই প্রচেষ্টায় ব্রতী হয়েছিলেন, কিন্তু দীনেশবাবু তাদের অনেক পিছনে ফেলে রেখে যেতে সমর্থ হয়েছিলেন অজস্র অপ্রকাশিত পুথি ব্যবহার করে, বহু নতুন কাব্যের পরিচয় দিয়ে এবং নানা নতুন তথ্য পরিবেশন করে। সুকুমারবাবুর প্রধান কৃতিত্ব এই যে, তিনি দীনেশবাবুর তুলনায় আরও বহু নতুন পুথি ব্যবহার করেছেন এবং পুরাতন বাংলা সাহিত্যের কালক্রমটি প্রায় সঠিকভাবে নির্ধারণ করেছেন (দীনেশবাবু তা পারেন নি, তীর এঁতিহাসিক বোধের অভাব ছিল)। অবশ্য সুকুমারবাবু কিছু কিছু বেপরোয়া ও গা-জোয়ারি সিদ্ধান্ত করেছেন, এটি অত্যন্ত দুঃখের বিষয় । আমরা নানা জায়গায় তার ভুলভ্রান্তি (পরিমাণ ও গুরুত্রে দিক দিয়ে সেগুলি উপেক্ষণীয় নয়) দেখাবার চেষ্টা করেছি, এ বইয়েও সে চেষ্টার পরিচয় পাওয়া যাবে।
এরা দু’জন ছাড়া আরও অনেকেই পুরাতন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচনায় ব্রতী হয়েছেন; তাদের অনেকেরই রচনা কালবারিত হয়ে পড়েছে বলে এখানে তাদের নাম উল্লেখ করব না। সাম্প্রতিক কালে যারা এই ক্ষেত্রে আত্মনিয়োগ করেছেন, তাদের মধ্যে ডঃ ভূদেব চৌধুরী, ডঃ অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডঃ আহমদ শরীফের নাম উল্লেখযোগ্য ৷
পুরাতন বাংলা বই ও কিছু দুর্লভ বই PDF
- বইয়ের নাম- অমৃত-দ্বীপ
- লেখক- শ্রীহেমেন্দ্রকুমার রায়
- ধরন- দুষ্প্রাপ্য বই
- ফাইলের ধরন- পিডিএফ
- মোট পৃষ্টা আছে- ৮০
- বইয়ের সাইজ- ১১এমবি
বইঃ বেশ্যাপাড়ার পাঁচটি দুর্লভ সংগ্রহ
দুর্লভ বই link: Beshyaparar Panchti Durlabh Sangraha pdf