ei shuvro ei Humayun Ahmed pdf book free
ফাইল ফরম্যাট: Pdf
file সাইজ: 10mb
এই শুভ্র এই বই রিভিউ
শুভ্র এক অন্যরকম মানুষের নাম। তার চালচলন,চিন্তাধারা সবার চেয়ে আলাদা। সে এক কাক পুষতো,তার সাথে সকালবেলা গল্প করতো। তার মনে এক ভয় আছে,অন্ধ হয়ে যাবার ভয়। তবুও তার অলীক সব চিন্তাধারা চলতে থাকে অবিরাম গতিতে। ছেলের অদ্ভূত এই জীবন নিয়ে আশঙ্কায় ভোগেন শুভ্রর বাবা-মা। ওদিকে ভঙ্গুর পরিবারের কল্যাণার্থে “মঞ্জু” নামের এক যুবক কাজ খুঁজতে খুঁজতে হাজির হয় শুভ্রর বাবা মোতাহার হোসেনের কাছে। মোতাহার সাহেব তাকে নিয়োগ দেন ছেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে।
শুভ্র ও মঞ্জুর দুটো আলাদা জগৎ নিয়েই এই গল্পটি, যেখানে শুভ্র তার অলীক কল্পনায় দিন পার করে আর মঞ্জু সেই অলীক কল্পনাগুলো শুনে প্রতিনিয়ত অবাক হয়। স্বভাবে ঠগ হলেও মঞ্জুর জীবনের স্বার্থে সংগ্রামী হতে হয় নিজেকে। একই ছাদের তলায় আকাশ-পাতাল তফাৎ বিশিষ্ট দুটো জীবন যেন আপন গতিতে ছুটতে থাকে।
লেখক হুমায়ূন আহমেদ পরম যত্নে তার গল্পে দেখিয়েছেন জীবনটাকে কীভবে কত সহজভাবে নেয়া যায়,চারপাশটাকে কীভবে খুব সহজেই উপভোগ করা যায়। পরিশেষে এই গল্প পড়তে গিয়ে পাঠক আরো একবার মুগ্ধ হবে শুভ্রর শুভ্রতায়।💜
full review:
শুভ্র, তার নামের মতোই আদর্শ, এটা তার মা জাহানারা ও বাবা মোতাহার হোসেনের অথই ভালোবাসার সামান্য উপহার। তার পোষা কাক কিংকর, নরওয়ের আত্রলিতা, ধূর্ত মনজু, বুদ্ধিমতি বিনু ও গৃহকর্মী সকিনার নির্মলতায় কল্প-উপন্যাসটি পেয়েছে অন্য মাত্রা!
সংক্ষেপণ :
শুভ্রের চিন্তা জগৎ সাধারণ নয়। ছোটবেলার তার পোষা কাক কিংকরের প্রতি বাবা ও মার আগ্রহটা জন্মেছিল নিয়মানুবর্তিতা ও অলক্ষুণে গুণে, তবে তার আগ্রহের জন্য কোন কিছুর প্রয়োজন পড়ে নি; কাক হারিয়ে যাবার ঘটনা তারই স্পষ্ট প্রমাণ। তার কাজগুলোও ভিন্ন ধরণের, চোখ নষ্ট হবে বলে বাজনাওয়ালা কিবোর্টের সফটওয়্যার বানিয়েছে, চোখ বন্ধ করে চা-কফিও বানাচ্ছে…আরো কতো কী!
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, প্রায়ই শুভ্র এক অদ্ভুত মজার খেলা খেলে, সে মাকে রাগিয়ে দিয়ে মমতামাখা ভালোবাসার বাস্তব উপলব্ধি করে আবার বাবাকে বুদ্ধিযুদ্ধে হারিয়ে তারও দৃঢ়কায় ভালোবাসা দেখে। তার বাবা বাস্তবতার সাথে পরিচিত করাতে মজনু নামক যুবকের নিয়োগ করলেন যার কাজ হলো চড়নদারের মতো শুভ্র’র সাথে থাকে আর স্পাইয়ের মতো জাহানারাকে দিনলিপি বলা। শুভ্র’র বাবার মতে মজনু ধূর্ত, কেননা ধূর্ততা জ্ঞান না থাকলে মিথ্যা বলা যায় না। চড়নদার নিয়োগে শুভ্র’র রাগ হলেও তার বাবা-মার নজরদারিতে বাধা দেয় নি। শুভ্র’র কাছে অপরিচিত বলতে বোধহয় কেউ নেই, কেউ তার কাছে গেলে অতি বিনম্র হয়ে পরিচিত মানুয়ের মতো করে কথা বলে। প্রথমে তার চেহারায় মুদ্ধ হতে হয় তারপর তার নম্রতায়। এজন্য চড়নদার মজনু, বুদ্ধিমতী বিনু ও গৃহকর্মী সকিনার সাথে সখ্যতা ভালো ছিল।
নরওয়ের আত্রলিতার সাথেও সখ্যতা ছিল, তার কাছে শুভ্র দিনের সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য বলত। এমন উদাহরণ হলো কম্পিউটার স্কিনে ভেসে উঠা মায়ের ছবি, বাবার সাথে বৃষ্টিতে ভিজে কফি খাবার দৃশ্য ইত্যাদি। শুভ্র’র জানে এরা তার মা-বাবা নন, বাবা-মা হবার অভিনয়ে সে এতো ভালোবাসা পাচ্ছে, তরে মার কাছে গিয়ে বুঝতে পারল এ ভুল, সম্পর্নই ভু্ল!
বইটি কেন পড়ব?
এই বইটা পড়ার আগে আমি অনুরোধ করব ‘শুভ্র’ বইটা পড়ার জন্য, কেননা ওখানে শুভ্রের কথা বলা হয়েছে আর এখানে তার মা-বাবার সম্পর্কে। একজন শুদ্ধ মানুষের মা-বাবার প্রবল ভালোবাসার কথা উল্লেখিত। মা-সন্তানের নাড়িহীন সম্পর্কও অনেকটা গাঢ় হয়, তা এই বইটা উপলব্ধি করায়। শুভ্র দারুণ গল্প জানে, আমরা সেসবও উপভোগ করতে পারব।
এই শুভ্র pdf link
এই শুভ্র এই উপন্যাস pdf : click here