শুভ্র হুমায়ূন আহমেদ Pdf || shuvro humayun ahmed pdf
Shuvro by Humayun Ahmed Pdf Book
শুভ্র বই রিভিউ:
শুভ্র ভাত খাইছ?
শুভ্র ভাত খাইছ?
তীব্র আতংক যেন একটা পরশ বুলিয়ে গেল শুভ্রর উপর। শেষে জানা গেল শুভ্রর বাবা মোতাহার সাহেব কলমাকান্দা থেকে তিনমাস আগে এটা ময়না পাখি আনিয়েছিলেন। সেটাকে অফিসে রেখে এতদিন কথা শিখিয়েছেন। আর আজ তার জন্মদিনে তার মা জাহানারা সেই ময়নার কথা শুনিয়ে শুভ্রর ঘুম ভাঙিয়েছেন।
শুভ্র – সুন্দর একটা ছেলে। মাথা ভর্তি কোঁকড়ানো চুল। পাতলা ঠোঁট লালচে হয়ে থাকে। তার মায়ের প্রায়ই মনে হয় ছেলে না হয়ে মেয়ে হলে অতি রূপবতী এক তরূনীর মা হতেন তিনি। মা জাহানারার খুব ইচ্ছে ছেলেকে বিয়ে দিয়ে ঘরে বৌ আনবেন তিনি। মাথায় একহাত ঘোমটা দিয়ে বালিকা বউ পায়ে নূপুর পায়ে পুরো ঘর ঘুরবে দিনরাত।
এর কিছুদিন পরেই ভয়ংকর একটা ব্যাপার ঘটে যায় শুভ্রর জীবনে। শুভ্রর বাবা মারা যান হঠাৎ করেই। বাবার মৃত্যুর পর শুভ্র জানতে পারে শহরের সবচেয়ে বড় পতিতালয়ের একটা বড় অংশের মালিক এখন সে। তিনটা বাড়িতে বায়ান্নটা মেয়ে আছে। মেয়েদের আয়ের অর্ধেকের মত পায় তারা। এই ভয়ংকর সত্যিটা এতদিন সবাই লুকিয়ে রেখেছিল শুভ্রর কাছ থেকে।
বাবার বন্ধুর মেয়ে বিনু, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী মীরা, পতিতালয়ের বাসিন্দা আসমানী প্রত্যেকে প্রভাবিত করতে থাকে শুভ্রকে। শুভ্র এখন কি করবে? সেতো বেশি কিছু চায়নি। শুধু চেয়েছে শুদ্ধতম মানুষ হতে। তার আশা কি পূরণ হবে? কে তাকে বানাবে শুদ্ধতম মানুষ?
শুভ্র সমগ্রের শুভ্র চরিত্র নিয়ে বলছি- শুভ্রর বন্ধুদের দেয়া ডাকনাম “কানাবাবা” আমার খুব পছন্দের । শুভ্র চিন্তাশীল হলেও জগতের কিছু কিছু মানুষ যেখানেই থাকুক যেমনই থাকুক তারা সুখী থাকে।শুভ্র সেই সুখী মানুষের দলে পড়ে।সকলের মাঝে ভালো গুণ খুজবার চমৎকার এক ক্ষমতা শুভ্রর আছে। জগতের কোন কিছুই শুভ্রকে চরম পর্যায়ে চমকপ্রদ করতে পারেনি।
জরির সাথে যেদিন স্টেশনে দেখা হলো জরি ছিলো বিয়ের পোশাকে।তাকে দেখে একটুও অবাক হয়নি শুভ্র।আবার বাবার মৃত্যুর পরে তার বাবার একটা পতিতালয় ছিলো এটা জানবার পরও তারমধ্যে কোন চিন্তাচেতনা বা অবাক হবার ভাবভঙ্গি প্রকাশ পায়নি। শুভ্র নিজের জগতে সবসময় আলাদা। সে জানে একদিন এই জগতের আলো সে আর দেখতে পাবে না।সে দিন বেশি দূরে নয় জেনেও সে এসব নিয়ে ভাবে না।
হুমায়ূন স্যার কিভাবে এতো নিখুঁত একটি চরিত্র সৃষ্টি করেছেন! একদম একটা নিখুঁত কারিগর
শুভ্র pdf file link: click here