রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব pdf (Download)
ইসলামি পরিভাষায় রোজা বলা হয়- “আল্লাহ্র নির্দেশ পালনের উদ্দেশ্যে সুবহে সাদিকের প্রারন্ত ফেজর) থেকে সন্ধ্যা (মাগরিব) পর্যন্ত কোনো প্রাপ্ত বযক্ক ব্যক্তির নিয়তসহ বমি, যৌনক্রিয়া ও সর্বপ্রকার পানাহার থেকে বিরত থাকাকে সিয়াম বা রোজা বলে। পবিত্র কুরআনুল কারিমের শব্দ হলো রমাদান। আলোচ্য গ্রন্থে তাই রমাদানকে রমজান বলে আলোচনা করা হয়েছে। রমজান শব্দটি কুরআন মাজিদে সুরা বাকারার ১৮৫ নম্বর আয়াতে মাত্র একবার ব্যবহৃত হয়েছে।
আরবি রমজুন শব্দ থেকে রমজান শব্দের উৎপত্তি। রমজুন শব্দটির অর্থ জালিয়ে দেওয়া বা পুড়িয়ে দেওয়া। সর্বপ্রথম যখন এ মাসের নাম রাখা হয়েছিল তখন প্রচণ্ড গরম ছিল। এজন্যে লোকেরা এর নাম রেখেছে রমজান অর্থ ঝলসিয়ে দেওয়া । কিন্তু উলামায়ে কিরাম বলেন, এ মাসকে রমজান এজন্যে বলা হয় যে, পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহ তাআলা নিজ মেহেরবানিতে মুমিনদের গুনাহসমূহকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভম্ম করে দেন। মানুষ যেন এক নব-জীবন লাভ করে। আরবি ক্যালেন্ডারে রমজান মাসটি নবম মাস। শা’বান মাসের পরই রমজান মাস শুরু হয়। শা’বান মাসের টাদ শেষ হলেই রমজান মাসের চাদ ওঠে, টাদ উঠলেই রোজা পালন শুরু করেত হয়।
পবিত্র কুরআনুল কারিমের শব্দ হলো সিয়াম । আমরা সিয়ামকে রোজা বলে থাকি । আলোচ্য গ্রন্থে তাই সিয়ামকে রোজা বলে আলোচনা করা হয়েছে। রোজা (সাওম ও সিয়াম) শব্দটি পবিত্র কুরআনুল কারিমে ১৩ বার ব্যবহৃত হয়েছে। আয়াতগুলো হলো : আল-কুরআন, ২ : ১৮৩, ১৮৪, ১৮৫, ১৮৭, ১৯৬, ১৯৬; ৪ : ৯২; ৫ : ৮৯, ৯৫; ১৯ : ২৬; ৩৩ : ৩৫, ৩৫; ১৯ : ২৬। ফারসি রোজাকে মূলে আরবিতে সওম বলা হয়, এর বহুবচন সিয়াম বলা হয়।
অর্থ বিরত থাকা, বিরত রাখা, উপবাস থাকা, মুক্ত থাকা, ফিরিয়ে রাখা, পরিক্ষার করা, জ্বালিয়ে দেওয়া, পুড়িয়ে দেওয়া, কঠোর সাধনা করা, অবিরাম চেষ্টা করা, কঠিন পরিশ্রম করা ইত্যাদি।
rozar fojilot o gurutto book info
Book | রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব |
Author | ড. মোহাম্মদ হারুন রশিদ |
Publisher | গাজী প্রকাশনী |
ISBN | |
Edition | 1st Publish ,2014 |
Number of Pages | 232 |
format | |
Language | বাংলা |
রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব pdf Download
মুসলিম সুস্থ, জ্ঞানসম্পন্ন, প্রাপ্তবয়স্ক, নর-নারীগণ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যস্ত ইবাদতের নিয়তে পানাহার এবং যৌনসঙ্গম থেকে বিরত থাকাই রোজা, নারীদের ক্ষেত্রে হায়েজ ও নিফাস থেকে পবিত্র থাকা পূর্বশর্ত। সক্ষম ও সামর্ঘ্যবান ব্যক্তির ইবাদতের নিয়তে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার এবং স্ত্রীসম্তোগ থেকে বিরত থাকাকে রোজা বলা হয়৷
রোজার সময় দিনের বেলায় পানাহার ও স্ত্রীসম্ভোগ থেকে বিরত থাকতে হয় বিধায় রোজাকে সিয়াম বলা হয়। রোজার দিনে আল্লাহর হুকুমে দিবাভাগে হালাল জিনিস পানাহারও হারাম হয়ে যায়।
মুসলিমদের প্রতি রোজা ফরজ হওয়ার নির্দেশের সাথে সাথে এটাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, রোজা শুধুমাত্র তোমাদের প্রতি ফরজ হয়নি। তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতগণের প্রতিও রোজা ফরজ করা হয়েছিল । এর দ্বারা যেমন রোজার বিশেষ গুরুত্ব বুঝানো হয়েছে। তেমনি মুসলিমদের এ মর্মে একটা সান্তৃনাও দেওয়া হয়েছে যে, রোজা একটি কষ্টকর ইবাদত সত্য, তবে তা শুধুমাত্র তোমাদের ওপরই ফরজ করা হয়নি, তোমাদের পূর্ববর্তী জাতিগুলোর ওপরও ফরজ করা , হয়েছিল। কেননা, সাধারণতঃ দেখা যায়, কোনো একটি কঠিন কাজে অনেক লোকে একই সাথে শরিক হলে তা অনেকটা স্বাভাবিক এবং সাধারণ বলে মনে হয়।
অর্থবোধক শব্দ। এর দ্বারা হজরত আদম আলাইহিস সালাম থেকে শুরু করে হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যস্ত সকল উম্মত এবং শরিয়াতকেই বুঝায়। এতে বুঝা যায় যে, নামাজের ইবাদত থেকে যেমন কোনো উম্মত বা শরিয়াতই বাদ ছিল না, তেমনি রোজাও সবার জন্যে ফরজ ছিল ।
আয়াতের মধ্যে শুধু বলা হয়েছে “রোজা” যেমন মুসলিমদের ওপর ফরজ করা হয়েছে, তেমনি পূর্ববর্তী উম্মতগণের ওপরও ফরজ করা হয়েছিল’ এ কথা দ্বারা এ তথ্য বুঝা যায় না যে, পূর্ববর্তী উম্মতগণের রোজা সমগ্র শর্ত ও প্রকৃতির দিক দিয়ে যুসলিমদের ওপর ফরজকৃত রোজারই অনুরূপ ছিল। যেমন রোজার সময়সীমা, সংখ্যা এবং কখন তা রাখতে হবে, এসব ব্যাপারে পূর্ববর্তী উম্মতগণের রোজার সাথে পার্থক্য হতে পারে, বাস্তব ক্ষেত্রে হয়েছেও তাই। বিভিন্ন সময়ে রোজার সময়সীমা এবং সংখ্যার ক্ষেত্রে পার্থক্য হয়েছে।
Download link: রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব pdf