The Last Girl by Nadia Murad bangla pdf free (eBook)
book | দ্য লাস্ট গার্ল |
Author | হাসান বায়েজীদ , নাদিয়া মুরাদ , জেন্না ক্রাজেস্কি |
Translator | হাসান বায়েজীদ |
Publisher | অন্যধারা |
type | |
Edition | 1st Published, 2019 |
Number of Pages | 358 |
Country | বাংলাদেশ |
দ্য লাস্ট গার্ল – নাদিয়া মুরাদ pdf (পিডিএফ) (eBook)-
ডাউনলোড লিংক 01
নাদিয়া মুরাদ কেবল আমার মকেল নয়, বন্ধুও। লন্ডনে যখন প্রথম পরিচিত হই আমরা, সে জানতে চেয়েছিলো আমি তার কৌসুলি হবো কিনা। সে জানায়, তার কাছে কোনো অর্থকড়ি নেই, এবং মামলাটি দীর্ঘ ও অনিশ্চিত, এমনকি অসাফল্যজনক হতে পারে। “কিন্ত সিদ্ধান্ত দেবার আইএসআইএন,” তার শেষ কথা ছিলো, “আমার গল্পটা শুনুন।”
২০১৪ সালে ইরাকে নাদিয়াদের গ্রামে হানা দেয় আইএস, এবং একুশ বছরের শিক্ষার্থী হিসেবে তার জীবন নিক্ষিপ্ত হয়
নরকে। মা ও ভাইদের মৃত্যুর দিকে হাটতে বাধ্য করার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছে সেঃ আইএস জঙ্গিদের একাংশ অন্য অংশের কাছে বিক্রি করে দেয় তাকে । তাদের হুকুম মানতে, ধর্ষণের আগে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী কাপড় পড়তে ও সাজসজ্জা নিতে বাধ্য করা হয় তাকে। একরাতে জ্ঞান হারানোর আগপর্যন্ত গণধর্ষণ করে একদল হানাদার । গায়ের বিভিন্নস্থানে জলন্ত সিগারেট দিয়ে পোড়ানোর এবং পিটুনির চিহ্ন দেখিয়েছে সে আমাকে । আইএস জঙ্গিরা তাকে জয় করে তাদের ধর্মকে ধরণীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ করে দেয়া হবে।
ফেসবুকের মাধ্যমে নিলামে বিক্রির জন্যে নিয়ে,ঁয়আইএস, কখনো কখনো মাত্র কুড়ি ডলারের বিনিময়ে । আশিজন বয়োজ্যেষ্ঠ নারীর একজন-ছিলেন নাদিয়ার মা, যাদের হত্যা করে নামহীন গণকবরে চাপা দেয়া হয়েছিলো । ছয় ভাই ছিলো কয়েকশো লোকের অন্যতম, যাদের একদিনে হত্যা করে জঙ্গিরা ।
নাদিয়া আমাকে যা বলছিলো, তা গণহত্যা সম্পর্কিত। এবং গণহত্যা দুর্ঘট নাবশত ঘটেনা। এর জন্যে পরিকল্পনা করতে হয়; হত্যাকান্ডটি শুরুর প্রাক্কালে আইএসের “গবেষণা ও ফতোয়া বিভাগ” ইয়াজিদিদের সম্পর্কে গবেষণা চালায় এবং এই উপসংহারে আসে যে, একটি কুর্দিভাষী গোষ্ঠী হিসেবে তাদের কোনো পবিভ্র/আসমানী গ্রন্থ নেই, ফলে ইয়াজিদিরা অবিশ্বাসী, যাদের দাসত্ব গ্রহনে বাধ্য করা “শরিয়ার দ্বারা নিশ্ছিদ্ব বিষয়।” আইএসের বিকৃত নৈতিকতা অনুসারে , খ্রিস্টান, শিয়া কিংবা অন্যান্যদের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণরূপে ইয়াজিদিদের পদ্ধতিগত ধর্ষণের উপযুক্ত কারণও এটি । বস্তুত, এটা ছিলো তাদেরকে ধ্বংসের সবচে কার্যকর একটি পন্থা ।
শিল্পাঞ্চলের অনুরূপ একটি দুষ্ট আমলাতনতর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো । এমনকি বন্দি করে দাসত্ব থহণে বাধ্য করা সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর শিরোনামে একটি বাধাইহীন চটিগরন্থও প্রকাশ করে আইএস । “(নমুনা) প্রশ্ন: অপ্রাপ্তবয়ক্ক মেয়ে দাসীদের সাথে যৌনক্রিয়া কি অনুমোদনযোগ্য? উত্তর: অপ্রাপ্তবয়ঙ্ক মেয়ে দাসীদের সাথে যৌনক্রিয়া অনুমোদনযোগ্য, যদি তাকে দেখতে উপযুক্ত
মনে হয়।
প্রশ্ন: মেয়ে বন্দিদের বিক্রি করা কি অনুমোদনযোগ্য? উত্তর: মেয়ে বন্দিদের বিক্রয়, ক্রয় এবং উপহার প্রদান সম্পূর্ণ অনুমোদনযোগ্য, যেহেতু তারা নিছক সম্পত্তি” লন্ডনে, নাদিয়া যখন আমার কাছে তার গল্প বলছে, তখন আইএসের ইয়াজিদি গণহত্যার দুবছর পেরিয়ে গেছে। তখনো হাজার হাজার ইয়াজিদি নারী ও শিশু আইএসের বন্দিদশায়, কিন্তু বিশ্বের কোথাও কোনো আদালতে এসব অপরাধের জন্যে আইএসের একজন সদস্যকেও বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। তথ্যপ্রমাণ, হয় হারিয়ে গেছে, আর না হয় ধ্বংস করা হয়েছে। এবং ন্যায়বিচারের আশায় অনিরামেয় মরিচা পড়েছে।
অবশ্যই মামলাটি আমি হাতে নিই। নাদিয়া এবং আমি অন্তত একবছর ন্যায়বিচারের জন্যে প্রচারণা চালিয়েছি। বেশ কয়েকবার ইরাকি সরকারের সাথে দেখা করেছি, জাতিসংঘের প্রতিনিধি, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সকাশে ধর্ণা দিয়েছি, সেইসাথে আইএস নিপীড়নের অন্য ভুক্তভোগীদের সাথেও মতবিনিময় করেছি। বেশকিছু প্রতিবেদন, বিবৃতির খসড়া ও আইনি বিশ্লেষণ দীড় করাই আমি, এবং জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চেয়ে বক্তৃতা ও বিবৃতি প্রদান করি। আমাদের সঙ্গে আদানপ্রদান/দেনদরবারকারী পক্ষগুলোর অধিকাংশই আকারে ইংগিতে বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে, এর কোনো ফলপ্রাপ্তির সম্ভাবনা নেই বললে চলে: আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের পক্ষে কোনো ভূমিকা নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা নেয়নি বছরের পর বছর।
কিন্তু যখন আমি এই ভূমিকা লিখছি, তখন ইরাকে গণহত্যা ও অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধের আলামত সংগ্রহের জন্যে তদন্ত দল গঠনের মতো একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক স্থাপন করে একটি প্রস্তাবনা গ্রহণ করেছে নিরাপত্তা পরিষদ । এটি নাদিয়ার জন্যে একটি বড় জয়, ঠিক যেমন আইএসের অন্যান্য ভুক্তভোগীদের জন্যেও, যেহেতু এরমাধ্যমে তাদের অপকর্মের তথ্যপ্রমাণ সংরক্ষিত হবার এবং তার ভিত্তিতে আইএস সদস্যদের ব্যক্তিগতভাবে আইনের মুখোমুখি করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত হয়েছে। পরিষদে পরত্তাবনাটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হবার সময় নাদিয়ার পাশে বসেছিলাম আমি । এবং যখন পুনেরো জোড়া হাত উড হতে দেখা গেলো, নাদিয়া ও আমি পরম্পরের দিকে তাকিয়ে হেসেছিলাম বলে মনে আছে।
একজন মানবাধিকার আইনজীবী হিসেবে১ষা আমার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে তা হলো তাদের কণ্ঠস্বর হিসেবে ভূমিকা পালন, যাদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে: নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা সাংবাদিক, কিংবা ন্যায়বিচার প্রত্যাশী যুদ্ধাপরাধের শিকার । কোনো সন্দেহ নেই যে অপহরণ এবং দাসতৃথ্রহণে বাধ্য করার সময় নাদিয়ার কন্ঠস্বর স্তব্ধ করার চেষ্টা করেছে আইএস, তাকে অকথ্য নির্যাতন ও ধর্ষণ করেছে, এবং একদিনে হত্যা করেছে তার পরিবারের সাত সদস্যকে ।
কিন্ত ্তর্ধতাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন নাদিয়া। জীবন তাকে যত প্রকার তকমা দিয়েছে, সবকিছুকে পরাস্থ করেছে সে: অনাথ । ধর্ষিতা । দাসী । উদ্বান্ত। এরস্থলে সে নিজেই নতুন তকমা সৃষ্টি করেছে: যুদ্ধজয়ী, ইয়াজিদি বীরাঙ্গনা। নারী অধিকারের প্রবক্তা। নোবেল শান্তিপদক জয়ী। জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত। এবং এখন, একজন লেখিকা ।
পরিচয়ের পর থেকে গোটা সময় তাকে চেনার সুযোগ পেয়েছি আমি, সে শুধু তার কন্স্বরই খুজে পায়নি, প্রত্যেকটি ইয়াজিদির- যারা নির্যাতন ও গণহত্যার শিকার -কন্ঠস্বরে পরিণত করেছে নিজেকে, প্রত্যেকটি ইয়াজিদি নারীর কন্ঠস্বর, যারা নিগৃহিত হয়েছে, স্বজাতির সর্বশান্ত প্রতিটি মানুষের, যাদের উদ্ান্তুর ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে।
যারা ভেবেছিলো নিষ্ঠুরতার মাধ্যমে তারা নাদিয়ার কষ্ঠরোধ করতে পেরেছে, তারা ভুলের স্বর্গে বাস করেছে। নাদিয়া মুরাদের উদ্যোম ভেঙে যায়নি, এবং সে কখনোই মূক হবেনা। এরছ্লে, এই এন্থের দৌলতে তার কণ্ঠ আগের থেকে সোচ্চার।
প্রয়োজন উপলব্ধি-
তোমার মুঠোফোনের রিংটোন শুনে
অন্তরে কল রিসিভের ভীষণ তাড়া,
হাতের কাজ রেখে, ব্যস্ততা সব ভুলে
কথা বলে কাটে তোমার সারাটা বেলা।
মসজিদের ঐ আযান শুনে তোমার…
অন্তর কেন দেয় না এমন সাড়া?
তুমি তো মুসলমান বলে পরিচয় দাও
তবে নামাযে কেন এত অবহেলা?
ঈমানের প্রথম দাবী নামায কায়েম করা,
এদাবী পূরণে তোমার কেন এত তালবাহানা?
সব কাজেই ব্যস্ত মোরা প্রয়োজন উপলব্ধি
ভেবে দেখো আজ যদি মরি হবো কি জান্নাতি?
যদি নামাযের চেয়ে প্রিয় হয় দুনিয়ার কাজ,
হাশরের মাঠে বিচার শুরু হবে নামায দিয়ে
শুরুতেই যদি পড়ি ধরা থাকবেনা হাতের পাঁচ।
মুয়াজ্জিন তোমার দিনে পাঁচ পাঁচবার ডাকে…
মসজিদে যেতে পারনা তুমি যে ঈমানের বলে
সে ঈমানে জান্নাতে যাবে ভাবো কি করে?
হাশরের সেই বিপদের দিনে নামায হবে ভেলা,
মসজিদের সাথে যাদের হৃদয় থাকে লটকানো
তারা পাবে সেই কাঙ্ক্ষিত আরশের ছায়া।
মোবাইলের ফলাফল আসন্ন এ জীবন সীমাবদ্ধ,
নামাযের ফলাফল পাবে তুমি চিরকাল…
যার শুরু আছে শেষ নাই সীমাহীন অনন্ত।
তুমি তো এযুগের জ্ঞানী ছেলে, ভদ্র ও সভ্য
সব কিছুই বোঝ তুমি, অজানা নেই কিছু।
আযান শুনে ব্যস্ততা ভুলে মসজিদে ভাই চলো
স্থায়ী সঞ্চয় করতে যায় ছেড়ে ক্ষণিকের পিছু।
ভবিষ্যতের চিন্তা যে জন করে সে তো মহাজ্ঞানী
আমার কথা নয় বন্ধু এটা কালজয়ী অমর বাণী।।