ক্যাটাগরি: অনুবাদ বই ফাইল ফরম্যাট: bengali translated book Pdf free Download(পিডিএফ)
রূপান্তরঃ রকিব হাসান
রিভিউঃ
ট্রানসিনভেনিয়ায় এক অতি প্রাচিন দূর্গে যাবেন জোনাথন। দূর্গ প্রধান “কাউন্ট ড্রাকুলা”র সাথে দেখা করতে।
দূর্গে যাওয়ার পূর্বে একরাত থাকতে হচ্ছে গোল্ডেন ক্রোন হোটেলে। সে বুঝতেছে না হোটেল কর্মিরা এমন অদ্ভুত আচরণ করতেছে কেন! তাকে দেখলেই কেমন জানি একটা চাপা উত্তেজনা আর আশঙ্কার ছায়া পড়েছে ওঁদের চোখে-মুখে।
ঐ দূর্গের কথা জিজ্ঞেস করলেই তারা বুকে ক্রুশ চিন্হ আঁকে!
শেষ পর্যন্ত ত এক বয়স্কা মহিলা এসে বলেই ফেললো,বাবা ঐ দূর্গে না গেলে হয় না?
ভদ্রমহিলা যখন দেখলেন জোনাথন নাছোড়বান্দা,সে দূর্গে যাবেই,তখন নিজের গলার ক্রুশটা জোনাথনের গলায় পরিয়ে দিলেন। ধর্মের প্রতি কোন বিশ্বাস নেই জোনাথনের। তবুও মায়ের মত মহিলা কষ্ট পাবেন বলে গলা থেকে খুলে ফেললো না এটা।
সে কি তখন জানতো যে,এই ক্রুশটাই তার শেষ অবলম্বন হবে?
কাউন্ট ড্রাকুলা। অতি বৃদ্ধ একজন লোক। বৃদ্ধের সাথে হাত মিলিানোর পর কেন জানি মনে হলো,এই বৃদ্ধ আর যে জোনাথনকে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছে দুইজন একই ব্যাক্তি। কিন্তু কিভাবে সম্ভব! দুইজন ত সম্পুর্ণ ভিন্ন লোক। অপরদিকে ঐ লোক যুবক ছিলো। আর কাউন্ট ত একদম বৃদ্ধ!
রাতে দুর্গের অন্য ঘরে যেতে নিষেধ করে দিয়েছে বৃদ্ধ। কিন্তু কেন! রাতে এমন কি ঘটে এই দূর্গে যা গোপন করতে চাচ্ছে কাউন্ট?
কাউন্টকে শুধু রাতে দেখা যায়। দিনে কোথায় থাকে সে?
রাতে কাউন্টের ঘর থেকে প্রায়ই শিশুদের কান্নার শব্দ আসে! এই দূর্গে ত কাউন্ট একা থাকে। শিশু কোথায় থেকে আসলো!
জোনথন বুঝতে পারছে না,তার শেষ পরিণতিটা কি হতে যাচ্ছে ।
ডিমেটার জাহাজ। ভার্ণা বন্দর থেকে বড় বড় কয়েকটি কাটের বাক্স নিয়ে রওনা দেয় এই রাশিয়ান জাহাজটি। নাবিক,বাবুর্চি ও খালাসি সহ মোট নয়জন লোক জাহাজে। কিছুদূর আসার পরই অদ্ভুত কান্ড শুরু হলো। প্রতি রাতে একজন করে লোক উদাও হতে শুরু করলো। কোথায় যাচ্ছে এসব লোক!
কি ঘটতে যাচ্ছে জাহাজে?
মিনা মুর বুঝতেছেনা তার বান্ধবী লুসির হঠাৎ কি হলো। গভীর রাতে কিসের আকর্ষণে ঘর থেকে বের যায় সে!
এক রাতে ঘুম থেকে উঠে দেখে তার পাশে লুসি নেই। লুসিকে খুজতে বাগানে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখলো যা দেখার পর মনের অজান্তেই তার মুখ থেকে এক চিৎকার বের হয়ে আসলো। তার চিৎকার শুনে লুসির উপর উপুড় হয়ে থাকা কালো মতন জিনিসটা আকাশে উড়ে গেলো।
পুরোনো গির্জায় এতো এতো কাটের বাক্স কেন আনা হচ্ছে! কোথায় থেকে আসছে এসব! কে পাঠাচ্ছে?
এই বাক্স গুলোর ভিতরেই বা কি আছে?
পাগলা গারদের একজন রুগী রেনফিল্ড। ইদানীং খুব অদ্ভুত আচরণ করছে সে। চিনি ছিটিয়ে অনেকগুলো মাছি ধরেছে। মাছিগুলোকে মাকড়সা দিয়ে খাইয়েছে। আবার মাকড়সাগুলো চড়ুই পাখিকে খাইয়েছে। এখন ডাক্তারের কাছে একটা বিড়াল চাচ্ছে! সে কি করতে চাচ্ছে আসলে!
কিছুই বুঝতে পারতেছে না ডাক্তার।
রেলফিল্ডের উপর দিয়ে বিশাল বাদুর উড়তে থাকে। সে ঐ বাদুড়ের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। এতো বিশাল বাদুড় এর আগে কেউ দেখেনি।
হ্যাম্পস্টেড এবং আশপাশ এলাকায় হঠাৎ রহস্যজনক ঘটনা ঘটতে শুরু করলো।
ছোট ছোট বাচ্চা উদাও হয়ে যাচ্ছে! কোন কোন বাচ্চা ফিরে আসলে তাদের গলায় আশ্চর্য দুই ক্ষত চিন্হ লক্ষ করা যাচ্ছে। তারা বলছে, তাদেরকে নাকি এক রহস্যময়ী নারী নিয়ে যায়! তারপর কি ঘটে তারা কিছু বলতে পারে না!
কে সেই রমণী!
কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শিশুদেরকে!
কাউন্ট ড্রাকুলা লন্ডনে ! আশ্চর্যের বিষয় হলো সে এখন বৃদ্ধ নয়। একদম যুবক! কিভাবে সম্ভব এটা!
এই ঘটনাগুলোর রহস্য উন্মোচন করতে এবং ঐ অশুভ শক্তিকে কি ঠেকাতে পারবেন প্রফেসর ভ্যান হ্যালসিং, লর্ড, মিস্টার মরিস,আর্থার এবং মিনা মুর?
নাকি তাদের পরিণতিও…?
Dracula bangla Pdf নিয়ে অনুভূতিঃ লেখক প্রত্যেকটা গল্পই কারো না কারো দিনলিপির ডায়রী থেকে বর্ণনা করেছেন। বিষয়টা অনেক ভালো লেগেছে।
কোন বই পড়ে এতো ভয় পেয়েছি বলে মনে করতে পারছি না। (স্পয়লারের ভয়ে পূর্ণ বর্ণনা দিতে পারি নাই।)
এটা পড়ার পর রাতে জানালা খুলতে ইচ্ছে করে না। মনে হয়,জানালা খুলেই দেখবো, জানালার পাশে বিশাল বাদুড় বসে আছে।
আপনি যদি ভিতু না হয়ে থাকেন তাহলে আপনিও পড়ে ফেলতে পারেন এই বই। অনেক উপভোগ করবেন আশা করি।
আর যদি আমার মত ভিতু হয়ে থাকেন তাহলে পড়ার দরকার নাই। নয়ত অন্য রকম এক সমস্যায় পড়বেন। বই শুরু করার পর ভয় পাবেন প্রচন্ড। কিন্তু পড়া ছাড়তে পারবেন না। লুসির মত আপনিও অদৃশ্য কিছুর আকর্ষণে বইটির শেষ পর্যন্ত পড়তে বাধ্য হবেন।
1. dracula bangla pdf book download link: Click here
2. রিটার্ন অব ড্রাকুলা pdf download link: click here
Dracular ekta oti-purono comics ache. pele dio