বাংলাদেশের সংবিধান bcs pdf – মূল সংবিধান pdf download – Bangladesh songbidhan pdf download
- বাংলাদেশের সংবিধান সম্পূর্ণ pdf
- বাংলাদেশের সংবিধান আরিফ খান pdf
- বাংলাদেশের সংবিধান pdf
- বাংলাদেশের সংবিধান আরিফ খান pdf
- সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ ধারা
- ছন্দে ছন্দে সংবিধান pdf
- সংবিধান সংশোধন pdf
- বাংলাদেশের সংবিধান pdf ২০২০
- ছন্দে ছন্দে সংবিধান মো আসাদুজ্জামান pdf download
- সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ
ডাউনলোড লিংক – Pdf link:
collected post:
বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি সলিমুল্লাহ খান লেখালেখি করেন সাধু ভাষায়!
আমরা ছোটবেলায় দেখতাম, অন্য সব পত্রিকা চলিত ভাষায় খবর ছাপালেও, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকাটা সাধু ভাষায় খবর ছাপাত। এটা নিয়ে হাসাহাসিও হত।
একসময় ইত্তেফাক চলিত ভাষায় খবর ছাপানো শুরু করল। কিন্তু তাদের সম্পাদকীয় রেখে দিল সাধু ভাষাতেই।
আরো অনেকদিন পর তাদের সম্পাদকীয় ও চলিত ভাষায় লেখা শুরু করল।
তবে সলিমুল্লাহ খান তার লেখা ভাষা চেঞ্জ করেন নি। অনেক পত্রিকা সাধু ভাষার কারনে তার কলাম ছাপায় না। ( যেমন প্রথম আলো)
সলিমুল্লাহ খান এর তাতে কোনো হেলদোল নাই। যে পত্রিকা তার সাধু ভাষায় কলাম/আর্টিকেল ছাপাতে রাজি হয়, তিনি সেখানেই লেখেন।
তিনি যেসব বই লিখেছেন ( যেমন -আদমবোমা) সেগুলাও সাধু ভাষায় লিখেছেন।
কেন তিনি সাধু ভাষায় লিখেন — এর উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানই তো সাধু ভাষায় লেখা। অতএব,আমি সাধু ভাষায় লিখলে সমস্যা কি?
২.
বাংলাদেশের সংবিধান এর দুইটা ভার্সন লেখা হয়েছিল। ইংরেজিতে এবং বাংলায়(সাধু ভাষা)।
চলিত ভাষার বাংলায় কোনো ভার্সন নাই। কোনো আইন কানুনের রেফারেন্স এর জন্য সাধু ভাষার সংবিধান নিয়েই টানাটানি পড়ে।
এই সাধু ভাষা আবার কমুনিকেশন এর জন্য একটু দুর্বোধ্য।
আমজনতার ভাষার উপযোগী করে সাধু ভাষার সংবিধানটা চলিত ভাষায় অনুবাদ করেছেন শ্রদ্ধেয় আরিফ খান স্যার।
আরিফ স্যার ঢাবির ল নিয়ে পড়েছেন, সংবিধান ই তার জীবনের ধ্যান জ্ঞান। তবে তিনি নিজেকে ‘সংবিধান বিশেষজ্ঞ’ বলতে নারাজ। কারন,তার মতে, “৭০ বছর বয়স না হলে, সব চুল পেকে না গেলে বাংলাদেশে কাউকে বিশেষজ্ঞ বলা যায় না।”
এই আরিফ স্যার একটা পাঠচক্র চালান। Reading Club নামের এই সংগঠনটা ২০১০ সাল থেকে ঢাবি এলাকায় প্রতি শুক্রবার একটা করে সেমিনার করত। এখন পর্যন্ত ৪২৫ টা সেমিনার করেছে গত ১০ বছরে। করোনার ভিতর সবগুলা জুমে হচ্ছে। রোদ ঝড় বৃষ্টি ইদ পূজা সব কিছুর মধ্যেও এদের সেমিনার চলে। বেশ কয়েকটা সেশনে থাকার সৌভাগ্য আমার হয়েছে।
বইটাতে পুরা সংনিধানের এ টু জেড অনুবাদ ছাড়াও রয়েছে বেশ মাঝারি সাইজের ভুমিকা এবং একটা ইনডেক্স (সূক্ষ সূচীপত্র, এ্যালফাবেটিকালি)। এই ইনডেক্স এর জন্য আরিফ স্যার বাংলা এ্যালফাবেট এর সিরিয়াল হুবহু ফলো করেননি ,নতুন নিয়ম ফলো করেছেন এবং সেটা কার্যকরী ( দেখুন তৃতীয় ছবি)
বিসিএস এর জন্যই আমি পড়ছিলাম, তবে বিসিএস ক্যান্ডিডেট বাদেও আমজনতার ও বাংলাদেশের সংবিধান পড়া এবং জানা উচিত। দেশ তার নাগরিককে কতটুকু কি দিয়েছে, কি কি সুযোগ সুবিধা রয়েছে তার জন্য, সেটা সংবিধান পড়লেই স্পষ্ট হবে সবার কাছে।
(সংবিধান পড়ে যতটুকু বুঝলাম, ৭১ এ দেশ স্বাধীন করে একটা কাল্পনিক ‘এল দোরাদো’ স্টাইলে সংবিধান লেখা হয়েছিল, যেটা বাস্তবায়ন হয়ত কখনোই সম্ভব হবে না আমাদের পক্ষে। বিভিন্ন সময়ে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে পুরা সংবিধান ই স্থগিত করে দিয়েছিল। যে সময়ে গনতন্ত্র ছিপ, তখনো সংবিধানের সব বিধান সবাই ফলো করেনি। ন্যায়পাল জিনিসটা সংবিধানে আছে কিন্তু গত ৫০ বছরেও কোনো সরকার এটা বাস্তবায়ন করেনি)
বইটার একটা দুর্বলতা/পয়েন্ট অফ ইমপ্রুভমেন্ট বলতে চাই। প্রতিটা সংশোধনী কিংবা ধারা উপধারা সং্যোজন বিয়োজ এর কাহিনীটা যদি ছোট করে বলা থাকত, তাহলে ভাল হত।
( কোরান শরীফের ক্ষেত্রে যেমন প্রতিটা সূরার শানে নুজুল থাকে, বলা থাকে অমুক সময়ে এই এই কারনে এই সূরা নাজিল হয়েছিল, ঠিক সেই রকম )
সংবিধানের ক্ষেত্রেও যদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে কারন বলা থাকত, তাহলে বইটা আরো সুখপাঠ্য হত বলে মনে করি।
যেমন – ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ+ জামায়াতে ইসলামী একসাথে আন্দোলন করে বিএনপিকে ক্ষমতা থেকে নামাল, নতুন ইলেকশন হল, খালেদা জিয়া একদলীয় সরকার গঠন করল এবং ১২ দিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করে পার্লামেন্ট ভেঙে দিল,নতুন ইলেকশন হল,নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্ডারে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হল — এই ইতিহাসটুকু জুড়ে দেওয়া যায় ১৩তম সংশোধনীর আগে/পরে।
এইটা ছাড়া, ‘সহজ ভাষায় বাংলাদেশের সংবিধান’ বইয়ের আর কোনো ত্রুটি -সীমাবদ্ধতা নাই।
সবাই সংবিধান পড়ুন, সংবিধান জানুন।