Bcs Preliminary Analysis pdf (eBook)
বইয়ের নাম: বিসিএস প্রিলিমিনারী অ্যানালাইসিস
লেখকের নামঃ গাজী মিজানুর রহমান (বিসিএস)
প্রকাশনী: অথেন্টিক পাবলিকেশন্স
বইয়ের ধরণ: bcs প্রিলিমিনারি বই
ফাইল ফরম্যাট: Pdf(পিডিএফ)
আমরা অনেকেই একটা বিষয়ে কনফিউজড হয়ে যাই, আর সেটা হল-
বিসিএস এর জন্য প্রস্তুতি নিবেন নাকি ব্যাংকের জন্য?
অনেকেই দোদুল্যমান অবস্থায় আছেন, ব্যাংকের প্রিপারেশন নিবেন নাকি বিসিএসের? নাটি দুইটাই একসাথে? বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য বাংলাদেশের বেশিরভাগ চাকরি প্রত্যাশী উচ্চ শিক্ষিত মানুষের ড্রিম থাকে বলা চলে। কেননা, বিসিএস ক্যাডার জব একটি অনেক সম্মানের সরকারি ফার্স্ট ক্লাস গেজেটেড জব, জব সিকিউরিটি অনেক ভালাে এবং বেতন-ভাতা ভালাে, ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল। সর্বোপরি বিসিএস ক্যাডারদের সামাজিক গ্রহণযােগ্যতা অনেক বেশি।
কিন্তু বেশির ভাগ বিসিএস ক্যাডার প্রত্যাশীই জানেন না বিসিএসের প্রস্তুতি কীভাবে নিবেন।
তবে আমি মনে করি একটু বুদ্ধি খাটালে একসাথে বিসিএস ও ব্যাংক উভয়েরই প্রিপারেশন নেওয়া যায়।
কেননা, বিসিএসের প্রিপারেশন নিলে একসাথে অনেক জবের প্রিপারেশন হয়ে যায়। তাছাড়া এখন কেউ যদি বিসিএসে প্রিলি, রিটেন, ভাইভা পাশ করার পরও কোনাে ক্যাডার না পান, তাহলে একটা নন-ক্যাডার জব পাবেন বলে আশা করতে পারেন (৩৩তম, ৩৪তম, ৩৫তম ও ৩৭তম বিসিএস থেকে অনেকে নন-ক্যাডারে ভালাে জব পেয়েছেন)।
উত্তর: এখানে অনেক লাভ আছে, তাই নিবেন। যেমন-
- ১. আমি মূলত বিসিএসের প্রিপারেশন নিয়ে পূবালী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে চাকরি পেয়েছি। আপনিও পারবেন চেষ্টা করেই দেখুন না! তবে, আমি ব্যাংকের জন্য Extra শুধু Vocabulary পড়েছি এবং সাথে ICT উপর একটু বেশি পড়াশুনা করেছি। তাতেই হয়ে গেছে। এখন আবার আমি সবার দোয়া ও আলাহর রহমতে ৩৫তম বিসিএস ক্যাডার হয়েছি। তার মানে, একই প্রস্তুতি দিয়ে আমার বিসিএস ও ব্যাংক দুই জায়গায়ই জব হয়েছে। যদিও ৩৪তম বিসিএস ছিল আমার জীবনের প্রথম বিসিএস, সেখানে আমি নন-ক্যাডারে নিয়ােগের সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলাম; কিন্তু যােগদান করিনি। আর ৩৫তম বিসিএস ছিল আমার জীবনে দ্বিতীয় বিসিএস; যেখানে আমি ক্যাডার হিসেবে নিয়ােগপ্রাপ্ত হই।
- ২. নন-ক্যাডারের জন্য আপনাকে আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে না ।
- ৩. কোনাে প্রকার ঘুষ-তদবির ছাড়াই আপনার অনেক ভালাে একটা সরকারি চাকরি পাওয়ার নিশ্চয়তা অনেক বেশি।
- ৪. ব্যাংকের জবের জন্য বেশি পেরেশানি হতে হবে না।