জান্নাতের সবুজ পাখি বই রিভিউ

– আপনার জন্য গোলাপ।

– বাহ খুব সুন্দর! সাতটা লাল গোলাপ?

– জি, আম্মু দিয়েছে, আপনাকে দেওয়ার জন্য। আমাদের এই
বাগানের গোলাপ।

– তাই? রিপা হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছে। ওর লম্বা এলোকেশ ছাদের খোলা বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে চারদিক।

রিশি আর রিপা দুজনে রিশিদের গ্রামের বাড়ির খোলা ছাদে। পুরো ছাদটা ফুলের টব দিয়ে সুন্দর করে সাজানো। সব ধরণের গোলাপ আর সাথে বিভিন্ন প্রজাতির অন্যান্য ফুল.ফুটে আছে। বসে আড্ডা দেয়ার জন্য চেয়ার টেবিল সবই আছে। এরকম একটি গ্রামে বিশাল বাংলোটি মনের মতো করেই সাজিয়েছেন রিশির বাবা-মায়ের। দামি আসবাবপত্র, আধুনিক ফিটিংস ত্ররং মূল্যবান শোপিস দিয়ে পুরো বাড়িটা সাজানো। রিশির বাবা আঝীরূফ সাহেব মাঝে মাঝে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে এখানে বেড়াতে আসেন আনন্দ ভ্রমণে ।

রিশি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে রিপার দিকে। ওর এতো লম্বা চুল আর এতো ফর্সা ও। রিশি এতো সুন্দর মেয়ে দেখেনি কখনো। ওর পরিবারের মেয়েদের প্রায় সবারই ছোট ছোট চুল। আর ওরা এইভাবে কখনো হাসেও না। রিশির ইচ্ছে করছে চুলগুলো ছুঁয়ে দিতে । নিজেকে আর সামালাতে না পেরে খপ করে মেয়েটির চুল ধরে ফেলল সে। -আরে কি করছেন? চুল ছাড়ুন। ব্যথা পাচ্ছিতো।

– এগুলো কি আপনার সত্যিকারের চুল? এতো বড় চুল আমি কোনোদিনও দেখিনি। আম্মুতো খালি পার্লারে যায় আর চুল ছোট ছোট করে নিয়ে আসে। আমার বোনরাও তাই। আচ্ছা আপনিও কি পার্লারে গিয়ে চুল ছোট করে আসবেন? কাটবেন না কিন্তু বলে দিচ্ছি। কাটলে আমি খুব রাগ করব।

– তাই? আপনার বড় চুল বুঝি খুব পছন্দ?