Screenshot 09 09 2023 16.58.18
|

অংকে অংকে আই কিউ PDF – onke onke iq bangla pdf

book অংকে অংকে আই কিউ
Author
Publisher
type pdf
Edition 1st Published, 2023
Number of Pages 172
Country বাংলাদেশ
Language বাংলা

সূচিপত্র


* অংকে অংকে আই-কিউ
* সংখ্যার সাজঘরে
* অঙ্ক নিয়ে মজার খেলা

রিভিউ

আই-কিউ অর্থাৎ ইনটেলিজেস কোশেন্ট বাংলায় বুদ্ধযঙ্ক ৷ মনোবিজ্ঞানীরা বলেছেন, কোন ব্যক্তির মানসিক বয়সকে তার শারীরিক বয়স বা প্রকৃত দিয়ে ভাগ করে যে ভাগফল পাওয়া যায় তাকে একশ দিয়ে গুণ করলেই পাওয়া যায় আই-কিউ । তার মানে, আই-কিউ _ কৃত বয়স অর্থাৎ বয়সের তুলনায় মানসিক বয়স যার যত বেশি, তার আই-কিউ বা বুদ্ধযঙ্কও তত বেশি। এই মানসিক বয়সও আবার নির্ভর করে অন্য অনেক কিছুর উপর । যেমন, সাধারণ জ্ঞান, পারিপার্থিক অভিজ্ঞতা, বিচারবোধ, বুদ্ধি, বিচক্ষণতা, বিশ্লেষণক্ষমতা, অনুভূতি ও কল্পনাশক্তি ইত্যাদি । তাই মানসিক বয়স মাপতে গেলে জ্ঞানকাণ্ড আর বোধবুদ্ধির গভীরতা যাচাই করা দরকার।

এখন কথা হল, যে কারুর প্রকৃত বয়স নির্ণয় করা অসুবিধা কিছু নয়। জন্ক্ষণ, সাল, তারিখ ইত্যাদি জানা থাকলে নিখুঁতভাবে বয়স নিরূপণ করা যায়। তাছাড়া, শারীরিক বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শরীরের অভ্যন্তরীণ দেহকোষ এবং অন্যান্য জৈবিক প্রক্রিয়ারও নিয়মমাফিক রূপান্তর হয় ।

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, মানসিক বয়স নির্ধারণ করা । এমন কোন যান্ত্রিক উপায় আবিষ্কৃত হয়নি যা দিয়ে যে কারুর মানসিক বয়সের সঠিক পরিমাপ করা যায়।

তাহলে বুদ্ধির মাপ নেওয়া যাবে কিভাবে? বুদ্ধি জিনিসটাই বা আসলে কি? এ নিয়ে মনোবিজ্ঞানীদের মধ্যে আছে নানান মতামত । কেউ মনে করেন বুদ্ধি হল বুঝতে পারার ক্ষমতা, কেউ বা বলেন একজন লোক কতটা শিখেছে বা বুঝেছে তা দিয়েই বোঝা যাবে তার বুদ্ধির দৌড় । কেউ বা মনে করেন, প্রাকৃতিক নানান ঘটনাপ্রবাহ ও পরিবেশ এবং পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষী করে চলতে শেখার ক্ষমতাই হল
বুদ্ধি। আবার পরিস্থিতি বা পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে গেলে পারিপার্থিক অবস্থা সম্পর্কে সম্যক্‌ ধারণা করা কিংবা আয়ত্ব করার কৌশল রপ্ত করা দরকার। আর তাতেই পাওয়া যাবে বৃদ্ধির পরিচয় ।

প্রাথমিকভাবে বুদ্ধিকে যাচাই করে নেওয়ার আধুনিক প্রথা বা পদ্ধতি হল বিভিন্ন কায়দায় বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করা এবং সেইসঙ্গে আনুষঙ্গিক উত্তরের মান নির্ণয় করা। কিন্তু যেহেতু বিভিন্নরকম পরিবেশে বিভিন্ন ব্যক্তিমানুষের যুক্তিবোধ বা ধ্যানধারণারও পার্থক্য থাকা স্বাভাবিক । কাজেই পরিবেশ ও পরিস্থিতির কথা বিবেচনা না করে একই রকম প্রশ্নের সাহায্যে বুদ্ধির যাচাই করতে যাওয়াটাও সমীচীন নয়। বস্তুত পারিপার্থিক অবস্থা, শিক্ষাগত মান এবং বয়সের তারতম্য অনুযায়ী প্রশ্রের ধরনধারণ, প্রকৃতি ও মান পৃথক হওয়া বাঞ্ছনীয়। হয়ত একটা গুরুতুপূর্ণ প্রশ্ন উঠতে পারে, বিভিন্ন মানুষের মধ্যে বুদ্ধির তারতম্য আদৌ ঘটে কেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, নানারকম কারণেই মানুষে মানুষে . বুদ্ধির হেরফের হয়। যেমন, শিক্ষা, সংস্কৃতি, সামাজিক-পরিমন্ডল, অর্থনৈতিক পরিবেশ, জীবিকা অর্জনের উপায়, ভৌগোলিক অবস্থান ইত্যাদি আরও অনেককিছু কোন ব্যক্তির মস্তিষ্কের পুষ্টি ও গঠনের সঙ্গেও বুদ্ধির সম্পর্ক রয়েছে, সকলেই স্বীকার করেন, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অভিজ্ঞতা এবং সেইসঙ্গে বুদ্ধিরও খানিক পরিবর্তন হয়।

প্রাসঙ্গিকভাবে একথাও বিশেষভাবে মনে রাখা দরকার, উপযুক্ত চর্চার মাধ্যমে বুদ্ধির বিকাশ ঘটানো সম্ভব৷

এবারে আসা যাক, বুদ্ধির পরিমাপের কথায়। বুদ্ধির মাপ নির্ণয়ের জন্য যতরকমের প্রশ্ন পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া রয়েছে, তার মধ্যে অঙ্কের প্রশ্ন দিয়ে বুদ্ধির যাচাই করা অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপায় । যে-কোন সমাজে, যে কোন অবস্থায়, যে কোন পরিবেশে, যে কোন বয়সে কোন ব্যক্তির বুদ্ধিকে যাচাই করে নেওয়া যায় বিভিন্ন প্রকৃতির ও বিভিন্ন মানের অস্কের-সাহায্যে। আজকাল বিভিন্নরকম প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাতেও আই-কিউ টেস্টের অনেক্খানি অংশ জুড়ে থাকে অঙ্কের নানারকম মজাদারি প্রশ্ন ।

তাই অক্কেরই একেবারে প্রাথমিক ধ্যানধারণা নিয়ে বিদ্যালয়্তরের অর্থাৎ মোটামুটিভাবে দশ বছর থেকে ষোল সতের বছর বয়স পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের কথা মনে রেখে এই বইএর প্রশ্নগুলো নির্মিত হয়েছে। প্রশ্নগুলো. একদিকে যেমন কোন একজনের বুদ্ধির মান নির্ণয়ের সহায়ক হবে, অন্যদিক থেকে আবার ছাত্রছাত্রীদের বুদ্ধির বিকাশেরও সাহায্য করবে বলে আমার বিশ্বাস।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *