ইট দ্যাট ফ্রগ ব্রায়ান ট্রেসি pdf Download || eat that frog pdf bangla translated

Eat that Frog brian tracy pdf bangla onunad pdf book Download

বইয়ের নাম: ইট দ্যাট ফ্রগ
লেখকের নাম: ব্রায়ান ট্রেসি

প্রকাশকাল: ২০১৯ সাল
ফাইল ফরম্যাট: Pdf

ইট দ্যাট ফ্রগ ব্রায়ান ট্রেসি বই রিভিউ:

বিশ্বব্যাপী ১৬ লাখ কপি বিক্রিত বই।
যে বই টি পড়লে আপনার কর্মে ও জীবনে ঘটবে বৈপ্লবিক এক ইতিবাচক পরিবর্তন। আর এই পরিবর্তন আপনাকে কর্মজীবনে পৌঁছে দিবে সবার শীর্ষে। আপনি ব্যক্তিগত জীবনে হয়ে উঠবেন একজন কিংবদন্তী সক্রিয় কর্মী। আপনি কি জানেন সবচেয়ে বড় সফলতা কি? সবচেয়ে বড় সফলতা হলো- নিজের যে কাজটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটাতে লেগে থাকা এবং সেই কাজটি পরিপূর্ণভাবে শেষ করা। যা করতে পারলে আপানার জীবনে আপনাআপনিই যুক্ত হবে সম্মান, মর্যাদা ও সুখ। ইট দ্যাট ফ্রগ বইটি সাবলীল, উপভোগ্য ও খুব চমৎকার করে লেখক ব্রায়ান ট্রেসি একুশ টি বৈজ্ঞানিক ফরমুলার মাধ্যমে সাজিয়েছেন। যা সত্যিই অনেক চমৎকার। তিনি সেখানে দেখিয়েছেন পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনকে কিভাবে সমৃদ্ধ ও সুন্দর করা যায়। সেই সাথে প্রত্যেকটা মানুষের উৎপাদনশীলতা, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নিজের যে কোনো কাজকে মূল্যবান করে তোলার এক দারুণ পরশ পাথর হলো এই ইট দ্যাট ফ্রগ অনুবাদ বইটি।

সফলতা লাভের জন্য সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি জরুরী তা হলো- সেই কাজে আন্তরিকভাবে দীর্ঘদিন লেগে থাকা। কিভাবে কাজে লেগে থাকা যায় তা শত শত বই ও হাজার হাজার আর্টিকেল পড়ার অভিজ্ঞতা থেকে লেখক এই বইটি সৃষ্টি করছেন পাঠকের জন্য। যার প্রত্যেকটি লাইন আমাদেরকে সেই সফলতার পথে হাটতে সহায়তা করবে এটা সুনিশ্চিত বলেই আমি বিশ্বাস করি। আপনার চেয়ে অন্যরা কর্মজীবনে কেনো এগিয়ে? তার যথার্থ উত্তর পাওয়া যাবে এই বইয়ে। এবং আপনিও কিভাবে নিজেকে সেখানে পৌঁছাতে পারবেন তারও বৈজ্ঞানিক গাইডলাইন সাজানো আছে অসংখ্য উদাহরণ ও উক্তি দিয়ে। এই বইয়ের মাধ্যমে আপনাকে শেখানো হবে সফল ব্যক্তিরা কি কি পদ্ধতি অনুসরণ করেন? তা তা খুঁজে বের করার উপায়। তারপর একই ফলাফল পাওয়ার জন্য আপনি কি ভাবে কি করবেন তারও নির্দেশনা আছে। একটা কথা মনে রাখবেন, আপনি যদি বড় হতে চান তাহলে সেই বিষয়ে যাঁরা অলরেডি বড় বা সফল হয়েছেন (অভিজ্ঞ) তাঁদের কাছ থেকে যত পারেন শিখতে থাকুন এবং আপনিও বড় বা সফল হওয়ার জন্য সেই সেই পদ্ধতি বা পথ গুলো অনুসরণ করুন এবং নিজের জন্য সেই পদ্ধতিতে ততক্ষণ পর্যন্ত কাজ করতেই থাকুন যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি সেই রকম উত্তম ফলাফল না পাচ্ছেন। লেখক বলেন, আপনার হাতে যদি দু’টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকে, তাহলে প্রথমেই বড়, কঠিন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটিই করুন। এই কাজটি করাই হলো ব্যাঙ খাওয়া। বইটির প্রথমের দিকে বলা হয়েছে, “সর্বোচ্চ স্তরের কর্মক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা অর্জনের মূলমন্ত্র হলো- জীবনভর প্রত্যেক সকালে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটিকে আকঁড়ে ধরার অভ্যাস গড়ে তোলা।” আমিও ব্যক্তিগতভাবে তাই বিশ্বাস করি। লেখক বলেন, আপনার জীবন ও কর্মে সফলতা নির্ভর করে আপনি দীর্ঘ সময় ধরে কী ধরনের অভ্যাস গড়ে তুলছেন তার উপর। আমরা তো সবাই এই বিষয় টা সম্পর্কে জানি যে, কাজ শেষ করতে পারাটা এক বিশাল আনন্দের ব্যাপার যা আমাদেরকে তৃপ্ত করে তোলে। আর জীবনের জন্য এই তৃপ্তি জিনিসটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞানীরা বলেন- কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজের সমাপ্তি আপনার মস্তিষ্কের মধ্যে এন্ডোরফিন নামক ইতিবাচক হরমোন প্রবাহিত করে যা আপনাকে ভালো লাগাতে সাহায্য করে। লেখক বলেন, অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই। অনুশীলন হলো যেকোনো দক্ষতাকে আয়ত্তে আনার প্রধান চাবিকাঠি। আপনি যদি কোনো কাজে একাগ্রতা অর্জন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই তিনটি গুণের অধিকারী হতে হবে। (১) সিদ্ধান্ত। (২) শৃঙ্খলা। (৩) দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। এসব সহ আরো অনেক অনেক বিষয়ে বিস্তারিত জানতে অবশ্যই বইটি পড়ুন।

প্রিয় রিভিউ পাঠক এবার আমি সংক্ষেপে বইটি নিয়ে আমার নিজস্ব স্টাইলে কিছু পয়েন্ট দেওয়ার চেষ্টা করবো:

১) সফলতার প্রধান সূত্র আপনার চিন্তা গুলোকে অবশ্যই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাগজে লিখে ফেলুন এবং তা বাস্তবায়ন করার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করুন।

২) আপনি আসলে কি অর্জন করতে চান সে বিষয়ে এখনই সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিন।

৩) সময়ের সবচেয়ে বাজে ব্যবহার হলো- এমন কোনো কাজ ভালোভাবে করা যা করা মোটেই দরকার ছিলো না।

৪) আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করুন এবং তা অর্জনে জন্য যেসব কাজ করতে হবে তার একটি তালিকা তৈরি করুন।

৫) প্রতিদিন এমন কিছু করুন যা আপনার লক্ষ্য কে পূরণ করতে সহায়তা করে।

৬) স্বপ্ন পূরণের সাথে রিলেটেড এমন বই প্রতিদিন অবশ্যই পড়ুন।

৭) সকল ব্যর্থতার মূল কারণ হলো পরিকল্পনা ছাড়া কাজ করা।

৮) আপনার হাতে যে কাজটি আছে তার উপর আপনার সকল চিন্তা কেন্দ্রীভূত করুন।

এধরনের অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ বাক্য দিয়ে সাজানো বইটি। যা আপনার চিন্তার জগতকে বৈপ্লবিকভাবে পরিবর্তন করবে অবশ্যই অবশ্যই।

অনুবাদক নেসার আমিন বইটির চমৎকার অনুবাদ করেছেন। এজন্য তাঁকে প্রীতি ও ভালোবাসা জানাই। সর্ব শ্রেণির পাঠকদের বইটি পড়ার অনুরোধ জানাই। এমন গুরুত্বপূর্ণ বই মিস করা অবশ্যই ঠিক নয়। ধন্যবাদ।