(New) ৬ষ্ঠ শ্রেণীর বিজ্ঞান গাইড Pdf Download – class 6 science guide pdf 2021
বইয়ের নাম- ৬ষ্ঠ শ্রেণীর বিজ্ঞান গাইড pdf download | class 6 science guide pdf bangladesh 2021-20
ক্যাটাগরিঃ- এস এস সি পাঞ্জেরী ও লেকচার গাইড বই
ফাইল সাইজ: ২৩,২ মেগাবাইট
ডাউনলোড লিংকঃ-
পরীক্ষণ
পরীক্ষণ বিজ্ঞানের নতুন জ্ঞান পাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে কোনাে বৈজ্ঞানিক প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য প্রথমে জানা বা বিদ্যমান তথ্যের আলােকে একটি আনুমানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি পরীক্ষণের মাধ্যমে ঐ অনুমিত সিদ্ধান্ত ঠিক হয়েছে কিনা তা যাচাই করেন। পরীক্ষণের উপাত্ত বিশ্লেষণ করে যদি দেখা যায় অনুমিত সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না তাহলে তিনি নতুন করে অনুমিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তারপর আবার তা পরীক্ষণের মাধ্যমে যাচাই করেন। পরীক্ষণ পদ্ধতির মূল বৈশিষ্ট্য হলাে এতে সকল কিছু স্থির রেখে একটি মাত্র চলক পরিবর্তন করা হয়। নিচে পরীক্ষণ পদ্ধতির ধাপসহ একটি উদাহরণ দেওয়া হলাে।
পরীক্ষণ : বেঁচে থাকার জন্য গাছের পানি দরকার কিনা তার পরীক্ষা।
পরীক্ষণটি করতে যা যা দরকার : ছােট দুটি পাত্র, ফুলগাছের দুটি চারা, পানি ও শুকনা মাটি।
পদ্ধতি:
১. সমস্যা নির্ধারণ : পরীক্ষণ পদ্ধতির প্রথম ধাপে তােমরা সমস্যা স্থির করলে-ফুলগাছের চারা তুলে এনে লাগালে মারা যাচ্ছে কেন?
২. জানা তথ্য সংগ্রহ : তােমরা বই পড়ে, শিক্ষককে বা পিতা-মাতাকে জিজ্ঞাসা করে জানার চেষ্টা করলে কেন চারাগাছ মারা যেতে পারে। তােমরা জানলে যে পানি না পেলে চারাগাছ মারা যেতে পারে।
৩. আনুমানিক/অনুমিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ (সম্ভাব্য ফলাফল) : জানা তথ্য থেকে তােমরা অনুমিত সিদ্ধান্ত
নিলে-পানির অভাবে চারাগাছ মারা যায়।
৪, পরীক্ষণের পরিকল্পনা : এবার তােমরা পরীক্ষণের পরিকল্পনা করলে। একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে, এ পরীক্ষার জন্য তােমাদের দুটি পাত্রে দুটি গাছ নিতে হবে। তােমরা কেবল দুটি পাত্রের মধ্যে একটি বিষয়ে পার্থক্য রাখতে পারবে। অন্যসব কিছু সমান সমান রাখতে হবে। না হলে তােমরা যেটি যাচাই করতে চাও তা করতে পারবে না।
৫. পরীক্ষণ : ছােট দুটি একই রকমের পাত্র নাও। মাটি বা প্লাস্টিকের টবজাতীয় হলে ভালাে হয়। পাত্র দুটির তলায় ছােট ছিদ্র কর। এবার শুকনা মাটি দিয়ে পাত্র দুটি ভরে দাও। এবার একই ধরনের দুটি চারাগাছ পাত্রে রােপণ কর। একটিতে পানি দাও আর একটি শুকনা রাখ । দুটি গাছকে ছায়ায় রেখে দাও। পরের দিন গাছ দুটিকে পর্যবেক্ষণ কর। একটি গাছ প্রায় মরে গেছে, তাই না? অন্যটি সতেজ আছে।
৬. উপাত্ত বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ : দুটি পাত্রে একই ধরনের মাটি ছিল। চারাগাছ দুটিকে পাত্রসহ একই জায়গায় রাখা হয়েছিল। তাদের মধ্যে পার্থক্য ছিল কেবল পানি। একটিতে পানি দেওয়া হয়েছিল, আর একটিকে পানি দেওয়া হয়নি। এ থেকে কী সিদ্ধান্তে আসা যায়? সিদ্ধান্ত নেয়া যায় যে পানি না দেওয়ায় একটি চারা গাছ মারা গেছে।
৭. ফল প্রকাশ : তােমরা তােমাদের পরীক্ষণের ফল বিদ্যালয়ের বুলেটিন বাের্ডে লিখে প্রকাশ করতে পার। এগুলাে হলাে পরীক্ষণ পদ্ধতির ধাপ। এগুলাে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিরও ধাপ।
পাঠ ৪-৫: পরিমাপের প্রয়ােজনীয়তা
আমরা অনেক সময়ই জানা-অজানা নানাবিধ ঘটনাতে আন্দাজ করে পরিমাপ করে থাকি। যেমন: তােমার পড়ার টেবিলের দৈর্ঘ্য কত? তুমি কখন স্কুলে রওনা দিবে? এদের মধ্যে পার্থক্যই বা কি? এই সকল ক্ষেত্রে তােমরা নিশ্চয়ই আন্দাজ করেই পরিমাপ করার চেষ্টা কর।
Class 6 biggan Book Solution 2021 – ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান সমাধান pdf ডাউনলোড – ক্লাস ৬ বিজ্ঞান গাইড ডাউনলোড
শ্রেণীর বিজ্ঞান গাইড চতুর্দশ অধ্যায়ঃ পরিবেশের ভারসাম্য এবং আমাদের জীবন
তােমরা জান, আমাদের চারপাশের সবকিছু নিয়েই এই পরিবেশ। একটি স্থানের সকল জড় ও জীব নিয়েই সেখানকার পরিবেশ গঠিত হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের পরিবেশ তুমি দেখতে পাবে।
পরিবেশের এই বিভিন্নতার কারণে বিভিন্ন অঞ্চলের জীবও বিভিন্ন ধরনের হয়। তােমরা জান জীবের মধ্যে রয়েছে সকল উদ্ভিদ ও প্রাণী। একটি পরিবেশে কোন ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণী বসবাস করবে তা নির্ভর করে সেখানকার পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের উপরে । পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান মানুষসহ অন্যান্য সকল জীবকে প্রভাবিত করে।
বিজ্ঞান বইয়ের এই অধ্যায় শেষে আমরা শিখব-
- • প্রাকৃতিক পরিবেশ ব্যাখ্যা করতে পারব।
- • পরিবেশের উপাদানসমূহ ব্যাখ্যা করতে পারব।
- • পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পরিবেশের উপাদানসমূহের আন্তঃসম্পর্ক ব্যাখ্যা করতে পারব।
- • পরিবেশের উপাদানসমূহের সংরক্ষণের কৌশল ব্যাখ্যা করতে পারব।
পাঠ -১: প্রাকৃতিক পরিবেশ
আমাদের চারপাশের পরিবেশ লক্ষ কর। দেখবে পরিবেশের কিছু জিনিস মানুষ তৈরি করেছে। আবার কিছু আছে যা প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট। অর্থাৎ যেগুলাে মানুষ তৈরি করতে পারে না। তাহলে কোনটিকে আমরা প্রাকৃতিক পরিবেশ বলবাে?
প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট বস্তুগুলাে নিয়ে যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে সেটাই প্রাকৃতিক পরিবেশ। এর মধ্যে জড় বস্তু ও জীব দুটোই রয়েছে যেগুলাে মানুষ তৈরি করতে পারে না।
মানুষ তার প্রয়ােজনে ঘর-বাড়ি, বাস-ট্রাক, নৌকা, রাস্তাঘাট, সেতু, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ইত্যাদি তৈরি করে। এগুলাে মানুষের তৈরি পরিবেশ নামে পরিচিত।
তােমরা নিশ্চয়ই লক্ষ করেছ, আমাদের চারপাশের পরিবেশে আরও কিছু বন্ধু আছে যা মানুষ তৈরি করতে পারে না। যেমন- চাঁদ, তারা, মাটি, নদী, সমুদ্র, পাহাড়, বনজঙ্গল, মানুষ, পশু-পাখি ইত্যাদি। এগুলাে সবই প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদান।
সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য এবং বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীদের বিলুপ্তি থেকে রক্ষা করতে হলে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে হবে। সেই সাথে পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান মাটি, পানি, বায়ু দূষণ রােধ করতে হবে। বনজঙ্গল, পশু, পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে। প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার এমনভাবে করতে হবে যেন জীব এবং সম্পদের ভারসাম্য রক্ষা হয় ।
এই অধ্যায়ে আমরা যা শিখলাম:
- প্রাকৃতিক পরিবেশ হলাে এমন একটি পরিবেশ, যার মধ্যে রয়েছে জড় বস্তু ও জীব, যা মানুষ সৃষ্টি করতে পারে না।
- পরিবেশ দুই ধরনের উপাদান নিয়ে গঠিত। জড় উপাদান ও জীব উপাদান। প্রাণহীন সব উপাদান হলাে জড় উপাদান এবং সজীব সকল উপাদান হলাে জীব উপাদান।
- বাড়তি মানুষের চাহিদা মেটানাের জন্য বিভিন্নভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশ ব্যবহার ও ধ্বংস করা হচ্ছে, যা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণ।
- পরিবেশের সকল জড় উপাদান ও জীব উপাদানের মধ্যে সর্বদা পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া, আদান-প্রদান চলছে। একই ভাবে সকল জীবের মধ্যেও চলছে এই ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া। বেঁচে থাকার জন্য সকল জীব একে অপরের উপর নির্ভরশীল।
- • সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান দূষণ মুক্ত রাখতে হবে এবং সংরক্ষণ করতে হবে।
অনুশীলনী শূন্যস্থান পূরণ-
- ১. পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান মানুষসহ অন্যান্য সকল…….প্রভাবিত করে।
- ২. পরিবেশের …..সব উপাদান নিয়ে জড় পরিবেশ গঠিত।
- ৩. পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলে……..নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
- ৪. কোনাে কোনাে উদ্ভিদের…….ঘটে কীটপতঙ্গের মাধ্যমে।
- ৫. সকল জীব বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশের…….উপাদানের উপর নির্ভরশীল।