শুভ্র সমগ্র pdf download || shuvro somogro humayun ahmed pdf books
Shuvro Series all Pdf by humayun ahmed (শুভ্র সিরিজ পিডিএফ ডাউনলোড)
লেখক হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় উপন্যাস শুভ্র সিরিজের বইগুলোর রিভিউ +ডাউনলোড লিংক নিচে ক্লিক করলেই পেয়ে যাবেন-
হুমায়ূন আহমেদ, বংলার এক কালজয়ী ঔপন্যাসিক। আবিস্কার করেছেন হিমু, মিসির আলি, শুভ্রসহ অনেক জনপ্রিয় চরিত্র। তারমধ্যে তুলনামূলক কম আলোচিত হয়েছে শুভ্র চরিত্রটি। এ নিয়ে অনেক ব্যাখ্যাও রয়েছে। হিমু, মিসির আলিকে নিয়ে যত বই লেখা হয়েছে তারচেয়ে খুব কম বই লেখা হয়েছে শুভ্রকে নিয়ে। তবুও এই চরিত্রটি মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। আজকের আয়োজনটি হুমায়ূন আহমেদ এর শুভ্র সম্পর্কে।
শুভ্র সিরিজের নামকরণ
শুভ্র নামের অর্থ সাদা। সাদা মনের হওয়ার কারণেই চরিত্রটি নাম রাখা হয়েছে শুভ্র। চশমা খুলে ফেললে সে চোখে দেখে না, তাই ক্লাসের বন্ধুরা তাকে কানাবাবা বলে ডাকে। চরিত্রটির জনক হুমায়ূন আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘পরিচিতদের মধ্যে শুদ্ধ মানুষ না পেয়ে আমি কল্পনার জগতে তৈরি করেছি শুদ্ধ মানুষ। উপন্যাসও লিখেছি এ চরিত্র নিয়ে বেশ কটি। একসময় আমার মনে হয়েছে একেবারে নিখাদ শুদ্ধ মানুষ বলে কিছু হতে পারে না। তাই নতুন করে লিখলাম শুদ্ধ মানুষ শুভ্র এর কাহিনী।’ এভাবেই শুভ্র চরিত্রটির নামকরণ এবং সৃষ্টি হয়।
শুভ্রের বয়স
শুভ্র যুবক বয়সী। বয়স ২৫ থেকে ২৮ এর মধ্যে হবে।
শুভ্রের পড়াশোনা
ফিজিক্সে মাস্টার্স ফাইনাল দিয়েছে। পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী।
শুভ্রের গঠন
বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান শুভ্র। অসম্ভব সুদর্শন চেহারা। কোঁকড়ানো চুল। পাতলা ঠোঁট লালচে হয়ে থাকে। তার মায়ের প্রায়ই মনে হয়, ছেলে না হয়ে মেয়ে হলে অতি রূপবতী এক তরুণীর মা হতেন তিনি। শুভ্রর চোখে সমস্যা। চশমা খুলে ফেললে প্রায়ই অন্ধ সে, কিছুই দেখতে পায় না। তবে খুবই বুদ্ধিমান সে। শুধুমাত্র চিন্তা করেই শুভ্র আবিষ্কার করে যাকে সে মা বলে জেনে এসেছে তিনি তার আসল মা নন।
শুভ্রের স্বভাব
সব-সময় মোটা ফ্রেমের চশমা পড়ে বইয়ের মাঝে ডুবে থাকে সে। মিথ্যে কথা বলতে পারে না।
শুভ্রের মায়ের ইচ্ছে
মা জাহানারার খুব ইচ্ছে ছেলেকে বিয়ে দিয়ে ঘরে বৌ আনবেন তিনি। মাথায় একহাত ঘোমটা দিয়ে বালিকা বউ পায়ে নূপুর পায়ে পুরো ঘর ঘুরবে দিনরাত।
শুভ্রের জীবনযাপন
নিজেকে পৃথিবীর যাবতীয় জটিলতা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে। দৈনন্দিন সমস্যা নিয়ে ভাবতে চায় না সে। জগতের যাবতীয় সমস্যা শুভ্রর চোখেই পড়ে না। দুনিয়ার সব সুখী মানুষকে দেখলে তার খুব আনন্দ হয়।
একবার ভয়ংকর একটা ব্যাপার ঘটে যায় শুভ্রর জীবনে। শুভ্রর বাবা মারা যান হঠাৎ করেই। বাবার মৃত্যুর পর শুভ্র জানতে পারে শহরের সবচেয়ে বড় পতিতালয়ের একটা বড় অংশের মালিক এখন সে। তিনটা বাড়িতে বায়ান্নটা মেয়ে আছে। মেয়েদের আয়ের অর্ধেকের মত পায় তারা। এই ভয়ংকর সত্যিটা এতদিন সবাই লুকিয়ে রেখেছিল শুভ্রর কাছ থেকে। বাবার বন্ধুর মেয়ে বিনু, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী মীরা, পতিতালয়ের বাসিন্দা আসমানী প্রত্যেকে প্রভাবিত করতে থাকে শুভ্রকে।
পৃথিবীতে কিছু মানুষ থাকে যারা প্রচণ্ড বুদ্ধি নিয়ে জন্মায় কিন্তু সেই বুদ্ধির প্রকাশ দেখাতে চায় না। শুভ্র চরিত্রটা অনেকটাই এই আদলে গড়া। বিত্তবান বাবা-মা নিজের গণ্ডির মধ্যে শুভ্রকে আটকে রেখে ভাবেন তাদের ছেলে বোকা। এই বোকা ছেলেই একদিন নিজের জন্ম-রহস্য নিজে বের করে, বাবার মৃত্যুর পর ব্যবসার হাল ধরে।
শুভ্র সিরিজের মোট বইয়ের সংখ্যা:
Book: শুভ্র সিরিজের বই শুভ্র সিরিজ লিস্ট. শুভ্র সিরিজের এই বইয়ে মোট ৬টি উপন্যাস রয়েছে-
শুভ্র বই সিরিজ থেকে মুভিও তৈরি করা হয়েছে-
নামঃ দারুচিনি দ্বীপ
গল্পঃ হুমায়ূন আহমেদ।
পরিচালনাঃ তৌকির আহমেদ।
IMDb রেটিংঃ ৭.৮/১০
পার্সোনাল রেটিংঃ ৯/১০
যারা এই সিনেমাটি দেখেছেন তারাই জানেন কতটা অসাধারণ সিনেমা এটি। যারা দেখেননি, দেখতে পারেন, দিনটি খুব ভালো যেতে পারে এই ২ ঘন্টার অসাধারণ সিনেমার গল্পের সাথে।
গল্পটা মোটামুটি এরকম যে, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুন-তরুনীর খুব ভালো বন্ধুত্ব থাকে, সারাদিন খুনসুটিতে ব্যস্ত থাকে তারা। ছেলেরা সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা সেইন্টমার্টিন দ্বীপে ঘুরতে যাবে। মেয়েরাও যেতে চায়। কিন্তু এটি নিয়ে ছেলেদের মাঝে কেউ কেউ হাসাহাসি করে। এভাবে গল্পটি এগিয়ে যায় মেয়েগুলো আর ছেলেগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থান থেকে। তারা স্বপ্ন দেখতে থাকে কি কি করবে সেইন্ট মার্টিনে।
প্রত্যেকের ক্রাইসিস চোখে পড়ে ঠিক আমাদের দেখা আমাদের চারপাশের পরিবারগুলোর মতোই। কারো টাকার সমস্যা, কারো বাসা থেকে যেতে দিচ্ছেনা, এরকম সমস্যাগুলোর মধ্যে গল্পটা আপনাকে তার ভেতরে নিয়ে যাবে।
সিনেমায় একটি গান রয়েছে, দূর দ্বীপ বাসিনী….।
অসাধারণ একটি গান, অনেকেই শুনে থাকবেন।
এই সিনেমটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত।
সিনেমাটি মাল্টি স্টার কাস্ট, অভিনয় করেছেন রিয়াজ, জাকিয়া বারি মম, ইমন, মোশারফ করিম, বিন্দু, আবুল হায়াত, আসাদুজ্জামান নূর আরও অনেকে।
সারাদেশে কমবেশি লকডাউন চলছে, তাই ঘরে থাকুন এবং shuvro samagra বা শুভ্র সিরিজ সমগ্র এর বইগুলো পড়ুন, সুন্দর সিনেমাগুলো উপভোগ করুন।
Youtube মুভি লিংক: দারুচিনি দ্বীপ
ধন্যবাদ।
গল্প – “এটা মিথ্যা গল্প হলেও পারতো”
– হিমু…..
-হুম বলো !
– এই অসময়ে ছাদে কি করো শুনি?
– মেঘ দেখি ।
– মানে কি !
– জানিনা তো !
-শীতের আকাশে মেঘ পেলে কোথায় ?
– মেঘ পাইনি তো।
– তবে?
– মেঘ খুঁজছি।
– কেন মেঘ দিয়ে কি হবে ?
-ধুলো জমছে মনে, যদি ধুয়ে যায় !
– মেঘ বুজি সব ধুয়ে দেবে?
– জানিনা তো!
-তবে কি করো?
– কিছুনা।
– ধুলো মুছে গেলে কি হবে?
– মন খুঁজতে বের হব॥
– আচ্ছা তুমি এমন কেন !
– কেমন আমি ?
– এইযে তোমার মত ।
– তবে হয়তবা তাই হবে !
– জানো আজ আমার ভীষণ মন খারাপ!
– মা বকেছে বুঝি?
– না । আসার আগে তোমাকে ফোন দিয়েছিলাম। রিসিভ করো নি।
– গল্প লিখছিলাম। ফোন নিশ্চুপ ছিলো।
– আচ্ছা, আমি তোমার মুখ থেকে শেষ একটা কথা শুনতে এসেছিলাম।
– “শেষ একটা কথা” shuvro। বলে দিলাম। শুনেছো তো?
– সিরিয়াসলি নিতে পারো না কোন কিছু?? তুমি আর কখনোই বদলালে না…
– একটু একটু পারি। তবে সবসময় পারি না।
– আমাকে কি খুব হাস্যকর মনে হচ্ছে তোমার?
– হাস্যকর নয়, তবে তোমার মনটা খুব খারাপ এটা মনে হচ্ছে।
– হুম শুভ্র.. আমার মনটা বড্ড খারাপ । কাল সন্ধ্যের সময় আমার বিয়ে।
– দাওয়াত দিতে এসেছো?
– না… তোমার মুখ থেকে শেষ একটা কথা শুনতে এসেছি।
– শেষ একটা কথা। সেটা তো আমার জানা নেই।
– আমি কিন্তু এখন কেঁদে ফেলবো!
– এখন কান্না করা উচিত হবে না।
– তুমি উচিত অনুচিত নিয়ে ভাবতে শিখলে কবে থেকে?? বাহ!
– কালকে তোমার বিয়ে, বাসায় যাও এখন। খুব সুন্দর করে হাতে মেহেদী দিও ।
– আমি ঐ ছেলেকে বিয়ে করবো না।
– আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছো?
– হুম…
– শীতটা আজকে একটু বেশিই পড়েছে, ভীষণ ঠান্ডা লাগছে, তোমার শালটা একটু দিবে ?
– আমাকে বিয়ে করবে তুমি??
– জানো? রাতের বেলায় খুব শীত করছিলো কাল, কিন্তু কম্বলটা ছাড়াতে ইচ্ছে করছিল না.. দিন দিন বড্ড অলস হয়ে যাচ্ছি..
– আমাকে কি বিয়ে করবে না তুমি ??
– চাঁদ সমুদ্রের ব্যাপারটা কি তুমি জানো?
– নাহ!! কি জিনিস এটা?
– যে চাঁদ একবার জোয়ার আনে, কয়েক প্রহর পরে সে চাঁদ ই আবার ভাটা টানে!
– কি বলতে চাও, পরিষ্কার করে বলো।
– তোমায় নিয়ে কবিতা লিখেছিলাম, তোমাকে নিয়ে গল্প বুনেছিলাম, তোমাকে ঘিরে ঘোর স্বপ্নের মাঝে ডুব দিয়েছিলাম। কিন্তু সব গল্প কবিতার পাতা নষ্ট হয়ে গেছে ।
– প্লিইইইজ হিমু, আমি সরি!!
– একদিন স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলে দেখি স্মৃতির শূণ্য ম্যাগাজিন পড়ে আছে , স্মৃতিগুলো সব নষ্ট হয়ে গেছে।
– আমি অজস্রবার সরি!!
– তিলোত্তমা, আমার না এখন আমাদের ভার্সিটির ক্যাম্পাসের কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বসে থাকতে ইচ্ছে করছে…
– কিন্তু এখন তো অনেক রাত !!
– তবু যাবো, আর সারাটা রাত দূর আকাশের নিঃসঙ্গ তারার গল্প শুনবো !!
– এখনি যাবে?
– হুম, এখনি।
– আমি কি করবো তাহলে?
– কি করতে চাও?
– কৃষ্ণচূড়া গাছটার নিচে তোমার কাঁধে মাথা রেখে শেষবারের মতো কিছুক্ষণ বসে থাকতে চাই। নিয়ে যাবেনা আমায় ?
– সত্যি !
– হুম..
– চলো তাহলে !!
—
shuvro somogro pdf book free download
—
গভীর রাত নেমেছে। প্রিয় ভার্সিটির চিরচেনা ক্যাম্পাসটার সেই কৃষ্ণচূড়া গাছটার কাছে গিয়ে রিষ্কা থামালো হিমু। এই জায়গার স্মৃতি অনেক। তাই বিস্মৃতির অন্তরালে সবটুকু স্মৃতি আড়াল হবার আগেই এখানে আর একটাবার আসার আসলেই দরকার ছিলো খুব।
কৃষ্ণচূড়া গাছটা তাদের প্রণয়ের প্রথম সাক্ষী। অনেক ঝগড়াঝাটির সাক্ষী। মান অভিমানের সাক্ষী । আনন্দ আর কষ্ট ভাগাভাগি করে নেবার সাক্ষী। তাদের শেষবারের মত দেখতে না পেলে খুব একটা অভিমান মনে পুষে রাখতে পারে এই লাল সবুজের বৃক্ষটি। গাছের গায়ে হেলান দিয়ে বসেছে দুজন। আগের মতই গল্প জমে উঠলো আবার। ফেলে আশার সময়টুকুর দিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই, ভালোবাসা মন্দবাসায় কোন আক্ষেপ নেই, গল্পের খেয়ায় ক্লান্ত শরীর এলিয়ে এলো তিলোত্তমার। হিমুর কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লো সে। তার উত্তপ্ত নি:শ্বাসটুকু টের
পাচ্ছে হিমু। ভারী অপার্থিব লাগছে সবকিছু, জেগে থাকা মানুষটার কাছে।
ঘুমন্ত মানুষটা জেগে উঠে প্রথম কোন কথাটা বলবে তা তার জানা নেই। দূরে থেকে একটা গানের আওয়াজ অল্প আসছে। কিংবা নিজের মনের মাঝেই হয়তো সুর তাল লয় মিলিয়ে গানটা বেজে চলেছে হিমুর মনে ।
” এটা গল্প হলেও পারতো
পাতা একটা আধটা পড়তাম
খুব লুকিয়ে বাঁচিয়ে রাখতাম তাকে ..
তাকে আটকে রাখার চেষ্টা
আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে তেষ্টা
আমি দাঁড়িয়ে দেখছি শেষটা .. জানালায়….. “
গানটা শুনতে শুনতে অন্যমনা হয়ে পড়লো হিমু। এই মুহূর্তে দুনিয়ার সবচেয়ে সুখী কিংবা অসহায় মানুষটার নাম সে জানে … হ্যাঁ শুধু সে ই জানে!!
—– মোঃ মিশু চৌধুরী
humayun ahmed এর pdf books shuvro somogro Download করার পর লেখকের অন্যান্য সকল বই গুলোও ডাউনলোড করতে পারেন।